অবৈধ আয়ের সাথে বেড়েছে স্ত্রীর প্রতি অত্যাচার

- আপডেট সময় : ০৬:১৩:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৯ ১৮৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : অবৈধ উপার্জন বেড়ে যাওয়ায় মানুষকে আর মানুষ মনে করেন না সিএন্ডএফ এজেন্ট আবুল কালাম আজাদ। সেই ক্ষমতার দাপটের খড়গ চালান স্ত্রী গৃহবধূ রোমেনা ফেরদৌস তৃপ্তির ওপর। তার ক্ষমতার দৌড় এতটাই যে কোথাও গিয়ে বিচার পর্যন্ত দিতে পারেন না তার স্ত্রী। জানা মাত্রই ম্যানেজ করে ফেলেন সবকিছু। বর্তমানে একমাত্র স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন স্ত্রী রোমেনা। রাজধানীর মুগদা থানার অন্তর্গত দক্ষিণ মান্ডার ২৭৪ নম্বর বাড়ির সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ। তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায়। স্ত্রী রোমানার গ্রামের বাড়িও একই জেলার কাঠালিয়া উপজেলায়।
স্ত্রী রোমেনার ভাষ্য হলো —তার স্বামী গত চার বছরে অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমাণ টাকা উপার্জন করেছেন। তার সম্পদের মধ্যে রয়েছে রাজধানী ঢাকার মান্ডা এলাকায় একটি ৬ তলা বিশিষ্ট বাড়ি, আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশনের গ্রীণ মডেল টাউনে ৮৫ লক্ষ টাকার আড়াই কাঠার একটি প্লট, গ্রামের বাড়িতে ২৫ লক্ষ টাকার একটি দালান। এ ছাড়া তার বোনকে গ্রামের বাড়িতে একটি দালান করে দেন, ভাইকে ২টি বালির জাহাজ এবং ১টি কসমেটিস্ এর দোকান করে দিতে ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয় করেন। এছাড়াও তার রয়েছে কোটি কোটি টাকা নগদ ও সম্পদ।
রোমেনা ফেরদৌস (তৃপ্তি) লিখিত এক বক্তব্যে জানান, আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে ২০০১ সালে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার) টাকা দেন মোহরানা ধার্য্য করে তার বিবাহ হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান আছে। তার স্বামী কিছুদিন যাবৎ বেপরোয়া জীবন যাপন শুরু করে। প্রতিদিন কারণে অকারণে মারপিট ও অত্যাচার করে তাকে। যৌতুকলোভী আবুল কালাম আজাদ বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে মান্ডায় বাড়ী কেনার সময় যৌতুক হিসেবে রোমেনার মায়ের কাছ থেকে (দশ লক্ষ) টাকা নেয়। এরপরে তার সিএন্ডএফ ব্যবসার জন্য আবার ৫,০০,০০০/- টাকা দাবি করে মারপিট ও অত্যাচার শুরু করলে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ও ছেলে সন্তান ও সংসারের কথা চিন্তা করে আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে আরও ৫,০০,০০০/- টাকা এনে দেন রোমেনা। কিন্তু পুনরায় সে ১০,০০,০০০/- টাকা যৌতুক দাবি করলে আর টাকা দিতে পারবে না জানালে স্বামী (আবুল কালাম আজাদ) উত্তেজিত হয়ে মারপিট নানারকম শারীরিক নির্যাতন শুরু করে।
রোমেনার অভিযোগ, আরও বিবাহের পরও তার স্বামী পরকীয়ায় লিপ্ত থাকে এবং ২০১৭ সালের আগষ্ট মাসে প্রিয়াঙ্কা নামের একটি মেয়েকে বিবাহ করে। এরপর থেকে প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের কোনো ভরণ-পোষণ ও খরচ দেন না।
আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীর সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ হলো— আইসিটি কমলাপুরে গত ৪(চার) বছর যাবত সিএন্ডএফ এর ব্যবসার কথা বলে অবৈধ পথে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। ভূয়াভাবে অবৈধ মালামাল বিদেশে পাচার করে অল্প সময়ের মধ্যে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য জানতে চাইলে ক্ষেপে গিয়ে এই প্রতিবেদককে অশ্রাব্য ভাষায় গালগালি করেন। সেইসঙ্গে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।