তবে কি অন্তর্বর্তীকালীন কোচ খালেদ মাহমুদ?
- আপডেট সময় : ০৪:৩৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০১৯ ১২২ বার পড়া হয়েছে
ক্রীড়া প্রতিবেদক;
স্টিভ রোডসের বিদায়ের পর অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে কোচের দায়িত্ব পালন করার সম্ভাবনা আছে খালেদ মাহমুদের। তবে মাহমুদ নিজে অবশ্য এ ব্যাপারে খুব একটা রাজি নন।
ইংলিশ কোচ স্টিভ রোডসের অধ্যায় শেষ। এবার নতুন কোচ খোঁজার পালা। সামনে আবার শ্রীলঙ্কা সফর। হাতে সময় বেশি না থাকায় অন্তর্বর্তীকালীন কোচ নিয়েই ভাবতে হচ্ছে বিসিবিকে। অন্তর্বর্তীকালীন কোচের কথা উঠলেই সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদের নাম শোনা যায়, যিনি চন্ডিকা হাথুরুসিংহে যাওয়ার পর ঘরের মাঠের ত্রিদেশীয় সিরিজ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে আপৎকালীন কোচের দায়িত্বে ছিলেন।
বিশ্বকাপে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা খালেদ মাহমুদ অবশ্য দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারে খোলাসা করে কিছুই বললেন না। তবে সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিলেন না। কাল মিরপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘আমার ব্যাপারটা হচ্ছে আমি সব সময় অ্যাভেইলেবল থাকি। কোচিং আমার একটি পেশা। বোর্ড একবার ইনটার্মে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। আমি ইনটার্মে কাজ করব কি না, এটাও একটা কথা। বোর্ড আমাকে ইনটার্মে চিন্তা করবে কি না, সেটাও একটা কথা। বারবার এক সিরিজের জন্য ইনটার্মের দায়িত্ব নিতে চাই না। সেটা আমার জন্য ঠিক হবে না।’
প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীও শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য আপৎকালীন কোচের সম্ভাবনার কথা জানালেন, ‘কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। সেটা না হলে অন্তর্বর্তীকালীন কাউকে দায়িত্ব দিতে হবে।’ তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজের সময়সূচি নিয়ে পরিষ্কার কিছু বলতে পারলেন না প্রধান নির্বাহী। যদিও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড এক বিবৃতিতে এরই মধ্যে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের সূচি জানিয়ে দিয়েছে। ২৬,২৮ ও ৩১ জুলাই তিনটি দিবারাত্রির ওয়ানডে খেলবে দুই দল। তিনটি ম্যাচই হবে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে।
এদিকে বোর্ডের চোখ দীর্ঘ মেয়াদের জন্য প্রধান কোচ নিয়োগে। সে ক্ষেত্রে সাবেক বাংলাদেশি কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের নাম জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২১ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এবং ২০২৩ বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করতে হচ্ছে বিসিবিকে। কিন্তু শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি হাথুরুসিংহের। শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো আবার বিশ্বকাপে হাথুরুসিংহের পারফরম্যান্সে হতাশা প্রকাশ করেছেন। শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যমের খবর, হাথুরুসিংহেকে পদত্যাগ করতেও বলা হতে পারে। যদিও চুক্তির বাকি সময়টা শেষ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন হাথুরুসিংহে, ‘আমার চুক্তির আরও ১৬ মাস বাকি। আমি চুক্তির শেষ পর্যন্ত থাকতে চাই। আর বিশ্বকাপের ব্যর্থতার জন্য আমাদের সবার দায়ভার নিতে হবে।’
বাংলাদেশের কোচ হিসেবে হাথুরুসিংহেকে সার্টিফিকেট দিতে গিয়ে খালেদ মাহমুদ বললেন, ‘চন্ডিকা যদি আমাদের জন্য ভালো হয়, তবে কেন নয়?’ নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার চেষ্টায় তিনি যোগ করেন, ‘আমি বলছি না চন্ডিকাই আসবে। চন্ডিকার সঙ্গে বোর্ড কথা বলছে, সেটাও বলছি না। আমি বলছি যেকোনো একটা নাম, সে যদি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো হয়। চন্ডিকার রেকর্ডটাই ভালো। সে যে আসবে, সেটা না। তবে আমাদের এখন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা উচিত।’
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের খোঁজে আছেন, ‘অবশ্যই আমাদের চেষ্টা থাকবে দীর্ঘমেয়াদি কোচ নেওয়ার জন্য। যেহেতু ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে।’
বিশ্বকাপের পর প্রতিটি দলকেই নতুন করে ঘর গোছাতে হয়। বিসিবিও নতুন করে ঘর গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। গুছিয়ে উঠতে কত সময় নেয়, সেটাই দেখার বিষয়।