ঢাকা ০১:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি দন্ডপ্রাপ্ত আজগর অবৈধ হাজার কোটি টাকার মালিক!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০১৯ ৮২ বার পড়া হয়েছে

এইচ আর শফিক॥ আমরা রূপকথার আলাদীনের চেরাগের গল্প শুনেছি। সেই চেরাগে ঘষা দিলেই দেখা দিত এক দৈত্য। সেই দৈত্যের কাছে তার মালিক যা চাইতেন তাই হাজির করতেন চোখের পলকে। তিনি তেমন কোন যাদুর চেরাগ পাননি। তবে পেয়েছেন দুর্নীতির চেরাগ। যা ঘষা দিলেই পড়তে থাকে টাকা আর টাকা। সেই দুর্নীতির চেরাগের কল্যাণে আজ জিরো থেকে হিরো আজগর আলী লস্কর। দিনাজপুরের একটি হত্যা মামলার ১২ বছরের কারাদ-প্রাপ্ত আসামী আজগর আলী নস্কর বর্তমানে তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক। কিভাবে তিনি অর্জন করলেন এত ধন-সম্পদ? আয়ের উৎসইবা কি? কতটাকা আয়কর দিয়েছেন ? এ সব জানতেই আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন।

নব্বইয়ের দশকে তিনি ছিলেন একজন কাঠের বেপারী। নুন আনতে পান্তা ফুরায় ছিল সংসারের অবস্থা। নতুন ঢাকার খিলগাঁয়ের একাট কাঠ গোলাও চাকুরী করেছেন বেশ কিছুদিন। লেখা পড়ার সামর্থ্য  না থাকায় সরকারী -বেসরকারী কোন চাকুর জোটেনি। অন্য দিকে নিজের পর্যাপ্ত পুঁজি না থাকায় ভাল কোন ব্যবসাও করতে পারেননি। সময়টা ছিল চরম সংকটের। নিজের বউ-বাচ্চাদের চাহিদা মেটাতে হিমসিম খেতেন প্রতি মাসেই। ঠিকমত বাড়ী ভাড়াও দিতে পারতেন না। ফলে প্রায় তাকে বন্ধু মহলে হাত পাততে হতো। অনেকেই তখন উপহাস করে ডাকতেন ‘খয়রাতি আজগর’ বলে। সেই নিস্ব-রিক্ত মানুষটিই এখন কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক। রাজধানীতে ৭/৮ টি ফ্যাট-বাড়ী, আলীশান অফিস, ৪/৫ খানা দামি গাড়ী, ফকিরাপুলে সাউথ প্যাসেফিক নামের (১০ তলা) একটি আবাসিক হোটেল । হোটেলটি৬০ কোটি টাকায় কিনেছেন ২০১৪ সালের শেষ ভাগে। এছাড়াও ঢাকার অদুরে গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ এবং কেরাণীগঞ্জে রয়েছে কয়েক একর জমি। ঢাকা চট্রগ্রাম রোডে ৭/৮ খানা কার্গো লরির মালিক। যার প্রতিটির মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। এখানেই শেষ নয়? বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা করেছেন শত শত কোটি টাকা। এসব টাকা তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে দীর্ঘমেয়াদী স্কিমে রাখা হয়েছে। তার স্ত্রীর নামে একটি ব্যাংকেই ১৪০ কোটি টাকা এফডিআরও করা আছে বলে জানা গেছে। তার এক মেয়ে পৃথিবীর স্বর্গ বলে খ্যাত চির আরাধোনার দেশ আমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আরেক মেয়ে ঢাকায় ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে। তাদের পেছনে প্রতি মাসে ৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। তিনি এমনই এক ভাগ্যবান ব্যাক্তি, যিনি কোন বৈধ ব্যবসা না করেও আজ তিনি বাংলাদেশী শীর্ষ ধনীদের একজন। কথায় আছে, ভাগ্যবানের বোঝা ভগবান বয় । মহাভাগ্যবান এই লোকটির নাম আসগর আলী নস্কর। আদী নিবাস ভারতের হাওড়া জেলায়। সেখান থেকে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেন ঠাকুরগাঁ জেলায়। সেখানে নানা অপকর্ম করে চলে আসেন দিনাজপুরে। আর এ জেলায় এসেই একটার পর একটা অঘটন ঘটিয়ে এলাকার ত্রাসে পরিণত হন। হত্যা মামলার আসামী হয়ে জেলে যান। আর এটাই তার ভাগ্যের দরজা খুলে দেয়। এক সময় জেলখানা থেকে মুক্তি পেয়ে ঢাকায় চলে আসেন। শুরু করেন কাঠের ব্যবসা। কিন্তু সে ব্যবসায় সুবিধা করতে না পেরে গলাকাটা পাসপোর্টের আদম ব্যবসা শুরু করেন। এতেই তার সাফল্য ধরা দেয়। হাতে আসে লক্ষ লক্ষ টাকা। সে টাকা কাজে লাগিয়ে তিনি তর তর করে ওপরে উঠে যান। এখন তিনি নতুন ঢাকার অভিজাত পাড়াখ্যাত বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার আড়াই কোটি টাকা মুল্যের ফাটে থাকেন। বনানীর কাকলী এলাকায় বিশাল অফিস। আরেকটি অফিস রয়েছে টংগী এলাকায়। কাঠের বেপারী থেকে হয়েছেন আদম বেপারী। তবে তার এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠাগুলো কেবলই লোক দেখানো। আদম ব্যবসার অন্তরালে তিনি ভয়ংকর সব কালো ব্যবসায় জড়িত বলে সন্দেহ । বিশেষ করে (সাংকেতিক নাম)টক্কা, ১৪ ইঞ্চি/ ১৭ ইঞ্চির নিষিদ্ধ (পিলার) ব্যবসা ছাড়াও মাণি লন্ডারিং জাতীয় একাধিক কালো মাফিয়া ব্যবসায় জড়িত বলে অভিযোগ আছে। সম্প্রতি তিনি কালো টাকা সাদা করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য নামের আগে শেখ টাইটেলটি জুড়ে দিয়ে নিজেকে শেখ পরিবারের সদস্য হিসাবে জাহির করছেন। জানাগেছে, তার প্রকৃত পদবী হল নস্কর। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগ’র ঢাকা কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি পদটি বাগাতে ইতি মধ্যেই প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় কমিটির এক প্রভাবশালী নেতাকেই দিয়েছেন ৩০ লক্ষ টাকা। এছাড়া প্রতিনিয়ত পোষ্য কর্মীদের পেছনে ব্যয় করছেন হাজার হাজার টাকা। তিনি প্রতি মাসেই ৩/৪ বার সিংগাপুর, মালয়েশিয়া ও দুবাই যান। ব্যবস্যার কথা বলে বিদেশ ভ্রমণ করেন। আছে বিশেষ পাসপোর্টও। প্রশ্ন হলো, তিনি এত ঘন ঘন কেন বিদেশে যান? আর তার ব্যাবস্যাটাই বা কিসের? তিনি দিনাজপুরের একটি আলোচিত হত্যা মামলার আসামী। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিনি ১২ বছরের কারাদ-ে দন্ডিত হন। দীর্ঘ ৯ বছর কারাভোগও করেন। পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকা খরচ করে সরকারী কৃপায় ১৯৯৪ সালে মুক্তিপান। সম্প্রতি গাজীপুর জেলা দুদকের কাছে কেবা কারা তার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। দুদক কর্মকর্তারা অননুষ্ঠানিক তথ্যনুসন্ধান শুরু করলে তিনি মোটা অংকের টাকা খাইয়ে দুদক কর্মকর্তাদের ঘুম পাড়িয়ে রেখেছেন। এসব বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়ার জন্যতার দলীয় কার্যালয়ে  যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এসব অভিযোগ মিথ্যা। আমার সম্পর্কে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সব জানেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি দন্ডপ্রাপ্ত আজগর অবৈধ হাজার কোটি টাকার মালিক!

আপডেট সময় : ০৫:৩৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০১৯

এইচ আর শফিক॥ আমরা রূপকথার আলাদীনের চেরাগের গল্প শুনেছি। সেই চেরাগে ঘষা দিলেই দেখা দিত এক দৈত্য। সেই দৈত্যের কাছে তার মালিক যা চাইতেন তাই হাজির করতেন চোখের পলকে। তিনি তেমন কোন যাদুর চেরাগ পাননি। তবে পেয়েছেন দুর্নীতির চেরাগ। যা ঘষা দিলেই পড়তে থাকে টাকা আর টাকা। সেই দুর্নীতির চেরাগের কল্যাণে আজ জিরো থেকে হিরো আজগর আলী লস্কর। দিনাজপুরের একটি হত্যা মামলার ১২ বছরের কারাদ-প্রাপ্ত আসামী আজগর আলী নস্কর বর্তমানে তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক। কিভাবে তিনি অর্জন করলেন এত ধন-সম্পদ? আয়ের উৎসইবা কি? কতটাকা আয়কর দিয়েছেন ? এ সব জানতেই আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন।

নব্বইয়ের দশকে তিনি ছিলেন একজন কাঠের বেপারী। নুন আনতে পান্তা ফুরায় ছিল সংসারের অবস্থা। নতুন ঢাকার খিলগাঁয়ের একাট কাঠ গোলাও চাকুরী করেছেন বেশ কিছুদিন। লেখা পড়ার সামর্থ্য  না থাকায় সরকারী -বেসরকারী কোন চাকুর জোটেনি। অন্য দিকে নিজের পর্যাপ্ত পুঁজি না থাকায় ভাল কোন ব্যবসাও করতে পারেননি। সময়টা ছিল চরম সংকটের। নিজের বউ-বাচ্চাদের চাহিদা মেটাতে হিমসিম খেতেন প্রতি মাসেই। ঠিকমত বাড়ী ভাড়াও দিতে পারতেন না। ফলে প্রায় তাকে বন্ধু মহলে হাত পাততে হতো। অনেকেই তখন উপহাস করে ডাকতেন ‘খয়রাতি আজগর’ বলে। সেই নিস্ব-রিক্ত মানুষটিই এখন কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক। রাজধানীতে ৭/৮ টি ফ্যাট-বাড়ী, আলীশান অফিস, ৪/৫ খানা দামি গাড়ী, ফকিরাপুলে সাউথ প্যাসেফিক নামের (১০ তলা) একটি আবাসিক হোটেল । হোটেলটি৬০ কোটি টাকায় কিনেছেন ২০১৪ সালের শেষ ভাগে। এছাড়াও ঢাকার অদুরে গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ এবং কেরাণীগঞ্জে রয়েছে কয়েক একর জমি। ঢাকা চট্রগ্রাম রোডে ৭/৮ খানা কার্গো লরির মালিক। যার প্রতিটির মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। এখানেই শেষ নয়? বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা করেছেন শত শত কোটি টাকা। এসব টাকা তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে দীর্ঘমেয়াদী স্কিমে রাখা হয়েছে। তার স্ত্রীর নামে একটি ব্যাংকেই ১৪০ কোটি টাকা এফডিআরও করা আছে বলে জানা গেছে। তার এক মেয়ে পৃথিবীর স্বর্গ বলে খ্যাত চির আরাধোনার দেশ আমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আরেক মেয়ে ঢাকায় ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে। তাদের পেছনে প্রতি মাসে ৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। তিনি এমনই এক ভাগ্যবান ব্যাক্তি, যিনি কোন বৈধ ব্যবসা না করেও আজ তিনি বাংলাদেশী শীর্ষ ধনীদের একজন। কথায় আছে, ভাগ্যবানের বোঝা ভগবান বয় । মহাভাগ্যবান এই লোকটির নাম আসগর আলী নস্কর। আদী নিবাস ভারতের হাওড়া জেলায়। সেখান থেকে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেন ঠাকুরগাঁ জেলায়। সেখানে নানা অপকর্ম করে চলে আসেন দিনাজপুরে। আর এ জেলায় এসেই একটার পর একটা অঘটন ঘটিয়ে এলাকার ত্রাসে পরিণত হন। হত্যা মামলার আসামী হয়ে জেলে যান। আর এটাই তার ভাগ্যের দরজা খুলে দেয়। এক সময় জেলখানা থেকে মুক্তি পেয়ে ঢাকায় চলে আসেন। শুরু করেন কাঠের ব্যবসা। কিন্তু সে ব্যবসায় সুবিধা করতে না পেরে গলাকাটা পাসপোর্টের আদম ব্যবসা শুরু করেন। এতেই তার সাফল্য ধরা দেয়। হাতে আসে লক্ষ লক্ষ টাকা। সে টাকা কাজে লাগিয়ে তিনি তর তর করে ওপরে উঠে যান। এখন তিনি নতুন ঢাকার অভিজাত পাড়াখ্যাত বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার আড়াই কোটি টাকা মুল্যের ফাটে থাকেন। বনানীর কাকলী এলাকায় বিশাল অফিস। আরেকটি অফিস রয়েছে টংগী এলাকায়। কাঠের বেপারী থেকে হয়েছেন আদম বেপারী। তবে তার এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠাগুলো কেবলই লোক দেখানো। আদম ব্যবসার অন্তরালে তিনি ভয়ংকর সব কালো ব্যবসায় জড়িত বলে সন্দেহ । বিশেষ করে (সাংকেতিক নাম)টক্কা, ১৪ ইঞ্চি/ ১৭ ইঞ্চির নিষিদ্ধ (পিলার) ব্যবসা ছাড়াও মাণি লন্ডারিং জাতীয় একাধিক কালো মাফিয়া ব্যবসায় জড়িত বলে অভিযোগ আছে। সম্প্রতি তিনি কালো টাকা সাদা করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য নামের আগে শেখ টাইটেলটি জুড়ে দিয়ে নিজেকে শেখ পরিবারের সদস্য হিসাবে জাহির করছেন। জানাগেছে, তার প্রকৃত পদবী হল নস্কর। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগ’র ঢাকা কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি পদটি বাগাতে ইতি মধ্যেই প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় কমিটির এক প্রভাবশালী নেতাকেই দিয়েছেন ৩০ লক্ষ টাকা। এছাড়া প্রতিনিয়ত পোষ্য কর্মীদের পেছনে ব্যয় করছেন হাজার হাজার টাকা। তিনি প্রতি মাসেই ৩/৪ বার সিংগাপুর, মালয়েশিয়া ও দুবাই যান। ব্যবস্যার কথা বলে বিদেশ ভ্রমণ করেন। আছে বিশেষ পাসপোর্টও। প্রশ্ন হলো, তিনি এত ঘন ঘন কেন বিদেশে যান? আর তার ব্যাবস্যাটাই বা কিসের? তিনি দিনাজপুরের একটি আলোচিত হত্যা মামলার আসামী। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিনি ১২ বছরের কারাদ-ে দন্ডিত হন। দীর্ঘ ৯ বছর কারাভোগও করেন। পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকা খরচ করে সরকারী কৃপায় ১৯৯৪ সালে মুক্তিপান। সম্প্রতি গাজীপুর জেলা দুদকের কাছে কেবা কারা তার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। দুদক কর্মকর্তারা অননুষ্ঠানিক তথ্যনুসন্ধান শুরু করলে তিনি মোটা অংকের টাকা খাইয়ে দুদক কর্মকর্তাদের ঘুম পাড়িয়ে রেখেছেন। এসব বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়ার জন্যতার দলীয় কার্যালয়ে  যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এসব অভিযোগ মিথ্যা। আমার সম্পর্কে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সব জানেন।