ঢাকা ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




দুধ নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন ও বিজ্ঞাপন প্রকাশ না করার নির্দেশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০১৯ ১১৮ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ রিপোর্ট; 

দুধ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তিকর তথ্য যেন না ছড়ায়, এমন প্রতিবেদন ও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে বিএসটিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ১৪ জুলাই শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

আদালতে বিএসটিআইয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সরকার এম আর হাসান। রিটের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।

শুনানিকালে ‘আদালত পাস্তুরিত দুধ নিয়ে বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন’ শিরোনামে গণমাধ্যমে বিএসটিআইয়ের আইনজীবীর ওই বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালত।

আদালত বলেন, ‘দুধ পরীক্ষার প্রতিবেদন নিয়ে আমরা কোনও আদেশ দেইনি, মতামতও প্রকাশ করিনি। অথচ আপনি মিডিয়ার সামনে আদালতের সন্তোষ প্রকাশের কথা বললেন। আর আপনার এই বক্তব্যের পর প্রাণ গ্রুপ গণমাধ্যমে হাইকোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে তাদের পণ্যের গুণগান প্রচার করছে। এই দুধ খেয়ে যদি কেউ অসুস্থ হয়, তার দায় কে নেবে?’

পরে আদালত তাদের কোনও আদেশ ছাড়া কোনও বক্তব্য মিডিয়ার সামনে না দিতে বিএসটিআইয়ের আইনজীবীকে মৌখিকভাবে নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ৮ জুলাই পাস্তুরিত দুধ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদ ও বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের দেওয়া প্রতিবেদন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দাখিল করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

পাস্তুরিত দুধ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিস রিসার্চ, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) গবেষণা প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়— বাজারে থাকা ৭৫ শতাংশ পাস্তুরিত দুধেই ভেজাল ধরা পড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি। এই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ। ওই রিট আবেদনে গত বছরের ২১ মে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের নিয়ে কমিটি গঠন এবং বাজারে থাকা পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। খাদ্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালককে দেওয়া এই নির্দেশের পর গত ২৫ জুন বিএসটিআইয়ের আইনজীবী ব্যারিস্টার সরকার এম আর হাসান আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে আশঙ্কাজনক বা ক্ষতিকর কোনও কিছুই পাওয়া যায়নি। কিন্তু একইদিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদ ও বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার এক সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করে যে, পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনার কোনোটিতেই কাঙ্ক্ষিত মাত্রার ‘সলিড নট ফ্যাট’ পাওয়া যায়নি। বিএসটিআই স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী দুধে ‘ফ্যাট ইন মিল্ক’ ৩.৫ শতাংশ থাকার কথা থাকলেও এগুলোতে আছে ৩.৬ থেকে ৩.৬১ শতাংশ। এসব দুধে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




দুধ নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন ও বিজ্ঞাপন প্রকাশ না করার নির্দেশ

আপডেট সময় : ০৩:১৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০১৯

সকালের সংবাদ রিপোর্ট; 

দুধ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তিকর তথ্য যেন না ছড়ায়, এমন প্রতিবেদন ও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে বিএসটিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ১৪ জুলাই শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

আদালতে বিএসটিআইয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সরকার এম আর হাসান। রিটের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।

শুনানিকালে ‘আদালত পাস্তুরিত দুধ নিয়ে বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন’ শিরোনামে গণমাধ্যমে বিএসটিআইয়ের আইনজীবীর ওই বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালত।

আদালত বলেন, ‘দুধ পরীক্ষার প্রতিবেদন নিয়ে আমরা কোনও আদেশ দেইনি, মতামতও প্রকাশ করিনি। অথচ আপনি মিডিয়ার সামনে আদালতের সন্তোষ প্রকাশের কথা বললেন। আর আপনার এই বক্তব্যের পর প্রাণ গ্রুপ গণমাধ্যমে হাইকোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে তাদের পণ্যের গুণগান প্রচার করছে। এই দুধ খেয়ে যদি কেউ অসুস্থ হয়, তার দায় কে নেবে?’

পরে আদালত তাদের কোনও আদেশ ছাড়া কোনও বক্তব্য মিডিয়ার সামনে না দিতে বিএসটিআইয়ের আইনজীবীকে মৌখিকভাবে নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ৮ জুলাই পাস্তুরিত দুধ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদ ও বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের দেওয়া প্রতিবেদন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দাখিল করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

পাস্তুরিত দুধ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিস রিসার্চ, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) গবেষণা প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়— বাজারে থাকা ৭৫ শতাংশ পাস্তুরিত দুধেই ভেজাল ধরা পড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি। এই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ। ওই রিট আবেদনে গত বছরের ২১ মে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের নিয়ে কমিটি গঠন এবং বাজারে থাকা পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। খাদ্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালককে দেওয়া এই নির্দেশের পর গত ২৫ জুন বিএসটিআইয়ের আইনজীবী ব্যারিস্টার সরকার এম আর হাসান আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে আশঙ্কাজনক বা ক্ষতিকর কোনও কিছুই পাওয়া যায়নি। কিন্তু একইদিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদ ও বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার এক সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করে যে, পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনার কোনোটিতেই কাঙ্ক্ষিত মাত্রার ‘সলিড নট ফ্যাট’ পাওয়া যায়নি। বিএসটিআই স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী দুধে ‘ফ্যাট ইন মিল্ক’ ৩.৫ শতাংশ থাকার কথা থাকলেও এগুলোতে আছে ৩.৬ থেকে ৩.৬১ শতাংশ। এসব দুধে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।