ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




জামায়াতের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজহারের সঙ্গে কারাগারে দেখা করলেন আইনজীবীরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০১৯ ৫৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন প্রতিবেদনঃ
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকার রায় আসার পর কারাগারে এসে তার সঙ্গে দেখা করে গেলেন আইনজীবীরা।

পাঁচজন আইনজীবীর একটি দল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে এসে আজহারের সঙ্গে দেখা করেন।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, তারা ১৫ মিনিটের মত ছিলেন। আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার বিষয়ে তাদের কথা হয়েছে এবং আজহারুল ইসলাম তাতে সম্মতি দিয়েছেন বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

তবে পরিবারের কেউ রায়ের পর এই জামায়াত নেতার সঙ্গে দেখা করতে আসেননি বলে জেলার বিকাশ রায়হান জানান।

একাত্তর সালে হত্যা, গণহত্যা, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোসহ তিন অভিযোগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসির দণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আজহার। এই আপিলের ওপর উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয় গত ১০ জুলাই। মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন আপিল বিভাগ।প্রসিকিউশনের আনা নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পাঁচটি এবং পরিকল্পনা-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে।

এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের রায় আসে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা চালিয়ে অন্তত ১৪০০ লোককে হত্যা এবং ১৪ জনকে খুনের অপরাধে।

এ ছাড়া ওই অঞ্চলের বহু নারীকে রংপুর টাউন হলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্রে ধর্ষণের জন্য তুলে দেয়ার অভিযোগে আজহারকে ২৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এ ছাড়া অপহরণ ও আটকে রেখে নির্যাতনের আরেকটি ঘটনায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। ট্রাইব্যুনালের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি খালাস চেয়ে আপিল করেন জামায়াতে ইসলামীর এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।

এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের রায় আসে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা চালিয়ে অন্তত ১৪০০ লোককে হত্যা এবং ১৪ জনকে খুনের অপরাধে।

এ ছাড়া ওই অঞ্চলের বহু নারীকে রংপুর টাউন হলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্রে ধর্ষণের জন্য তুলে দেয়ার অভিযোগে আজহারকে ২৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এ ছাড়া অপহরণ ও আটকে রেখে নির্যাতনের আরেকটি ঘটনায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। ট্রাইব্যুনালের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি খালাস চেয়ে আপিল করেন জামায়াতে ইসলামীর এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




জামায়াতের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজহারের সঙ্গে কারাগারে দেখা করলেন আইনজীবীরা

আপডেট সময় : ০৩:০৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০১৯

অনলাইন প্রতিবেদনঃ
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকার রায় আসার পর কারাগারে এসে তার সঙ্গে দেখা করে গেলেন আইনজীবীরা।

পাঁচজন আইনজীবীর একটি দল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে এসে আজহারের সঙ্গে দেখা করেন।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, তারা ১৫ মিনিটের মত ছিলেন। আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার বিষয়ে তাদের কথা হয়েছে এবং আজহারুল ইসলাম তাতে সম্মতি দিয়েছেন বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

তবে পরিবারের কেউ রায়ের পর এই জামায়াত নেতার সঙ্গে দেখা করতে আসেননি বলে জেলার বিকাশ রায়হান জানান।

একাত্তর সালে হত্যা, গণহত্যা, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোসহ তিন অভিযোগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসির দণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আজহার। এই আপিলের ওপর উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয় গত ১০ জুলাই। মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন আপিল বিভাগ।প্রসিকিউশনের আনা নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পাঁচটি এবং পরিকল্পনা-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে।

এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের রায় আসে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা চালিয়ে অন্তত ১৪০০ লোককে হত্যা এবং ১৪ জনকে খুনের অপরাধে।

এ ছাড়া ওই অঞ্চলের বহু নারীকে রংপুর টাউন হলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্রে ধর্ষণের জন্য তুলে দেয়ার অভিযোগে আজহারকে ২৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এ ছাড়া অপহরণ ও আটকে রেখে নির্যাতনের আরেকটি ঘটনায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। ট্রাইব্যুনালের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি খালাস চেয়ে আপিল করেন জামায়াতে ইসলামীর এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।

এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের রায় আসে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা চালিয়ে অন্তত ১৪০০ লোককে হত্যা এবং ১৪ জনকে খুনের অপরাধে।

এ ছাড়া ওই অঞ্চলের বহু নারীকে রংপুর টাউন হলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্রে ধর্ষণের জন্য তুলে দেয়ার অভিযোগে আজহারকে ২৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এ ছাড়া অপহরণ ও আটকে রেখে নির্যাতনের আরেকটি ঘটনায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। ট্রাইব্যুনালের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি খালাস চেয়ে আপিল করেন জামায়াতে ইসলামীর এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।