ঢাকা ০৫:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩০:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০ ৫১ বার পড়া হয়েছে

আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

অনলাইন রিপোর্ট |

আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। স্বাধীনতা ঘোষণার পর এই দিন স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে স্বাধীন সরকারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এর আগে ১০ এপ্রিল গঠিত হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। এ সরকারকেই বলা হয় ‘মুজিবনগর সরকার’। এ সরকারের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়।
১৯৭১ সালের এইদিন তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রিসভার সদসরা আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ঘোষিত হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র।
দেশের সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ও সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। তবে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
আর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তাজউদ্দিন আহমেদ। খন্দকার মোশতাক আহমেদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী নিযুক্ত হন। সরকারের উপদ্ষ্টো হন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, কমরেড মণি সিংহ, অধ্যাপক মোজাফ্‌ফর আহমদ। এছাড়া জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী মুক্তিবাহিনীর প্রধান কমান্ডার এবং মেজর জেনারেল আবদুর রব চিফ অব স্টাফ নিযুক্ত হন।
আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনায় এই সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সরকারের নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধ দ্রুততম সময়ে সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায়।
দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হয় ৩০ লাখ মানুষ। নির্যাতনের শিকার হন ২ লাখ নারী। বিজয় অর্জিত হয় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বিশ্বের বুকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ 

আপডেট সময় : ০৯:৩০:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০

অনলাইন রিপোর্ট |

আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। স্বাধীনতা ঘোষণার পর এই দিন স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে স্বাধীন সরকারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এর আগে ১০ এপ্রিল গঠিত হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। এ সরকারকেই বলা হয় ‘মুজিবনগর সরকার’। এ সরকারের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়।
১৯৭১ সালের এইদিন তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রিসভার সদসরা আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ঘোষিত হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র।
দেশের সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ও সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। তবে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
আর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তাজউদ্দিন আহমেদ। খন্দকার মোশতাক আহমেদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী নিযুক্ত হন। সরকারের উপদ্ষ্টো হন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, কমরেড মণি সিংহ, অধ্যাপক মোজাফ্‌ফর আহমদ। এছাড়া জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী মুক্তিবাহিনীর প্রধান কমান্ডার এবং মেজর জেনারেল আবদুর রব চিফ অব স্টাফ নিযুক্ত হন।
আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনায় এই সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সরকারের নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধ দ্রুততম সময়ে সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায়।
দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হয় ৩০ লাখ মানুষ। নির্যাতনের শিকার হন ২ লাখ নারী। বিজয় অর্জিত হয় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বিশ্বের বুকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে।