ঢাকা ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মহিউদ্দিনের রাজপ্রাসাদ!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০১৯ ১৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি : পদক পাওয়ার পাশাপাশি কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে রয়েছে সীমাহীন অভিযোগ। এবং সম্প্রতি একাধিক ব্যাক্তি আইজিপি বরাবর বেশ কয়েকটি অভিযোগও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে এত সব অভিযোগ মাথায় থাকলেও বরিশাল শহরের প্রাণকেন্দ্র ও বিলাসবহুল আবাসিক অঞ্চলে (রুপাতলি হাউজিং) গড়েছেন একটি বিলাসবহুল রাজ প্রাসাদ সমান বহুতল অট্টালিকা।

সারাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকলেও এর মধ্যেই কৌশলে চলছে সম্পদ গড়ার প্রতিযোগিতা। এ সম্পদের উৎস কি, জানেন না কেউই।বরিশালের একজন বিতর্কিত পুলিশ অফিসার হয়েও অল্প সময়ে সম্পদ বাড়ানোর পদ্ধতি কি, তা অজানা রয়ে যায়।

এস আই মহিউদ্দিন এর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যাবসায়ীদের সাথে সঙ্খ্যতা ও ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ ও মামলা রয়েছে।

মিথ্যা মামলাসহ এন-কাউন্টারের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করার অভিযোগে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার মহিউদ্দিন এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নগরের রুপাতলী খান সড়ক এলাকার মৃত আবুল হাসেম মৃধার ছেলে মো. রিপন মৃধা। আদালতের বিচারক মো. আলী হোসাইন মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলা ও বাদীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বাদী রিপন মৃধা ও মামলার ১ নম্বর সাক্ষী মো. আফজাল হোসেন, ২ নম্বর সাক্ষী মো. রিপন আকন জমি-জমার ব্যবসা করেন। মামলার একমাত্র নামধারী আসামি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. মহিউদ্দিন মামলার বাদী সাক্ষীদের মিথ্যা মামলা দেওয়াসহ এনকাউন্টারের হুমকি দিয়ে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন।

কিন্তু তারা টাকা দিতে অপারগতা জানান। এর পর দুই দফায় এসআই তাদের বাসায় গিয়ে টাকা চেয়ে হুমকি দেন। কিন্তু তাতেও তারা রাজি না হলে ২০১৬ সালের ১৯ অক্টোবর মামলার আসামি এসআই মহিউদ্দিন আফজাল হোসেনকে জোরপূর্বক থানায় নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে মিথ্যে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠান। পাশাপাশি ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর মো. রিপন আকনকেও থানায় নিয়ে নির্যাতন চালান। পরে মামলার বাদী রিপন মৃধা ও দুই সাক্ষী মো. আফজাল এবং রিপন আকনকে ক্রসফায়ারের ঘটনা সাজিয়ে খুন করার হুমকিও দেওয়া হয়।

এতে ভয় পেয়ে গেলে বাদী ও সাক্ষীদের ২৯ অক্টোবর আসামি এসআইয়ের কথামতো আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করা হয়।এসআইয়ের নির্যাতনে বাদীসহ সাক্ষীরা অসুস্থ হয়ে জেলখানার হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীনও ছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।পরে দীর্ঘদিন হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়ে এ মামলা দায়ের করেন মো. রিপন মৃধা। যেখানে এসআই মহিউদ্দিন ছাড়াও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছিল।

এরপরও আরও বেশ কয়েকটি চাঁদাবাজির অভিযোগ মাথায় নিয়েও বেপরোয়া এই পুলিশ অফিসার গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের অভিযোগকারী ব্যাক্তিরা আবারও অভিযোগ করে বলেন ” সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিদের সাথে বন্ধুত্ব রয়েছে এসআই মহিউদ্দিনের। এই সূত্র থেকেই তার বেতনের বাইরে অবৈধ কামাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এসআই মহিউদ্দিন বলেন, আমার বেতন-ভাতা কম নয়। আমার বেতন-ভাতা টাকা সংসার চালিয়ে যা অবশিষ্ট তা পুঁজি করে রাখা হয়েছিল। এছাড়াও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ি করেছি।

এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আহমেদ সকালের সংবাদকে বলেন, তদন্ত করে দেখা হবে। আয়-ব্যায়ের অসংগতি ও দূর্নীতি-অনিয়মের প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মহিউদ্দিনের রাজপ্রাসাদ!

আপডেট সময় : ০২:০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিনিধি : পদক পাওয়ার পাশাপাশি কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে রয়েছে সীমাহীন অভিযোগ। এবং সম্প্রতি একাধিক ব্যাক্তি আইজিপি বরাবর বেশ কয়েকটি অভিযোগও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে এত সব অভিযোগ মাথায় থাকলেও বরিশাল শহরের প্রাণকেন্দ্র ও বিলাসবহুল আবাসিক অঞ্চলে (রুপাতলি হাউজিং) গড়েছেন একটি বিলাসবহুল রাজ প্রাসাদ সমান বহুতল অট্টালিকা।

সারাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকলেও এর মধ্যেই কৌশলে চলছে সম্পদ গড়ার প্রতিযোগিতা। এ সম্পদের উৎস কি, জানেন না কেউই।বরিশালের একজন বিতর্কিত পুলিশ অফিসার হয়েও অল্প সময়ে সম্পদ বাড়ানোর পদ্ধতি কি, তা অজানা রয়ে যায়।

এস আই মহিউদ্দিন এর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যাবসায়ীদের সাথে সঙ্খ্যতা ও ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ ও মামলা রয়েছে।

মিথ্যা মামলাসহ এন-কাউন্টারের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করার অভিযোগে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার মহিউদ্দিন এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নগরের রুপাতলী খান সড়ক এলাকার মৃত আবুল হাসেম মৃধার ছেলে মো. রিপন মৃধা। আদালতের বিচারক মো. আলী হোসাইন মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলা ও বাদীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বাদী রিপন মৃধা ও মামলার ১ নম্বর সাক্ষী মো. আফজাল হোসেন, ২ নম্বর সাক্ষী মো. রিপন আকন জমি-জমার ব্যবসা করেন। মামলার একমাত্র নামধারী আসামি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. মহিউদ্দিন মামলার বাদী সাক্ষীদের মিথ্যা মামলা দেওয়াসহ এনকাউন্টারের হুমকি দিয়ে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন।

কিন্তু তারা টাকা দিতে অপারগতা জানান। এর পর দুই দফায় এসআই তাদের বাসায় গিয়ে টাকা চেয়ে হুমকি দেন। কিন্তু তাতেও তারা রাজি না হলে ২০১৬ সালের ১৯ অক্টোবর মামলার আসামি এসআই মহিউদ্দিন আফজাল হোসেনকে জোরপূর্বক থানায় নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে মিথ্যে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠান। পাশাপাশি ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর মো. রিপন আকনকেও থানায় নিয়ে নির্যাতন চালান। পরে মামলার বাদী রিপন মৃধা ও দুই সাক্ষী মো. আফজাল এবং রিপন আকনকে ক্রসফায়ারের ঘটনা সাজিয়ে খুন করার হুমকিও দেওয়া হয়।

এতে ভয় পেয়ে গেলে বাদী ও সাক্ষীদের ২৯ অক্টোবর আসামি এসআইয়ের কথামতো আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করা হয়।এসআইয়ের নির্যাতনে বাদীসহ সাক্ষীরা অসুস্থ হয়ে জেলখানার হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীনও ছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।পরে দীর্ঘদিন হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়ে এ মামলা দায়ের করেন মো. রিপন মৃধা। যেখানে এসআই মহিউদ্দিন ছাড়াও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছিল।

এরপরও আরও বেশ কয়েকটি চাঁদাবাজির অভিযোগ মাথায় নিয়েও বেপরোয়া এই পুলিশ অফিসার গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের অভিযোগকারী ব্যাক্তিরা আবারও অভিযোগ করে বলেন ” সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিদের সাথে বন্ধুত্ব রয়েছে এসআই মহিউদ্দিনের। এই সূত্র থেকেই তার বেতনের বাইরে অবৈধ কামাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এসআই মহিউদ্দিন বলেন, আমার বেতন-ভাতা কম নয়। আমার বেতন-ভাতা টাকা সংসার চালিয়ে যা অবশিষ্ট তা পুঁজি করে রাখা হয়েছিল। এছাড়াও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ি করেছি।

এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আহমেদ সকালের সংবাদকে বলেন, তদন্ত করে দেখা হবে। আয়-ব্যায়ের অসংগতি ও দূর্নীতি-অনিয়মের প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।