ঢাকা ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




হুইপপুত্রের হুমকির অডিও নিয়ে তোলপাড়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১১:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২১ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের হুমকির অডিও রেকর্ড নিয়ে তোলপাড় চলছে চট্টগ্রামে।

জুয়া-ক্যাসিনোয় কলুষিত ক্রীড়া সংগঠন চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের ব্যাংক হিসাব জব্দ নিয়ে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও নগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সমপাদক দিদারুল আলম চৌধুরীকে প্রাণনাশের হুমকিসহ কুরুচিপূর্ণ কথা বলার অভিযোগ উঠে শারুনের বিরুদ্ধে।

এই অডিও গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর হুইপপুত্র শারুন ভিডিও বার্তায় এটি মিথ্যা দাবি করে তার প্রতিবাদ জানান। আবার হুইপপুত্রের ভিডিওর প্রতিবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে অডিওটি মিথ্যা প্রমাণিত করার জন্য পৃথকভাবে ২০ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করেন দিদারুল আলম চৌধুরী।

এ বিষয়ে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডির টাইমলাইনে একটি স্ট্যাটাসও দেন দিদারুল আলম চৌধুরী। দিদারুল আলম চৌধুরী লিখেন, শারুনের সঙ্গে কথোপকথনের অডিও রেকর্ডটি এডিট করা হয়েছে এমন দাবি তার। এতে নিশ্চিত হলাম যে, রক্ত তার নিজস্ব গতিতে চলে এটাই স্বাভাবিক। অডিও রেকর্ডে একটি শব্দও যদি এডিট করা হয়েছে প্রমাণ করতে পারলে আমি ১০ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করলাম।

এছাড়া আমি তাকে বার বার কল করেছি বলে যে উক্তি করেছে সে উক্তির পরিপ্রেক্ষিতে বলছি, গত কয়েক বছরের মধ্যে তার সঙ্গে আমার মোবাইলে কথোপকথন হয়েছে- কললিস্ট থেকে এমন কিছু প্রমাণ করতে পারলে আরো ১০ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করলাম। তিনি লিখেন, গত রোববার ওই কথোপকথনে শারুন বলেছিল, আংকেল আমাকে ফোন করতেন। আমি আমার মোবাইল সেটটি চুরি হওয়ায় তার নাম্বারটি হারিয়ে ফেলেছি বলে তাকে জানাই। যা ওই অডিও রেকর্ডের কথোপকথনে আছে। দিদারুল আলম টাইমলাইনে লিখেন, ১৯৮৪ সালের ২১শে জানুয়ারি আমার শিশুপুত্র মো. জাবের চৌধুরী ১ মাস ৭ দিন বয়সে মৃত্যুবরণ করলে তার দাফন সেরে আমি ক্রিকেট দল নিয়ে ফাইনাল খেলায় মাঠে নেমে বিজয় দিবস ক্রিকেটে চ্যামিপয়ন হয়েছিলাম।

গত শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টুর্নামেন্ট চলাকালীন শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে শারুনের সঙ্গে উপরোক্ত বিষয়ে আলাপচারিতায় সে বলে, আংকেল আমার জন্মও তো ১৯৮৪ সালে। ওই মুহূর্তে আমি তাকে বুকেজড়িয়ে ধরে আমার ছেলে বলে সম্বোধন করি।

মোবাইলে আলাপচারিতার বিষয়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংগঠন ও বিভিন্ন জনের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার চাপ সৃষ্টি করলেও ওই ছেলে সমপর্কটি মনে এনে কিছু করিনি এবং কাউকে করতেও দিইনি। আজ প্রমাণিত হলো যে, আমি ছেলের আদরে যতই দামি কোর্ট পরাই না কেন প্রতারকের রক্ত থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও নগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সমপাদক দিদারুল আলম চৌধুরীকে প্রাণনাশের হুমকিসহ কুরুচিপূর্ণ কথা বলার অভিযোগ উঠে চট্টগ্রামের পটিয়া আসনের সংসদ সদস্য ও হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় নিরাপত্তা ও আইনি সুরক্ষা চেয়ে গত ১৯শে সেপ্টেম্বর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি আবেদনও করেছেন ক্রীড়া সংগঠক দিদারুল আলম চৌধুরী।

অভিযোগে দিদারুল আলম চৌধুরী উল্লেখ করেন, তিনি আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৭ সাল থেকে তাকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হলেও ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রাখা হয়। সেই হিসেবে প্রিমিয়ার ব্যাংক জিইসি মোড় শাখায় চট্টগ্রাম আবাহনী ফুটবল কমিটি নামে একটি যৌথ হিসাব খোলা হয়।
হিসাবের স্বাক্ষরকারী হিসাবে ক্লাবের মহাসচিব শামসুল হক চৌধুরী, ম্যানেজার সাইফুদ্দিনের পাশাপাশি দিদারুল আলমের স্বাক্ষর নেয়ারও কথা সব ধরনের লেনদেনে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তাকে অন্ধকারে রেখে ওই হিসাব থেকে টাকা পয়সা লেনদেন করা হচ্ছিল। সেজন্য দিদারুল আলম চৌধুরী এ মাসে অ্যাকাউন্ট বন্ধের আবেদন করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সব ধরনের লেনদেন স্থগিত রাখে।

এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে শামসুল হকের ছেলে নাজমুল করিম শারুন গত ১৭ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে দিদারুলের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। কথা বলার এক পর্যায়ে বন্ধ হওয়া ব্যাংক হিসাব খুলে দিতে তিনি চাপ দিতে থাকেন। সেটা না মানলে প্রবীণ এ ক্রীড়া সংগঠককে হুমকি-ধমকিসহ অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেন। এমনকি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ‘চোয়ারাই দাত ফেলায় দিয়ুম’ (চড় মেরে দাত ফেলে দেব) এমন হুমকিও দেন। আর এ নিয়ে চট্টগ্রামের রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়।

এছাড়া চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডে জুয়া-ক্যাসিনো নিয়ে অভিযানের পর হুইপ শামসুল হক চৌধুরী ক্লাবে তাস খেলার পক্ষে মত দেন। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরশেনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। ফলে দলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে উত্তাপ। এ নিয়ে হুহুপপুত্র শারুন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সমপাদক মফিজুর রহমান এবং নগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সমপাদক দিদারুল আলম চৌধুরীকে দায়ী করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




হুইপপুত্রের হুমকির অডিও নিয়ে তোলপাড়

আপডেট সময় : ০৯:১১:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের হুমকির অডিও রেকর্ড নিয়ে তোলপাড় চলছে চট্টগ্রামে।

জুয়া-ক্যাসিনোয় কলুষিত ক্রীড়া সংগঠন চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের ব্যাংক হিসাব জব্দ নিয়ে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও নগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সমপাদক দিদারুল আলম চৌধুরীকে প্রাণনাশের হুমকিসহ কুরুচিপূর্ণ কথা বলার অভিযোগ উঠে শারুনের বিরুদ্ধে।

এই অডিও গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর হুইপপুত্র শারুন ভিডিও বার্তায় এটি মিথ্যা দাবি করে তার প্রতিবাদ জানান। আবার হুইপপুত্রের ভিডিওর প্রতিবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে অডিওটি মিথ্যা প্রমাণিত করার জন্য পৃথকভাবে ২০ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করেন দিদারুল আলম চৌধুরী।

এ বিষয়ে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডির টাইমলাইনে একটি স্ট্যাটাসও দেন দিদারুল আলম চৌধুরী। দিদারুল আলম চৌধুরী লিখেন, শারুনের সঙ্গে কথোপকথনের অডিও রেকর্ডটি এডিট করা হয়েছে এমন দাবি তার। এতে নিশ্চিত হলাম যে, রক্ত তার নিজস্ব গতিতে চলে এটাই স্বাভাবিক। অডিও রেকর্ডে একটি শব্দও যদি এডিট করা হয়েছে প্রমাণ করতে পারলে আমি ১০ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করলাম।

এছাড়া আমি তাকে বার বার কল করেছি বলে যে উক্তি করেছে সে উক্তির পরিপ্রেক্ষিতে বলছি, গত কয়েক বছরের মধ্যে তার সঙ্গে আমার মোবাইলে কথোপকথন হয়েছে- কললিস্ট থেকে এমন কিছু প্রমাণ করতে পারলে আরো ১০ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করলাম। তিনি লিখেন, গত রোববার ওই কথোপকথনে শারুন বলেছিল, আংকেল আমাকে ফোন করতেন। আমি আমার মোবাইল সেটটি চুরি হওয়ায় তার নাম্বারটি হারিয়ে ফেলেছি বলে তাকে জানাই। যা ওই অডিও রেকর্ডের কথোপকথনে আছে। দিদারুল আলম টাইমলাইনে লিখেন, ১৯৮৪ সালের ২১শে জানুয়ারি আমার শিশুপুত্র মো. জাবের চৌধুরী ১ মাস ৭ দিন বয়সে মৃত্যুবরণ করলে তার দাফন সেরে আমি ক্রিকেট দল নিয়ে ফাইনাল খেলায় মাঠে নেমে বিজয় দিবস ক্রিকেটে চ্যামিপয়ন হয়েছিলাম।

গত শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টুর্নামেন্ট চলাকালীন শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে শারুনের সঙ্গে উপরোক্ত বিষয়ে আলাপচারিতায় সে বলে, আংকেল আমার জন্মও তো ১৯৮৪ সালে। ওই মুহূর্তে আমি তাকে বুকেজড়িয়ে ধরে আমার ছেলে বলে সম্বোধন করি।

মোবাইলে আলাপচারিতার বিষয়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংগঠন ও বিভিন্ন জনের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার চাপ সৃষ্টি করলেও ওই ছেলে সমপর্কটি মনে এনে কিছু করিনি এবং কাউকে করতেও দিইনি। আজ প্রমাণিত হলো যে, আমি ছেলের আদরে যতই দামি কোর্ট পরাই না কেন প্রতারকের রক্ত থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও নগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সমপাদক দিদারুল আলম চৌধুরীকে প্রাণনাশের হুমকিসহ কুরুচিপূর্ণ কথা বলার অভিযোগ উঠে চট্টগ্রামের পটিয়া আসনের সংসদ সদস্য ও হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় নিরাপত্তা ও আইনি সুরক্ষা চেয়ে গত ১৯শে সেপ্টেম্বর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি আবেদনও করেছেন ক্রীড়া সংগঠক দিদারুল আলম চৌধুরী।

অভিযোগে দিদারুল আলম চৌধুরী উল্লেখ করেন, তিনি আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৭ সাল থেকে তাকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হলেও ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রাখা হয়। সেই হিসেবে প্রিমিয়ার ব্যাংক জিইসি মোড় শাখায় চট্টগ্রাম আবাহনী ফুটবল কমিটি নামে একটি যৌথ হিসাব খোলা হয়।
হিসাবের স্বাক্ষরকারী হিসাবে ক্লাবের মহাসচিব শামসুল হক চৌধুরী, ম্যানেজার সাইফুদ্দিনের পাশাপাশি দিদারুল আলমের স্বাক্ষর নেয়ারও কথা সব ধরনের লেনদেনে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তাকে অন্ধকারে রেখে ওই হিসাব থেকে টাকা পয়সা লেনদেন করা হচ্ছিল। সেজন্য দিদারুল আলম চৌধুরী এ মাসে অ্যাকাউন্ট বন্ধের আবেদন করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সব ধরনের লেনদেন স্থগিত রাখে।

এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে শামসুল হকের ছেলে নাজমুল করিম শারুন গত ১৭ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে দিদারুলের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। কথা বলার এক পর্যায়ে বন্ধ হওয়া ব্যাংক হিসাব খুলে দিতে তিনি চাপ দিতে থাকেন। সেটা না মানলে প্রবীণ এ ক্রীড়া সংগঠককে হুমকি-ধমকিসহ অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেন। এমনকি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ‘চোয়ারাই দাত ফেলায় দিয়ুম’ (চড় মেরে দাত ফেলে দেব) এমন হুমকিও দেন। আর এ নিয়ে চট্টগ্রামের রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়।

এছাড়া চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডে জুয়া-ক্যাসিনো নিয়ে অভিযানের পর হুইপ শামসুল হক চৌধুরী ক্লাবে তাস খেলার পক্ষে মত দেন। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরশেনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। ফলে দলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে উত্তাপ। এ নিয়ে হুহুপপুত্র শারুন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সমপাদক মফিজুর রহমান এবং নগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সমপাদক দিদারুল আলম চৌধুরীকে দায়ী করেন।