ঢাকা ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




যুবলীগের সম্মেলনের নামে চাঁদা তুলতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার ইউপি মেম্বার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৫:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০১৯ ১১৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;  

যুবলীগের সম্মেলনের নামে মোটা অংকের চাঁদা চাইতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন, রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার হাবিবুর রহমান সোহাগ। সম্মেলনের ঠিক আগের দিন নবীনবাগ বালুর মাঠ এলাকায় এক জমি মালিকের কাছে চাঁদা চাইতে গেলে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দিয়ে হাসপাতালে পাঠায়।
এলাকাবাসি জানিয়েছেন, হাবিবুর রহমান সোহাগ নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় আধিপত্ব চালিয়ে আসছে। ইউপি মেম্বার থাকা অবস্থায় বহু মানুষের জমি দখল করেছে। এরপর যুবলীগের খাতায় নাম লিখিয়ে লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি ও জমি দখলই তার মুল পেশা হয়ে দাঁড়ায়। যে কারণে এলাকার মানুষের কাছে তিনি ভূমি দস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়ে ওঠেন।
সবশেষ, নবীনগর বালুর মাঠ এলাকার এক খণ্ড জমি দখলে নেয়ার পায়তারা শুরু করেন এবং ওই জমিতে শ্রমিকরা কাজ করতে গেলে লোকজন নিয়ে বাধা দেন। এ বিষয়ে গত ৩ নভেম্বর খিলগাঁও থানায় সাধারণ ডায়রী করেন জমি মালিকের ছেলে খালেদুর রহমান শাকিল।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তার বাবার কেনা জমিটি রক্ষনাবেক্ষনে গেলে হাবিবুর রহমান সোহাগ যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে প্রথমে জমিটি তার কাছে কম মূল্যে বিক্রির প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে পরবর্তীতে দখলের প্রক্রিয়া শুরু করে এবং নানা ভাবে তাদের কাজে বাধা দেয়।
এদিকে, আজ শুক্রবার সকালে কয়েকজন শ্রমিক ওই জমিতে কাজ করতে গেলে সোহাগ ও তার লোকজন গিয়ে কাজ বন্ধ করতে বলে। এ সময় প্রকাশ্যে সে বলে, ‘ কাল যুবলীগের সম্মেলন। ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে এই জমিতে কোনও কাজ করতে দেয়া হবে না।’
স্থানীয়রা তার চাঁদা দাবির প্রতিবাদ জানালে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় সোহাগের লোকেরা কয়েকজনকে মারধর করলে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে সোহাগসহ কয়েকজনকে গণধোলাই দেয়। এলাকাবাসীর তোপের মুখে সহযোগিরা পালিয়ে গেলে কিছুটা আহত হয় হাবিবুর রহমান সোহাগ। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খিলগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান জানান, বিষয়টি তার গোচরে এসেছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




যুবলীগের সম্মেলনের নামে চাঁদা তুলতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার ইউপি মেম্বার

আপডেট সময় : ০৮:৩৫:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;  

যুবলীগের সম্মেলনের নামে মোটা অংকের চাঁদা চাইতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন, রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার হাবিবুর রহমান সোহাগ। সম্মেলনের ঠিক আগের দিন নবীনবাগ বালুর মাঠ এলাকায় এক জমি মালিকের কাছে চাঁদা চাইতে গেলে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দিয়ে হাসপাতালে পাঠায়।
এলাকাবাসি জানিয়েছেন, হাবিবুর রহমান সোহাগ নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় আধিপত্ব চালিয়ে আসছে। ইউপি মেম্বার থাকা অবস্থায় বহু মানুষের জমি দখল করেছে। এরপর যুবলীগের খাতায় নাম লিখিয়ে লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি ও জমি দখলই তার মুল পেশা হয়ে দাঁড়ায়। যে কারণে এলাকার মানুষের কাছে তিনি ভূমি দস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়ে ওঠেন।
সবশেষ, নবীনগর বালুর মাঠ এলাকার এক খণ্ড জমি দখলে নেয়ার পায়তারা শুরু করেন এবং ওই জমিতে শ্রমিকরা কাজ করতে গেলে লোকজন নিয়ে বাধা দেন। এ বিষয়ে গত ৩ নভেম্বর খিলগাঁও থানায় সাধারণ ডায়রী করেন জমি মালিকের ছেলে খালেদুর রহমান শাকিল।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তার বাবার কেনা জমিটি রক্ষনাবেক্ষনে গেলে হাবিবুর রহমান সোহাগ যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে প্রথমে জমিটি তার কাছে কম মূল্যে বিক্রির প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে পরবর্তীতে দখলের প্রক্রিয়া শুরু করে এবং নানা ভাবে তাদের কাজে বাধা দেয়।
এদিকে, আজ শুক্রবার সকালে কয়েকজন শ্রমিক ওই জমিতে কাজ করতে গেলে সোহাগ ও তার লোকজন গিয়ে কাজ বন্ধ করতে বলে। এ সময় প্রকাশ্যে সে বলে, ‘ কাল যুবলীগের সম্মেলন। ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে এই জমিতে কোনও কাজ করতে দেয়া হবে না।’
স্থানীয়রা তার চাঁদা দাবির প্রতিবাদ জানালে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় সোহাগের লোকেরা কয়েকজনকে মারধর করলে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে সোহাগসহ কয়েকজনকে গণধোলাই দেয়। এলাকাবাসীর তোপের মুখে সহযোগিরা পালিয়ে গেলে কিছুটা আহত হয় হাবিবুর রহমান সোহাগ। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খিলগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান জানান, বিষয়টি তার গোচরে এসেছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।