ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




মাত্র চার টাকা খরচে হাজার টাকা ক্যাশআউট করতে পারবেন শ্রমিকরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন রিপোর্ট | 

করোনা ভাইরাসের এই সংকটময় মুহূর্তে সরকার ঘোষিত পোশাক খাতের প্রণোদনার আওতায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। তবে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ক্যাশ আউট চার্জ হিসেবে শ্রমিকদের হাজারে ৪ টাকা করে খরচ দিতে হবে। যদিও প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ১ হাজারে ১৮ থেকে ২০ টাকা ফি কেটে নেয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এজেন্ট।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক ক্যাশ আউটের এই চার্জ নির্ধারণ করে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত ২ এপ্রিল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য সবাইকে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বা হাজারে ৮ টাকার বেশি চার্জ আদায় করা যাবে না। এর মধ্যে এমএফএস অপারেটরদের ৪ টাকা কমিশন দেবে ঋণদাতা ব্যাংক। বাকি ৪ টাকা পরিশোধ করবে গ্রাহক বা প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক।

গত ২ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। এই তহবিল থেকে শুধু সচল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ঋণ নিতে পারবেন। এজন্য প্রতিষ্ঠানের মালিকদের গুনতে হবে এককালীন ২ শতাংশ সুদ।

উল্লেখ্য, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠান ‘বিকাশ’ বর্তমানে গ্রাহকপ্রতি এক হাজার টাকা ক্যাশ আউটে (টাকা উত্তোলন) খরচ নেয় ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। আর বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাশ আউটে খরচ নেয়া হয় ১৭ টাকা ৭০ পয়সা। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের রকেটসহ দেশের অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও একই হারে খরচ কেটে নেয়। তবে সরকারের ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘নগদ’ একটু ভিন্ন। তারা আগে এক হাজার টাকা ক্যাশ আউট করলে খরচ নিত ১৪ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু মহামারী করোনা সঙ্কটের কারণে এখন প্রতি হাজারে সেই খরচ নেয় ১০ টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মাত্র চার টাকা খরচে হাজার টাকা ক্যাশআউট করতে পারবেন শ্রমিকরা

আপডেট সময় : ১০:১২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০

অনলাইন রিপোর্ট | 

করোনা ভাইরাসের এই সংকটময় মুহূর্তে সরকার ঘোষিত পোশাক খাতের প্রণোদনার আওতায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। তবে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ক্যাশ আউট চার্জ হিসেবে শ্রমিকদের হাজারে ৪ টাকা করে খরচ দিতে হবে। যদিও প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ১ হাজারে ১৮ থেকে ২০ টাকা ফি কেটে নেয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এজেন্ট।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক ক্যাশ আউটের এই চার্জ নির্ধারণ করে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত ২ এপ্রিল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য সবাইকে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বা হাজারে ৮ টাকার বেশি চার্জ আদায় করা যাবে না। এর মধ্যে এমএফএস অপারেটরদের ৪ টাকা কমিশন দেবে ঋণদাতা ব্যাংক। বাকি ৪ টাকা পরিশোধ করবে গ্রাহক বা প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক।

গত ২ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। এই তহবিল থেকে শুধু সচল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ঋণ নিতে পারবেন। এজন্য প্রতিষ্ঠানের মালিকদের গুনতে হবে এককালীন ২ শতাংশ সুদ।

উল্লেখ্য, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠান ‘বিকাশ’ বর্তমানে গ্রাহকপ্রতি এক হাজার টাকা ক্যাশ আউটে (টাকা উত্তোলন) খরচ নেয় ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। আর বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাশ আউটে খরচ নেয়া হয় ১৭ টাকা ৭০ পয়সা। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের রকেটসহ দেশের অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও একই হারে খরচ কেটে নেয়। তবে সরকারের ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘নগদ’ একটু ভিন্ন। তারা আগে এক হাজার টাকা ক্যাশ আউট করলে খরচ নিত ১৪ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু মহামারী করোনা সঙ্কটের কারণে এখন প্রতি হাজারে সেই খরচ নেয় ১০ টাকা।