করোনায় ঘরে খাবার নেই ১৪ ভাগ মানুষের: ব্র্যাক

- আপডেট সময় : ১১:৩৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০ ১১৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন রিপোর্ট |
করোনাভাইরাসের কারণে দারিদ্র্যরেখার নিম্নসীমার নিচে নেমে গেছে ৮৯ শতাংশ মানুষ। ১৪ ভাগ মানুষের ঘরে কোনো খাবারই নেই। ৬৪ জেলায় ২ হাজার ৬৭৫ জন নিম্নআয়ের অংশগ্রহণকারীর ওপর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক পরিচালিত জরিপে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। গত ৩১ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিলের মধ্যে চলে জরিপটি।
শুক্রবার ব্র্যাকের হেড অব মিডিয়া অ্যান্ড এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স রাফে সাদনান আদেল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। করোনাভাইরাসের স্বাস্থ্যগত দিকগুলো সম্পর্কে নিম্নআয়ের মানুষের উপলব্ধি এবং এর অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কে ধারণা পেতে জরিপটি পরিচালিত হয়।
ব্র্যাকের জরিপে বলা হয়, ‘নিম্নআয়ের মানুষ জীবিকায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধের পদক্ষেপের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮৯ শতাংশ দারিদ্র্যরেখার নিম্নসীমার নিচে নেমে গেছেন। করোনাভাইরাসের পূর্বে আয়ের ভিত্তিতে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ২৪ শতাংশ ছিলেন দারিদ্র্যরেখার নিম্নসীমার নিচে এবং ৩৫ শতাংশ ছিলেন দারিদ্র্যরেখার ঊর্ধ্বসীমার নিচে। অর্থাৎ বর্তমান পরিস্থিতিতে চরম দারিদ্র্য আগের তুলনায় ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।’
‘করোনা মহামারির আগে জরিপে অংশ নেওয়া ২ হাজার ৬৭৫ জনের গড় আয় ছিল ১৪ হাজার ৫৯৯ টাকা। যাদের মধ্যে ৯৩ শতাংশ জানিয়েছে এই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর তাদের আয় কমেছে। মার্চ ২০২০ এ এসে তাদের গড় আয় দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৪২ টাকায়। অর্থাৎ তাদের পারিবারিক আয় ৭৫ শতাংশের মতো কমে এসেছে। ’
এতে বলা হয়, ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জ প্রোগ্রাম পরিচালিত জরিপটিতে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করেন ব্র্যাকের মাইক্রোফাইন্যান্স, আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম এবং পার্টনারশিপ স্ট্রেংদেনিং ইউনিটের কর্মীরা।
জরিপে দেখা যায়, কী কী ব্যবস্থা অবলম্বনের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করা সম্ভব, সে বিষয়ে ৩৬ শতাংশ উত্তরদাতার পরিষ্কার ধারণা নেই। এমনকি করোনা সংক্রমণের লক্ষণ (জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট) দেখা দিলে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরাসরি চলে না আসার যে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে সে বিষয়েও ধারণা নেই অধিকাংশের।
৫৩ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন প্রতিবেশি এসব লক্ষণ দেখা দিলে তাকে শহরের হাসপাতাল বা সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেবেন। মাত্র ২৯ শতাংশ হেলপলাইনে ফোন করার কথা বলেছেন।