ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




শ‌র্তের বেড়াজালে কমেছে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ ৯০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক; 
সরকা‌রের নানা শর্তের কার‌ণে আগের বছরের তুলনায় কমছে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার ৬৭৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। যা আগের অর্থবছ‌রের একই সম‌য়ের তুলনায় ৭৫ শতাংশ কম। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এ সময় পর্যন্ত নিট বিক্রি ছিল ৩০ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সং‌শ্লিষ্টরা বল‌ছেন, ‘সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে অতিমাত্রায় নিরুৎসাহিত করতে সুদহার না কমিয়ে নানা শর্ত জু‌ড়ে দি‌য়ে‌ছে সরকার। যার কার‌ণে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমছে।’

অধিদফতর সূত্রে জানা গে‌ছে, বর্তমা‌নে পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রের সুদের উপর উৎসে কর ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন-টিন) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সঞ্চয়পত্রের সব লেনদেন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। দুর্নীতি কিংবা অপ্রদর্শিত আয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা বন্ধ করতে ক্রেতার তথ্যের একটি ডাটাবেসে সংরক্ষণের লক্ষ্যে অভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে। এছাড়া সঞ্চয়পত্রে বড় বিনিয়োগে কঠোর হয়েছে সরকার। চাইলেই ভবিষ্য তহবিল বা প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থে সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ নেই। এছাড়া এখন প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে কর কমিশনারের প্রত্যায়ন লাগে। পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক ফার্মের নামে সঞ্চয়পত্র কিনতে লাগছে উপ-কর কমিশনারের প্রত্যায়ন। এসব কারণে ক্রমে কমছে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ কমেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অধিদফতরের তথ্য বল‌ছে, জানুয়ারি‌তে সঞ্চয়প‌ত্রে নিট বিক্রি হ‌য়ে‌ছে ২ হাজার ২৪০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে নিট বিক্রি ছিল ৬ হাজার ২ কোটি টাকা। এ হিসা‌বে গত বছ‌রের জানুয়া‌রির তুলনায় এ বছর নিট বিক্রি ক‌মে‌ছে ৩ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা, যা পুরো অর্থবছরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২৯ শতাংশ। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে বা‌জেট ঘাট‌তি মেটা‌তে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে ২৭ হাজার কোটি টাকা।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল প্রায় পাঁচ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাইয়ে নিট বি‌ক্রি দুই হাজার ২১২ কোটি টাকায় নে‌মে এসেছে। গত অর্থবছরের আগস্টে বিক্রি হয়েছিল চার হাজার ২১ কোটি টাকা, সেখানে চলতি অর্থবছরের আগস্টে বিক্রি হয় এক হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে বিক্রি হয়েছিল চার হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা, সেখানে চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে বিক্রি ৯৮৬ কোটি টাকা। এ অর্থবছরের অক্টোবরে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয় ৮২৩ কোটি টাকা, যা ২০১৮ সালের অক্টোবরে ছিল চার হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের নভেম্বরে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি হয়েছে ৩২০ কোটি ৬২ লাখ টাকা, সেখানে আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল তিন হাজার ৮৩৩ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র। আর চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বরে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি হয়েছে ঋণাত্মক ৪০৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আগের বছরের ডিসেম্বর মাসে নিট বিক্রি হয়েছিল তিন হাজার ৩৩২ কোটি টাকা।

এদিকে সঞ্চয়পত্র বি‌ক্রি কমায় বাজেট ঘাটতি মেটাতে অস্বাভাবিক হারে ব্যাংক ঋণ নিচ্ছে সরকার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ঋণ নেবে বলে ঠিক করেছিল সরকার। কিন্তু ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকার ব্যাংক খাত থে‌কে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ঋণ নিয়েছে ৫২ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা।

এর আগে, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে সর্বশেষ ২০১৫ সালের মে মাসে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদহার গড়ে ২ শতাংশ করে কমানো হয়েছিল।

বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ, পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ২০১৫ সালের ২৩ মের পর থেকে এই হার কার্যকর আছে। এর আগে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ছিল ১৩ শতাংশেরও বেশি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমগুলোতে বিনিয়োগকৃত অর্থের ওপর একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর মুনাফা প্রদান করে সরকার। মেয়াদপূর্তির পর বিনিয়োগকৃত অর্থও ফেরত প্রদান করা হয়। প্রতিমাসে বিক্রি হওয়া সঞ্চয় স্কিমগুলো থেকে প্রাপ্ত বিনিয়োগের হিসাব থেকে আগে বিক্রি হওয়া স্কিমগুলোর মূল ও মুনাফা বাদ দিয়ে নিট ঋণ হিসাব করা হয়, ওই অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা থাকে এবং সরকার তা প্রয়োজন অনুযায়ী বাজেটে নির্ধারিত বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে লাগায়। এ কারণে অর্থনীতির পরিভাষায় সঞ্চয়পত্রের নিট বিনিয়োগকে সরকারের ‘ঋণ’ বা ‘ধার’ হিসেবে গণ্য করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




শ‌র্তের বেড়াজালে কমেছে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি

আপডেট সময় : ১০:৫২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক; 
সরকা‌রের নানা শর্তের কার‌ণে আগের বছরের তুলনায় কমছে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার ৬৭৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। যা আগের অর্থবছ‌রের একই সম‌য়ের তুলনায় ৭৫ শতাংশ কম। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এ সময় পর্যন্ত নিট বিক্রি ছিল ৩০ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সং‌শ্লিষ্টরা বল‌ছেন, ‘সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে অতিমাত্রায় নিরুৎসাহিত করতে সুদহার না কমিয়ে নানা শর্ত জু‌ড়ে দি‌য়ে‌ছে সরকার। যার কার‌ণে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমছে।’

অধিদফতর সূত্রে জানা গে‌ছে, বর্তমা‌নে পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রের সুদের উপর উৎসে কর ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন-টিন) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সঞ্চয়পত্রের সব লেনদেন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। দুর্নীতি কিংবা অপ্রদর্শিত আয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা বন্ধ করতে ক্রেতার তথ্যের একটি ডাটাবেসে সংরক্ষণের লক্ষ্যে অভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে। এছাড়া সঞ্চয়পত্রে বড় বিনিয়োগে কঠোর হয়েছে সরকার। চাইলেই ভবিষ্য তহবিল বা প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থে সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ নেই। এছাড়া এখন প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে কর কমিশনারের প্রত্যায়ন লাগে। পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক ফার্মের নামে সঞ্চয়পত্র কিনতে লাগছে উপ-কর কমিশনারের প্রত্যায়ন। এসব কারণে ক্রমে কমছে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ কমেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অধিদফতরের তথ্য বল‌ছে, জানুয়ারি‌তে সঞ্চয়প‌ত্রে নিট বিক্রি হ‌য়ে‌ছে ২ হাজার ২৪০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে নিট বিক্রি ছিল ৬ হাজার ২ কোটি টাকা। এ হিসা‌বে গত বছ‌রের জানুয়া‌রির তুলনায় এ বছর নিট বিক্রি ক‌মে‌ছে ৩ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা, যা পুরো অর্থবছরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২৯ শতাংশ। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে বা‌জেট ঘাট‌তি মেটা‌তে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে ২৭ হাজার কোটি টাকা।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল প্রায় পাঁচ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাইয়ে নিট বি‌ক্রি দুই হাজার ২১২ কোটি টাকায় নে‌মে এসেছে। গত অর্থবছরের আগস্টে বিক্রি হয়েছিল চার হাজার ২১ কোটি টাকা, সেখানে চলতি অর্থবছরের আগস্টে বিক্রি হয় এক হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে বিক্রি হয়েছিল চার হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা, সেখানে চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে বিক্রি ৯৮৬ কোটি টাকা। এ অর্থবছরের অক্টোবরে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয় ৮২৩ কোটি টাকা, যা ২০১৮ সালের অক্টোবরে ছিল চার হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের নভেম্বরে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি হয়েছে ৩২০ কোটি ৬২ লাখ টাকা, সেখানে আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল তিন হাজার ৮৩৩ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র। আর চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বরে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি হয়েছে ঋণাত্মক ৪০৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আগের বছরের ডিসেম্বর মাসে নিট বিক্রি হয়েছিল তিন হাজার ৩৩২ কোটি টাকা।

এদিকে সঞ্চয়পত্র বি‌ক্রি কমায় বাজেট ঘাটতি মেটাতে অস্বাভাবিক হারে ব্যাংক ঋণ নিচ্ছে সরকার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ঋণ নেবে বলে ঠিক করেছিল সরকার। কিন্তু ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকার ব্যাংক খাত থে‌কে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ঋণ নিয়েছে ৫২ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা।

এর আগে, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে সর্বশেষ ২০১৫ সালের মে মাসে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদহার গড়ে ২ শতাংশ করে কমানো হয়েছিল।

বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ, পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ২০১৫ সালের ২৩ মের পর থেকে এই হার কার্যকর আছে। এর আগে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ছিল ১৩ শতাংশেরও বেশি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমগুলোতে বিনিয়োগকৃত অর্থের ওপর একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর মুনাফা প্রদান করে সরকার। মেয়াদপূর্তির পর বিনিয়োগকৃত অর্থও ফেরত প্রদান করা হয়। প্রতিমাসে বিক্রি হওয়া সঞ্চয় স্কিমগুলো থেকে প্রাপ্ত বিনিয়োগের হিসাব থেকে আগে বিক্রি হওয়া স্কিমগুলোর মূল ও মুনাফা বাদ দিয়ে নিট ঋণ হিসাব করা হয়, ওই অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা থাকে এবং সরকার তা প্রয়োজন অনুযায়ী বাজেটে নির্ধারিত বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে লাগায়। এ কারণে অর্থনীতির পরিভাষায় সঞ্চয়পত্রের নিট বিনিয়োগকে সরকারের ‘ঋণ’ বা ‘ধার’ হিসেবে গণ্য করা হয়।