যুবলীগের সম্মেলনের নামে চাঁদা তুলতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার ইউপি মেম্বার
- আপডেট সময় : ০৮:৩৫:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০১৯ ১১৯ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক;
যুবলীগের সম্মেলনের নামে মোটা অংকের চাঁদা চাইতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন, রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার হাবিবুর রহমান সোহাগ। সম্মেলনের ঠিক আগের দিন নবীনবাগ বালুর মাঠ এলাকায় এক জমি মালিকের কাছে চাঁদা চাইতে গেলে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দিয়ে হাসপাতালে পাঠায়।
এলাকাবাসি জানিয়েছেন, হাবিবুর রহমান সোহাগ নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় আধিপত্ব চালিয়ে আসছে। ইউপি মেম্বার থাকা অবস্থায় বহু মানুষের জমি দখল করেছে। এরপর যুবলীগের খাতায় নাম লিখিয়ে লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি ও জমি দখলই তার মুল পেশা হয়ে দাঁড়ায়। যে কারণে এলাকার মানুষের কাছে তিনি ভূমি দস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়ে ওঠেন।
সবশেষ, নবীনগর বালুর মাঠ এলাকার এক খণ্ড জমি দখলে নেয়ার পায়তারা শুরু করেন এবং ওই জমিতে শ্রমিকরা কাজ করতে গেলে লোকজন নিয়ে বাধা দেন। এ বিষয়ে গত ৩ নভেম্বর খিলগাঁও থানায় সাধারণ ডায়রী করেন জমি মালিকের ছেলে খালেদুর রহমান শাকিল।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তার বাবার কেনা জমিটি রক্ষনাবেক্ষনে গেলে হাবিবুর রহমান সোহাগ যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে প্রথমে জমিটি তার কাছে কম মূল্যে বিক্রির প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে পরবর্তীতে দখলের প্রক্রিয়া শুরু করে এবং নানা ভাবে তাদের কাজে বাধা দেয়।
এদিকে, আজ শুক্রবার সকালে কয়েকজন শ্রমিক ওই জমিতে কাজ করতে গেলে সোহাগ ও তার লোকজন গিয়ে কাজ বন্ধ করতে বলে। এ সময় প্রকাশ্যে সে বলে, ‘ কাল যুবলীগের সম্মেলন। ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে এই জমিতে কোনও কাজ করতে দেয়া হবে না।’
স্থানীয়রা তার চাঁদা দাবির প্রতিবাদ জানালে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় সোহাগের লোকেরা কয়েকজনকে মারধর করলে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে সোহাগসহ কয়েকজনকে গণধোলাই দেয়। এলাকাবাসীর তোপের মুখে সহযোগিরা পালিয়ে গেলে কিছুটা আহত হয় হাবিবুর রহমান সোহাগ। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খিলগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান জানান, বিষয়টি তার গোচরে এসেছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।