ঘরে বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার, মৃত্যুঝুঁকিতে নগরবাসী
- আপডেট সময় : ১০:০১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ ১০৫ বার পড়া হয়েছে
সকালের সংবাদঃ
না জেনে, বাসাবাড়িতে বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহারে মৃত্যুঝুঁকিতে আছে নগরবাসী। চমকে ওঠার মতো তথ্য হলো, বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ব্যবহারের করে এরই মধ্যে রাজধানীতে কয়েক জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চমাত্রার এই কীটনাশক বাসায় ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ দোকানীরা সাধারণ কীটনাশক হিসাবে এসব তুলে দিচ্ছে নগরবাসীর হাতে।
বাসায় ছারপোকার উৎপাত থেকে বাঁচতে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ট্যাবলেট ব্যবহার করেছিলেন রাজধানীর গোড়ানের মেহের আফরোজ শাওনের পরিবার। বিধি না জেনে ব্যবহার করায়, ফসফাইড গ্যাসে আক্রান্ত হয় শাওন ও তার বাবা-মা। তিনজনকেই ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বাবা-মা বেঁচে গেলেও ফেরানো যায়নি শাওনকে।
জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটালের চিকিৎসক ডা. উজ্জ্বল কুমার মল্লিক জানান, ‘শাওনের প্রচণ্ড কাশি, শ্বাসকষ্ট ও অক্সিজেন কমে যাচ্ছিল। আমরা ব্লাড প্রেসার রেকর্ড করতে পারছিলাম না এবং বুকের এক্সরে করে দেখতে পারি শাওনের এআরডিএস ডেভেলপ করছে যেটা অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড পয়জনিংয়ের সব থেকে ভয়াবহ ব্যাপার’।
বদ্ধ ঘরে এই ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করলে যে কারো বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইডের নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই। পৃথিবীর অনেক দেশে এটা নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি এই ধরণের বিষাক্ত কীটনাশক না ব্যবহার করাই ভালো।
রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায় কুইফিউম, উইভিলসাইড নামে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ট্যাবলেট যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে। অথচ চাষাবাদ ছাড়া অন্য কাজে যা ব্যবহার নিষিদ্ধ।
বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া বলেন, ‘যিনি এইসব ব্যাবহার করবে তাকে অনেক সাবধান ভাবে এইসব ব্যবহার করতে হবে। যেখানে ওইসব কীটনাশক ব্যবহার করা হবে সেখানে যেন মানুষ না যেতে পারে যেগুলো খেয়াল রাখতে হবে। তবে কোনভাবে এইসব বাড়ি ঘরে ব্যবহার করা যাবে’।
এছাড়া আর কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আগে যেখানে সেখানে বিষাক্ত কীটনাশক বিক্রি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিলেন এই বিশেষজ্ঞ।