উত্তরার কাপড় ব্যবসায়ী কর্তৃক বিবাহিত নারীকে ধর্ষণ ও জোর করে বিয়ে!
- আপডেট সময় : ০৪:০৮:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মার্চ ২০২০ ১৩১ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক;
রাজধানীর উত্তরায় দক্ষিণখানে এক কাপড় ব্যাবসায়ী বিরুদ্ধে নিজ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিবাহিত কলেজ শিক্ষার্থী নারীকে জোরকরে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই কাপড় ব্যবসায়ীর বাড়ি চট্টগ্রাম সদরে।
অভিযোগকারী ওই কলেজ শিক্ষার্থী বিবাহিত নারী রিমি অভিযোগ করে বলেন, সুমনের বায়িং হাউজ প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতো তিনি। গত ২০ শে ফেব্রুয়ারি ব্যবসায়ী একটি কাজের কথা বলে হঠাৎ রিমিকে বলে সিলেটে যেতে হবে। সে যখন বলে আমি একা কেন সিলেটে যাব আপনার সাথে তখন সুমন জানাই তার ব্যবসায়িক আরো কয়েকজন পার্টনার তার সাথে সিলেটে একত্র হবে। এরপর সরল বিশ্বাসে ওই নারী শিক্ষার্থী (ছদ্মনাম) রিমি সুমনের সাথে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে অচেনা একটি এলাকায় গাড়ি থামিয়ে রিমি ছদ্মনাম একটি কাজী অফিসে ঢুকিয়ে আরো কয়েকজন সরকারি কর্তৃক ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে একপর্যায়ে জোর করে বিয়ে করতে বাধ্য করে কাপড় ব্যবসায়ী সুমন। একদিন ও দুই রাত তাকে একটি রিসোর্টে জোর করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে শারীরিক মানসিক নির্যাতন চালায় সুমন। এ সময় কাপড় ব্যবসায়ী সুমন ওই বিবাহিত নারী ও কলেজ শিক্ষার্থীর ইমেজ কিছু অশ্লীল ভিডিও ছবি সংগ্রহ করেন। উত্তর ঘটনা কাউকে বললে তাঁর স্বামীকে সবকিছু জানিয়ে দিবেন এবং এসব উলঙ্গ অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করবেন বলে হুমকি দেয় কাপড় ব্যবসায়ী সুমন। আর একারণেই ভয় মুখ খোলেননি রিমি নামের ওই নারী। ঘটনার মাসখানেক পরে সুমন রিমিকে প্রচণ্ড চাপ দিতে থাকে তার সাথে আলাদা বাসা নিয়ে থাকার জন্য। কিন্তু রিমি তার স্বামীকে ছেড়ে কখনোই যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় সুমনকে আর এ কারণেই ক্ষিপ্ত হয়ে সুমন চলে যায় রিমির গ্রামের বাড়ি নড়াইলে। নড়াইলে গিয়ে তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ সকলকে রিমির সাথে তার বিয়ের ব্যাপারে অবগত করেন। এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর তার স্ত্রী ফেরত পেতে একটি আবেদন করেন। রিমি জানায় এতে তার এলাকায় তার ও তার পরিবারের ব্যাপক সম্মানহানি হয়েছে। রিমি (ছদ্মনাম) যে তিনি বলেন আমি অনেক এতটাই মানসিক যন্ত্রণায় আছি যে মন চাইছে আত্মহত্যা করে মরে যাই।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় অভিযুক্ত সুমনের বাড়ি চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাকলিয়া রাজাখালী এলাকায় । গ্রামের বাড়িতে তার স্ত্রী সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।
কাপড় ব্যবসায়ী সুমন তার দক্ষিণখানের অফিসটিতে ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন মেয়েদের আসা যাওয়া দেখে অনেক প্রতিবেশীর মনি সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছিলো। সুমনের চারপাশের প্রতিবেশী ও পরিচিতজনদের মাঝে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে তিনি নারীলোভী চরিত্রের একটি মানুষ। তার বাড়িতে স্ত্রী সন্তান রয়েছে। তারপরও তিনি নিত্যনতুন মেয়েদেরকে চাকরি দেয়ার নাম করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে ঘুরতে নিয়ে যায়। অফিসের নাম করে বাসা ভাড়া নিয়ে সে মূলত জলসা ঘর হিসেবে ব্যবহার করেন। বিষয়টি তাদের নজরে এলেও কেউ তেমন নাক গলাননি কখনো।
অভিযোগকারী রিমি জানান আমার অনেক স্পর্শ কাতর ছবি ও ভিডিও তার কাছে রয়েছে যেগুলো নিয়ে আমি মানসিক যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারিনা। আমি বারবার আমার স্বামী আছে সংসার আছে বলার পরও সে আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখায় বাধ্য করে কাজী অফিসে বিয়ের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে।
রিমির স্বামী বলেন আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে ঘর করতে চাই যেটা হয়েছে সেটা দুর্ঘটনা তবে ওই অভিযোগকারী সুমনের বিচার চাই যাতে পরবর্তীতে অন্য কোন নারী তার লালসার শিকার না হয়। তিনি আরো বলেন আমি নিজেই দু-একদিনের মধ্যে সুমনের নামে মহামান্য আদালতে মামলা করবো।
এসব ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত সুমনের কাছে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে অন্য একজনকে দিয়ে প্রতিবেদককে হুমকি প্রদান করেন।
সংবাদ লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে…