মির্জাপুরে করোনা রোগী শনাক্ত, ৩৫ বাড়ি লকডাউন
![](https://sokalersongbad.com/wp-content/themes/newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট সময় : ১১:৪৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০২০ ১১৬ বার পড়া হয়েছে
![](https://sokalersongbad.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি |
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ৪৭ বছর বয়সী এক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ১১টায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম। রাত ২টার দিকে তাকে ঢাকায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রমতে, শনাক্তকৃত ওই রোগী নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে চাকরি করেন। গত রবিবার (৫ এপ্রিল) তিনি জ্বর, সর্দি কাশি উপসর্গ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে মির্জাপুরে গ্রামের বাড়িতে আসেন।
খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের লোকজন তার বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় রোগ তত্ত্ব ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার রাতে তার করোনা শনাক্তের বিষয়টি জানতে পারেন উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মো. আবদুল মালেকের নেতৃত্বে চিকিৎসকসহ একটি প্রতিনিধি দল রাতেই ওই বাড়িতে যান এবং তাকে ঢাকা কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাকসুদা খানম বলেন, তার পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে (সঙ্গনিরোধ) রাখা হয়েছে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই পাড়ার ৩০-৩৫টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
ভাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন বলেন, করোনা শনাক্তকৃত ওই ব্যক্তির আশপাশের ৩০-৩৫টি বাড়ি লকডাউন ঠিকমত পালিত হচ্ছে কিনা সেজন্য ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে পাহারা দেওয়া হচ্ছে। থানা পুলিশের টিমও ওখানে যাবে। ওই বাড়িগুলোর শিশু এবং অন্যদের খাবারের বিষটিও গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ইউএনও মো. আবদুল মালেক জানান, রোগীটির করোনা শনাক্তের পর তাকে ঢাকায় পাঠাতে রাতে তারা ওই রোগীর বাড়ি যান। কিন্তু তিনি ঘরের দরজা খুলছিলেন না। কোনো কথাতেই কাজ হচ্ছিল না। তিনি বলতে থাকেন, অসুস্থ হয়ে মারা গেলেও তিনি বাড়িতেই থাকতে চান। তবে তার পরিবার ও এলাকাবাসীর কথা চিন্তা করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশের সহায়তায় তাকে ঘর থেকে বাইরে বের করা হয়। পরে রাতে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। একই সঙ্গে তার বাড়ির আশপাশের ৩০-৩৫টি বাড়ি লকডাউন (অবরুদ্ধ) করে দেওয়া হয়েছে।