ঢাকা ১১:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বাণিজ্য করে পরিবেশ অধিদপ্তরের জহিরুল কোটিপতি Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্সের নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের আবুল কালামের কোটি টাকার বাণিজ্য Logo বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস’ সুজিত চক্রবর্তী গং কর্তৃক সাংবাদিকদের হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ফ্যাসিস্টের দোসর বিটিভির প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি! পর্ব ১ Logo সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের কক্সবাজার ভ্রমন Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান




দালালের খপ্পরে পড়ে ১২৭ জনের হজে যাওয়া অনিশ্চিত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০১৯ ১৫১ বার পড়া হয়েছে

প্রধান প্রতিবেদক হজ ক্যাম্প থেকে

দালালের খপ্পরে পড়ে ১২৭ জন হজযাত্রীর হজে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শুক্রবার বিকেল ৫টায় তাদের ফ্লাইট হওয়ার কথা থাকলেও, এখন পর্যন্ত ভিসা পাননি। এদিকে শুক্রবার বন্ধের দিন থাকায় তাদের ভিসা করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অনিশ্চয়তায় ভোগা হজযাত্রীরা এখন হজ ক্যাম্পে অবস্থান করছেন।

দুপুরে হজ ক্যাম্প থেকে হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন তসলিম সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিপদগ্রস্ত হজযাত্রীদের ভিসা করার চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, ১২৭ হজযাত্রীদের বেশিরভাগ বাগেরহাট এলাকার। অল্প সংখ্যক রয়েছেন ঢাকা এবং অন্যান্য জেলার। প্রতারিত হজযাত্রীরা ৬০ জন স্বদেশ ওভারসিজ নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে হজের টাকা প্রদান করেন। বাকি ৬৭ জন বিদেশ ভ্রমণ নামক এক হজ এজেন্সিকে টাকা দিয়েছেন।

প্রতারিত হজযাত্রীদের একজন মুফতি আমিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, তারা সবাই দালাল তোহার মাধ্যমে দুই এজেন্সিকে টাকা দিয়েছেন। তোহা তাদের কাছ থেকে নেয়া টাকা এজেন্সির মালিককে বুঝিয়ে দেননি। যে কারণে এজেন্সি মালিকের হাতে তাদের ভিসার টাকা পৌঁছেনি এবং অ্যাম্বাসিতে টাকা জমা করা যায়নি। এমন জটিলতা তৈরি করে দালাল তোহা দীর্ঘদিন পালিয়ে ছিলেন। গতকাল তাকে হাব নেতারা পাকড়াও করেছেন। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, হাব নেতাদের প্রচেষ্টায় ভিসা করার প্রক্রিয়া চলছে।

উল্লেখ্য, আসন্ন হজ পালনে সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৮৫ হাজার ৮১১ জন হজযাত্রী। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৬০৪ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ২০৭ জন হজ যাত্রী রয়েছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ১২৬টি ও সৌদি এয়ারলাইন্স পরিচালিত ১১১টিসহ মোট ২৩৭টি ফ্লাইটে তারা সেখানে পৌঁছান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




দালালের খপ্পরে পড়ে ১২৭ জনের হজে যাওয়া অনিশ্চিত

আপডেট সময় : ০৩:১৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০১৯

প্রধান প্রতিবেদক হজ ক্যাম্প থেকে

দালালের খপ্পরে পড়ে ১২৭ জন হজযাত্রীর হজে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শুক্রবার বিকেল ৫টায় তাদের ফ্লাইট হওয়ার কথা থাকলেও, এখন পর্যন্ত ভিসা পাননি। এদিকে শুক্রবার বন্ধের দিন থাকায় তাদের ভিসা করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অনিশ্চয়তায় ভোগা হজযাত্রীরা এখন হজ ক্যাম্পে অবস্থান করছেন।

দুপুরে হজ ক্যাম্প থেকে হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন তসলিম সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিপদগ্রস্ত হজযাত্রীদের ভিসা করার চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, ১২৭ হজযাত্রীদের বেশিরভাগ বাগেরহাট এলাকার। অল্প সংখ্যক রয়েছেন ঢাকা এবং অন্যান্য জেলার। প্রতারিত হজযাত্রীরা ৬০ জন স্বদেশ ওভারসিজ নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে হজের টাকা প্রদান করেন। বাকি ৬৭ জন বিদেশ ভ্রমণ নামক এক হজ এজেন্সিকে টাকা দিয়েছেন।

প্রতারিত হজযাত্রীদের একজন মুফতি আমিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, তারা সবাই দালাল তোহার মাধ্যমে দুই এজেন্সিকে টাকা দিয়েছেন। তোহা তাদের কাছ থেকে নেয়া টাকা এজেন্সির মালিককে বুঝিয়ে দেননি। যে কারণে এজেন্সি মালিকের হাতে তাদের ভিসার টাকা পৌঁছেনি এবং অ্যাম্বাসিতে টাকা জমা করা যায়নি। এমন জটিলতা তৈরি করে দালাল তোহা দীর্ঘদিন পালিয়ে ছিলেন। গতকাল তাকে হাব নেতারা পাকড়াও করেছেন। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, হাব নেতাদের প্রচেষ্টায় ভিসা করার প্রক্রিয়া চলছে।

উল্লেখ্য, আসন্ন হজ পালনে সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৮৫ হাজার ৮১১ জন হজযাত্রী। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৬০৪ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ২০৭ জন হজ যাত্রী রয়েছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ১২৬টি ও সৌদি এয়ারলাইন্স পরিচালিত ১১১টিসহ মোট ২৩৭টি ফ্লাইটে তারা সেখানে পৌঁছান।