ঢাকা ১২:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




প্রতিহিংসার রাজনীতি করলে বিএনপির অস্তিত্ব থাকত না: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৯:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ মানুষ হত্যার রাজনীতি করে না, প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসীও নয়। সেটায় বিশ্বাস করলে এদেশে বিএনপির অস্তিত্ব থাকত না।

বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন সংসদে সরকারি ও বিরোধীদলের একাধিক সংসদ সদস্যের লিখিত ও সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী।

বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার প্রশ্নের লিখিত জবাবে শেখ হাসিনা আরও বলেন, বিএনপি সরকারের সময় তাদের হাতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যে পরিমাণ হত্যা, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছি তা নজিরবিহীন। এদেশে জঙ্গি সৃষ্টি, অগ্নিসন্ত্রাস, বোমা হামলা, মানি লন্ডারিং, এতিমের টাকা আত্মসাৎসহ হেন অপকর্ম নেই যা খালেদা জিয়া, তার দুই ছেলে এবং তার দলের নেতারা করেননি।

এর আগে রুহিন ফারাহানা প্রশ্ন করার সময় বলেন, দেশে বর্তমানে মানুষ হত্যার বিচার থেকে মশা মারা পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রয়োজন হয়। এর লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (রুমিন) একটি অনাকাঙ্খিত, অসংসদীয় ও অবান্তর প্রশ্ন করেছেন। তিনি মানুষ হত্যা আর মশা মারাকে একই সমতলে নিয়ে এসেছেন। আমি সংসদ সদস্যের নেত্রী খালেদা জিয়ার মতো দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে কাটালেই কি প্রশ্নকারী খুশি হতেন?

শেখ হাসিনা বলেন, রাষ্ট্র একটি যন্ত্রের মতো। এই যন্ত্রের বিভিন্ন কল-কব্জা যখন সমন্বিতভাবে কাজ করে, তখনই রাষ্ট্র ভালো থাকে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে কারণ রাষ্ট্রযন্ত্র ভালোভাবে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানের অকার্যকর হওয়ার কথা উনি (রুমিন) বলছেন। অকার্যকর রাষ্ট্রের উদাহরণ তো বিএনপিই সৃষ্টি করেছিল। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসত রাষ্ট্রযন্ত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন ব্যক্তির কাছ থেকে। প্রধানমন্ত্রী ঘুমিয়ে থাকতেন, সিদ্ধান্ত দিতেন তাঁর পুত্র হাওয়া ভবন থেকে। মন্ত্রী-সচিবরা হাওয়া ভবন থেকে নির্দেশের অপেক্ষায় প্রহর গুণতেন।

সংসদ নেতা বলেন, সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। যার অন্যতম কাজ ও দায়িত্ব হচ্ছে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাজের সমন্বয় করা। মন্ত্রীদের কাজের তদারকি করা। জনগণ আমাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য। আরাম-আয়েসের জন্য প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণ করিনি আমি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




প্রতিহিংসার রাজনীতি করলে বিএনপির অস্তিত্ব থাকত না: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৯:১৯:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ মানুষ হত্যার রাজনীতি করে না, প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসীও নয়। সেটায় বিশ্বাস করলে এদেশে বিএনপির অস্তিত্ব থাকত না।

বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন সংসদে সরকারি ও বিরোধীদলের একাধিক সংসদ সদস্যের লিখিত ও সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী।

বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার প্রশ্নের লিখিত জবাবে শেখ হাসিনা আরও বলেন, বিএনপি সরকারের সময় তাদের হাতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যে পরিমাণ হত্যা, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছি তা নজিরবিহীন। এদেশে জঙ্গি সৃষ্টি, অগ্নিসন্ত্রাস, বোমা হামলা, মানি লন্ডারিং, এতিমের টাকা আত্মসাৎসহ হেন অপকর্ম নেই যা খালেদা জিয়া, তার দুই ছেলে এবং তার দলের নেতারা করেননি।

এর আগে রুহিন ফারাহানা প্রশ্ন করার সময় বলেন, দেশে বর্তমানে মানুষ হত্যার বিচার থেকে মশা মারা পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রয়োজন হয়। এর লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (রুমিন) একটি অনাকাঙ্খিত, অসংসদীয় ও অবান্তর প্রশ্ন করেছেন। তিনি মানুষ হত্যা আর মশা মারাকে একই সমতলে নিয়ে এসেছেন। আমি সংসদ সদস্যের নেত্রী খালেদা জিয়ার মতো দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে কাটালেই কি প্রশ্নকারী খুশি হতেন?

শেখ হাসিনা বলেন, রাষ্ট্র একটি যন্ত্রের মতো। এই যন্ত্রের বিভিন্ন কল-কব্জা যখন সমন্বিতভাবে কাজ করে, তখনই রাষ্ট্র ভালো থাকে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে কারণ রাষ্ট্রযন্ত্র ভালোভাবে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানের অকার্যকর হওয়ার কথা উনি (রুমিন) বলছেন। অকার্যকর রাষ্ট্রের উদাহরণ তো বিএনপিই সৃষ্টি করেছিল। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসত রাষ্ট্রযন্ত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন ব্যক্তির কাছ থেকে। প্রধানমন্ত্রী ঘুমিয়ে থাকতেন, সিদ্ধান্ত দিতেন তাঁর পুত্র হাওয়া ভবন থেকে। মন্ত্রী-সচিবরা হাওয়া ভবন থেকে নির্দেশের অপেক্ষায় প্রহর গুণতেন।

সংসদ নেতা বলেন, সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। যার অন্যতম কাজ ও দায়িত্ব হচ্ছে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাজের সমন্বয় করা। মন্ত্রীদের কাজের তদারকি করা। জনগণ আমাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য। আরাম-আয়েসের জন্য প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণ করিনি আমি।