ঢাকা ১১:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বাণিজ্য করে পরিবেশ অধিদপ্তরের জহিরুল কোটিপতি Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্সের নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের আবুল কালামের কোটি টাকার বাণিজ্য Logo বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস’ সুজিত চক্রবর্তী গং কর্তৃক সাংবাদিকদের হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ফ্যাসিস্টের দোসর বিটিভির প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি! পর্ব ১ Logo সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের কক্সবাজার ভ্রমন Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান




উপসচিব নাসির-উদ-দৌলার ঘুষ কেলেঙ্কারীর অডিও ফাঁস! পর্ব -১

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:১৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৯ ১৫৭ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

>>৮ লাখ টাকায় প্রতিবেদন অভিযুক্তে পক্ষে!
>> কাজ করেননি টাকা ফেরত দেন: অভিযোগকারী
>> বদলী হয়ে যাওয়ার পরও কাজ করে দেয়ার আশ্বাস

রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত শেখ ফকির মাহমুদ ওয়াকফ এস্টেটের দুর্নীতি তদন্ত করতে গিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা নাসির-উদ-দৌলা সাড়ে ১১ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। অভিযুক্ত মোতোওয়ালী আলমগীর সিদ্দিকের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা ও বাদী সাহিদ ভাষানীর কাছ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা নিয়েছেন। বেশি টাকা দেয়ার জন্য অভিযুক্তের পক্ষে প্রতিবেদন দিয়েছেন নাসির-উদ-দৌলা। ওই সময় নাসির-উদ-দৌলা ওয়াকফ প্রশাসনে সহকারী প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। এরই মধ্যে তিনি উপসচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে বদলী হয়েছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে। ঘুষ লেন-দেনের
বিষয়ে বেশ কয়েক দফায় দেন দরবার হয় বাদির ভাতিজা শফিকুল ইসলাম তর‚ন এবং উপসচিব নাসিরের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে ধর্মসচিব এবং ওয়াকফ প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন সাহিদ ভাষানী। এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত অডিও রেকর্ড সকালের সংবাদের হাতে এসেছে। এর মধ্যে ১৭ ফেব্র‚য়ারি রাত ৯ টা ৩৪ মিনিটে নাসির এবং ঘুষ দেওয়ার ব্যক্তির মধ্যে ১১ মিনিট

১৫ সেকেন্ড কথা হয়। এর চুম্বুক অংশ হলো-
তর‚ন: আমার টাকাটা দিয়ে দেন। নাসির: আমার কাছে এখন এক টাকাও নাই।

তর‚ন: আমি
আপনাকে প্রমাণ দিতে পারি আপনি ওর (মোতোওয়াল-ী) থেকে ৮ লাখ টাকা নিয়েছেন। আমার টাকাটা স্যার ফেরত দিয়া দেন।

নাসির: এগুলো বলেন কেন? সাখাওয়াতের (দন্ত কমিটির সদস্য)
কথা শুনে এগুলো বলেন। শাখাওয়াত তো বদমাইশ।

তর‚ন: আগে ভাল ছিল। এখন বদমাইশ
বললে হবে? আপনি কি আমার টাকাটা দিবেন, নাকি দিবেন না?

নাসির: কেন দিব না?

তর‚ন: তা
হলে স্যার এই সপ্তাহের মধ্যে দেন। নাসির: আমার কাছে টাকা নাই।

তর‚ন: কাজের জন্য টাকা
নিয়েছেন। কাজ করেনি। টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। আমাকে উল্টো বুঝা‛েছন কেন? আমার সাথে
এত ভাল সম্পর্ক। আপনাকে এত কিছুদিলাম। রিপোটর্ আপনি আমার বিপরীতে দিলেন কেন?
রিপোর্টটা লিগ্যাল লিখলেন না কেন?

নাসির: আপনার কাজ হলেই তো হল।

তর‚ন: কাজ তো
পরের ব্যাপার। লিগ্যাল জিনিসটা না লিখা ওরে ছেড়ে দিলেন। নাসির: আপনাকে আমি কাজ করে
দিলেই তো হলো।

তর‚ন: আপনি বড় সাহেবের চাপে ওকে ছেড়ে দিলেন। আছমা জেরিন ঝুমুর
চাপে ছেড়ে দিলেন। এতেই এত ভয় পেয়ে গেলেন।

নাসির: না, ভয়ের কিছুনাই। বাদ দেন তো
ওগুলো বাদ দেন। আপনি টাকা যদি চান আমি আপনাকে টাকা দিয়ে দেব। আর আপনার
মোতোয়াল-ী হলেই তো হলো।

তর‚ন: আপনার জন্য এত কিছুকরলাম, আপনাকে চোর ধরিয়ে
দিলাম, রিপোটর্ চোরের পক্ষে দিয়া দিলেন টাকা পয়সা খেয়ে। এটা কিছুহল? আপনাকে আগেই….. চলবে….

ঘুষ কেলেঙ্কারির অডিও সহ সকল বিষয়ে উপসচিব নাসির উদ দৌলাকে মুঠোফোনে জানতো চাওয়া হলে সে সবকিছু অস্বীকার করে বলে এসব মিথ্যা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




উপসচিব নাসির-উদ-দৌলার ঘুষ কেলেঙ্কারীর অডিও ফাঁস! পর্ব -১

আপডেট সময় : ০৫:১৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৯

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

>>৮ লাখ টাকায় প্রতিবেদন অভিযুক্তে পক্ষে!
>> কাজ করেননি টাকা ফেরত দেন: অভিযোগকারী
>> বদলী হয়ে যাওয়ার পরও কাজ করে দেয়ার আশ্বাস

রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত শেখ ফকির মাহমুদ ওয়াকফ এস্টেটের দুর্নীতি তদন্ত করতে গিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা নাসির-উদ-দৌলা সাড়ে ১১ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। অভিযুক্ত মোতোওয়ালী আলমগীর সিদ্দিকের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা ও বাদী সাহিদ ভাষানীর কাছ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা নিয়েছেন। বেশি টাকা দেয়ার জন্য অভিযুক্তের পক্ষে প্রতিবেদন দিয়েছেন নাসির-উদ-দৌলা। ওই সময় নাসির-উদ-দৌলা ওয়াকফ প্রশাসনে সহকারী প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। এরই মধ্যে তিনি উপসচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে বদলী হয়েছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে। ঘুষ লেন-দেনের
বিষয়ে বেশ কয়েক দফায় দেন দরবার হয় বাদির ভাতিজা শফিকুল ইসলাম তর‚ন এবং উপসচিব নাসিরের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে ধর্মসচিব এবং ওয়াকফ প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন সাহিদ ভাষানী। এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত অডিও রেকর্ড সকালের সংবাদের হাতে এসেছে। এর মধ্যে ১৭ ফেব্র‚য়ারি রাত ৯ টা ৩৪ মিনিটে নাসির এবং ঘুষ দেওয়ার ব্যক্তির মধ্যে ১১ মিনিট

১৫ সেকেন্ড কথা হয়। এর চুম্বুক অংশ হলো-
তর‚ন: আমার টাকাটা দিয়ে দেন। নাসির: আমার কাছে এখন এক টাকাও নাই।

তর‚ন: আমি
আপনাকে প্রমাণ দিতে পারি আপনি ওর (মোতোওয়াল-ী) থেকে ৮ লাখ টাকা নিয়েছেন। আমার টাকাটা স্যার ফেরত দিয়া দেন।

নাসির: এগুলো বলেন কেন? সাখাওয়াতের (দন্ত কমিটির সদস্য)
কথা শুনে এগুলো বলেন। শাখাওয়াত তো বদমাইশ।

তর‚ন: আগে ভাল ছিল। এখন বদমাইশ
বললে হবে? আপনি কি আমার টাকাটা দিবেন, নাকি দিবেন না?

নাসির: কেন দিব না?

তর‚ন: তা
হলে স্যার এই সপ্তাহের মধ্যে দেন। নাসির: আমার কাছে টাকা নাই।

তর‚ন: কাজের জন্য টাকা
নিয়েছেন। কাজ করেনি। টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। আমাকে উল্টো বুঝা‛েছন কেন? আমার সাথে
এত ভাল সম্পর্ক। আপনাকে এত কিছুদিলাম। রিপোটর্ আপনি আমার বিপরীতে দিলেন কেন?
রিপোর্টটা লিগ্যাল লিখলেন না কেন?

নাসির: আপনার কাজ হলেই তো হল।

তর‚ন: কাজ তো
পরের ব্যাপার। লিগ্যাল জিনিসটা না লিখা ওরে ছেড়ে দিলেন। নাসির: আপনাকে আমি কাজ করে
দিলেই তো হলো।

তর‚ন: আপনি বড় সাহেবের চাপে ওকে ছেড়ে দিলেন। আছমা জেরিন ঝুমুর
চাপে ছেড়ে দিলেন। এতেই এত ভয় পেয়ে গেলেন।

নাসির: না, ভয়ের কিছুনাই। বাদ দেন তো
ওগুলো বাদ দেন। আপনি টাকা যদি চান আমি আপনাকে টাকা দিয়ে দেব। আর আপনার
মোতোয়াল-ী হলেই তো হলো।

তর‚ন: আপনার জন্য এত কিছুকরলাম, আপনাকে চোর ধরিয়ে
দিলাম, রিপোটর্ চোরের পক্ষে দিয়া দিলেন টাকা পয়সা খেয়ে। এটা কিছুহল? আপনাকে আগেই….. চলবে….

ঘুষ কেলেঙ্কারির অডিও সহ সকল বিষয়ে উপসচিব নাসির উদ দৌলাকে মুঠোফোনে জানতো চাওয়া হলে সে সবকিছু অস্বীকার করে বলে এসব মিথ্যা।