ঢাকা ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বাণিজ্য করে পরিবেশ অধিদপ্তরের জহিরুল কোটিপতি Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্সের নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের আবুল কালামের কোটি টাকার বাণিজ্য Logo বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস’ সুজিত চক্রবর্তী গং কর্তৃক সাংবাদিকদের হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ফ্যাসিস্টের দোসর বিটিভির প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি! পর্ব ১ Logo সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের কক্সবাজার ভ্রমন Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান




ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’র তাণ্ডবে লন্ডভন্ড সাতক্ষীরা উপকূল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৭:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৯ ৯৩ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি

প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলা। রোববার ভোররাত থেকে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। ঝড়ে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কাচা ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। রাস্তাঘাটে গাছপালা উপড়ে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মাছের ঘের ভেসে গেছে। এখনো উপকূলে চলছে বুলবুলের তাণ্ডব।

উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল জাগো নিউজকে বলেন, ঝড়ে সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। রাস্তাঘাটে গাছপালা পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। মানুষের মাটির ঘরবাড়ি একটিও নেই। মানুষের মাছের ঘের ভেসে গেছে। প্রচণ্ড বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া ভোররাত থেকে শুরু হয়ে এখনো চলছে। ঝড় শেষ হলে বিস্তারিত জানা যাবে।

তিনি আরও বলেন, ইউনিয়নে দুই হাজারেরও বেশি কাচামাটির ঘরবাড়ি ছিল। একটিও নেই। ধারণা করছি, মাটির নিচে অনেকে চাপা পড়ে গেছে। মাটির নিচে চাপা পড়া মানুষদের খোঁজা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম কামরুজ্জামান বলেন, ভোররাত থেকে শুরু হওয়া ঝড় ও বৃষ্টি এখনো চলছে। গাছপালা পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। গাবুরা ও বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের কাচামাটির ঘরগুলো সব নষ্ট হয়ে গেছে। এই দুই ইউনিয়ন বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লন্ডভন্ড হয়ে গেছে দুই ইউনিয়নের সবকিছুই। এখনো কেউ নিহত বা আহত হয়েছে কি-না জানা যায়নি।

তিনি বলেন, ঝড় বৃষ্টি থামার পর বিস্তারিত জানা যাবে। এরপরই জরুরি মুহূর্তে যা যা পদক্ষেপ নেয়া যায় তা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’র তাণ্ডবে লন্ডভন্ড সাতক্ষীরা উপকূল

আপডেট সময় : ০৮:৩৭:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি

প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলা। রোববার ভোররাত থেকে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। ঝড়ে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কাচা ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। রাস্তাঘাটে গাছপালা উপড়ে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মাছের ঘের ভেসে গেছে। এখনো উপকূলে চলছে বুলবুলের তাণ্ডব।

উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল জাগো নিউজকে বলেন, ঝড়ে সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। রাস্তাঘাটে গাছপালা পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। মানুষের মাটির ঘরবাড়ি একটিও নেই। মানুষের মাছের ঘের ভেসে গেছে। প্রচণ্ড বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া ভোররাত থেকে শুরু হয়ে এখনো চলছে। ঝড় শেষ হলে বিস্তারিত জানা যাবে।

তিনি আরও বলেন, ইউনিয়নে দুই হাজারেরও বেশি কাচামাটির ঘরবাড়ি ছিল। একটিও নেই। ধারণা করছি, মাটির নিচে অনেকে চাপা পড়ে গেছে। মাটির নিচে চাপা পড়া মানুষদের খোঁজা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম কামরুজ্জামান বলেন, ভোররাত থেকে শুরু হওয়া ঝড় ও বৃষ্টি এখনো চলছে। গাছপালা পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। গাবুরা ও বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের কাচামাটির ঘরগুলো সব নষ্ট হয়ে গেছে। এই দুই ইউনিয়ন বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লন্ডভন্ড হয়ে গেছে দুই ইউনিয়নের সবকিছুই। এখনো কেউ নিহত বা আহত হয়েছে কি-না জানা যায়নি।

তিনি বলেন, ঝড় বৃষ্টি থামার পর বিস্তারিত জানা যাবে। এরপরই জরুরি মুহূর্তে যা যা পদক্ষেপ নেয়া যায় তা নেয়া হবে।