ঢাকা ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




কলেজে না গিয়েও ৮ বছর বেতন-ভাতা নিচ্ছেন এমপির স্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫১:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রায় আটক বছর ধরে কলেজে যান না রাজশাহীর বরেন্দ্র কলেজের সহকারী অধ্যাপক তসলিমা খাতুন। এ শিক্ষিকার স্বামী রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা তিন মেয়াদে এ আসনের সংসদ সদস্য। দীর্ঘদিন এ কলেজ পরিচালনা কমিটিতেও ছিলেন তিনি।

ফলে এ সুযোগ নিয়েছেন এমপিপত্নী। কলেজে না গেলেও একজন নারীকে ক্লাস নেয়ার জন্য রেখেছেন তিনি। প্রতি মাসে নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলে ওই নারীকে সামান্য অর্থ ধরিয়ে দেন এমপিপত্নী। এ শিক্ষিকার এমন কাণ্ডে ক্ষুব্ধ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষিকা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে রাজশাহী বরেন্দ্র কলেজের এক শিক্ষক বলেন, দীর্ঘ আট বছর ধরে কোনো ক্লাস নেন না তসলিমা খাতুন। ক্লাস নেয়ার জন্য তিনি মিমি নামের একজনকে ঠিক করে রেখেছেন। তসলিমার পরিবর্তে তার ক্লাসগুলো নেন মিমি। বিনিময়ে মিমিকে মাসে ৫-৬ হাজার টাকা দেন তসলিমা। তবে মিমির শিক্ষক নিবন্ধন নেই।

তসলিমা এমপির স্ত্রী হওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ভয়ে কিছু বলে না। এমপির স্ত্রী হওয়ার দাপটে বছরের পর বছর এভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন তসলিমা খাতুন।

বরেন্দ্র কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভাষ্য, আমরা ওই শিক্ষিকাকে নামেই চিনি। কিন্তু কখনো ক্লাসে পাইনি তাকে। গত কয়েক বছর তাকে কলেজে দেখিনি আমরা।

নাম প্রকাশ না করে রাজশাহীর একজন প্রবীণ কলেজশিক্ষক বলেন, কোনো শিক্ষক ছুটিতে গেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তার ক্লাস নেয়ার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারেন। তবে তাকে নিবন্ধিত শিক্ষক হতে হবে। কিন্তু নিজে অনুপস্থিত থেকে একজন অনিবন্ধিত শিক্ষক দিয়ে ক্লাস নেয়া নিয়মবহির্ভূত।

তিনি আরও বলেন, কলেজে হাজির না হয়ে বেতন-ভাতা উত্তোলন অবৈধ। এমপির স্ত্রী তসলিমা খাতুন যদি সেটি করে থাকেন তবে তার বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হলে এ সুযোগ আরও অনেকেই নেয়ার চেষ্টা করবে। এতে শিক্ষা ব্যবস্থা কলুষিত হবে।

এ ব্যাপারে জানতে মুঠোফোনে অধ্যাপক তসলিমা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর মো. আব্দুল মালেক বলেন, সহকারী অধ্যাপক তসলিমা খাতুন নিয়োমিত কলেজে আসতে পারেন না। এজন্য তিনি একজনকে ঠিক করে দিয়েছেন তার ক্লাস নেয়ার জন্য। তবে মাঝেমধ্যে কলেজে আসলে ক্লাস নেন তসলিমা খাতুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কলেজে না গিয়েও ৮ বছর বেতন-ভাতা নিচ্ছেন এমপির স্ত্রী

আপডেট সময় : ০৯:৫১:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রায় আটক বছর ধরে কলেজে যান না রাজশাহীর বরেন্দ্র কলেজের সহকারী অধ্যাপক তসলিমা খাতুন। এ শিক্ষিকার স্বামী রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা তিন মেয়াদে এ আসনের সংসদ সদস্য। দীর্ঘদিন এ কলেজ পরিচালনা কমিটিতেও ছিলেন তিনি।

ফলে এ সুযোগ নিয়েছেন এমপিপত্নী। কলেজে না গেলেও একজন নারীকে ক্লাস নেয়ার জন্য রেখেছেন তিনি। প্রতি মাসে নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলে ওই নারীকে সামান্য অর্থ ধরিয়ে দেন এমপিপত্নী। এ শিক্ষিকার এমন কাণ্ডে ক্ষুব্ধ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষিকা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে রাজশাহী বরেন্দ্র কলেজের এক শিক্ষক বলেন, দীর্ঘ আট বছর ধরে কোনো ক্লাস নেন না তসলিমা খাতুন। ক্লাস নেয়ার জন্য তিনি মিমি নামের একজনকে ঠিক করে রেখেছেন। তসলিমার পরিবর্তে তার ক্লাসগুলো নেন মিমি। বিনিময়ে মিমিকে মাসে ৫-৬ হাজার টাকা দেন তসলিমা। তবে মিমির শিক্ষক নিবন্ধন নেই।

তসলিমা এমপির স্ত্রী হওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ভয়ে কিছু বলে না। এমপির স্ত্রী হওয়ার দাপটে বছরের পর বছর এভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন তসলিমা খাতুন।

বরেন্দ্র কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভাষ্য, আমরা ওই শিক্ষিকাকে নামেই চিনি। কিন্তু কখনো ক্লাসে পাইনি তাকে। গত কয়েক বছর তাকে কলেজে দেখিনি আমরা।

নাম প্রকাশ না করে রাজশাহীর একজন প্রবীণ কলেজশিক্ষক বলেন, কোনো শিক্ষক ছুটিতে গেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তার ক্লাস নেয়ার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারেন। তবে তাকে নিবন্ধিত শিক্ষক হতে হবে। কিন্তু নিজে অনুপস্থিত থেকে একজন অনিবন্ধিত শিক্ষক দিয়ে ক্লাস নেয়া নিয়মবহির্ভূত।

তিনি আরও বলেন, কলেজে হাজির না হয়ে বেতন-ভাতা উত্তোলন অবৈধ। এমপির স্ত্রী তসলিমা খাতুন যদি সেটি করে থাকেন তবে তার বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হলে এ সুযোগ আরও অনেকেই নেয়ার চেষ্টা করবে। এতে শিক্ষা ব্যবস্থা কলুষিত হবে।

এ ব্যাপারে জানতে মুঠোফোনে অধ্যাপক তসলিমা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর মো. আব্দুল মালেক বলেন, সহকারী অধ্যাপক তসলিমা খাতুন নিয়োমিত কলেজে আসতে পারেন না। এজন্য তিনি একজনকে ঠিক করে দিয়েছেন তার ক্লাস নেয়ার জন্য। তবে মাঝেমধ্যে কলেজে আসলে ক্লাস নেন তসলিমা খাতুন।