ঢাকা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




ইতালি থেকে ঢাকায় এসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু প্রবাসীর স্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৪:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০১৯ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ ডেস্ক : স্বামী-সন্তান নিয়ে ইতালি থেকে দেশে বেড়াতে এসেছিলেন হাফসা লিপি (৩৪) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী। এরপর আর সেদেশে ফিরে যেতে পারলেন না তিনি। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে থাকা অবস্থায় সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে মৃত্যু হয় তার।

তিনি চার দিন ধরে ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাফসার স্বামী সর্দার আব্দুল সাত্তার তরুণ (৩৬) নিজেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

দুই সন্তান অলি (১২) ও আয়ানকে (৬) নিয়ে সপ্তাহ তিনেক আগে দেশে এসে রাজধানীর কলাবাগানে উঠেছিলেন তারা।

সাত্তারের বড় বোন ডা. নুরুন্নাহার বলেন, ‘ঢাকায় আসার পরপরই জ্বরে পড়েন তার ভাই। তার অসুস্থতার মধ্যেই হাফসার জ্বর আসে। গত ২৮ জুলাই এনএস১ পরীক্ষা করা হলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। কিন্তু আমার ভাই বাসায় অসুস্থ বলে হাফসা স্বামীর সঙ্গে বাসায় থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শুক্রবার সকালে হঠাৎ করে তার অবস্থা খারাপের দিকে গেলে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওইদিনই তাকে আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) নেয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।’

শরীয়পুরের ভেদরগঞ্জ থানার সর্দার বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে হাফসাকে দাফন করা হবে বলে জানান নুরুন্নাহার।

চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ১৮ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাওয়া খবরের মতে, মৃত্যুর সংখ্যা নব্বই ছাড়িয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ইতালি থেকে ঢাকায় এসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু প্রবাসীর স্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:০৪:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০১৯

সকালের সংবাদ ডেস্ক : স্বামী-সন্তান নিয়ে ইতালি থেকে দেশে বেড়াতে এসেছিলেন হাফসা লিপি (৩৪) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী। এরপর আর সেদেশে ফিরে যেতে পারলেন না তিনি। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে থাকা অবস্থায় সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে মৃত্যু হয় তার।

তিনি চার দিন ধরে ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাফসার স্বামী সর্দার আব্দুল সাত্তার তরুণ (৩৬) নিজেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

দুই সন্তান অলি (১২) ও আয়ানকে (৬) নিয়ে সপ্তাহ তিনেক আগে দেশে এসে রাজধানীর কলাবাগানে উঠেছিলেন তারা।

সাত্তারের বড় বোন ডা. নুরুন্নাহার বলেন, ‘ঢাকায় আসার পরপরই জ্বরে পড়েন তার ভাই। তার অসুস্থতার মধ্যেই হাফসার জ্বর আসে। গত ২৮ জুলাই এনএস১ পরীক্ষা করা হলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। কিন্তু আমার ভাই বাসায় অসুস্থ বলে হাফসা স্বামীর সঙ্গে বাসায় থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শুক্রবার সকালে হঠাৎ করে তার অবস্থা খারাপের দিকে গেলে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওইদিনই তাকে আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) নেয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।’

শরীয়পুরের ভেদরগঞ্জ থানার সর্দার বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে হাফসাকে দাফন করা হবে বলে জানান নুরুন্নাহার।

চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ১৮ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাওয়া খবরের মতে, মৃত্যুর সংখ্যা নব্বই ছাড়িয়েছে।