ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিএনপি নেতা মাহিদুর রহমান নেতৃত্বের বিস্ময় Logo স্বৈরাচারের দোসর প্রধান বিচারপতির ধর্ম ছেলে পরিচয়ে মোজাম্মেলের অধর্ম! Logo রাজধানীতে মার্কেট দখল করতে গিয়ে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আটক Logo স্কুলের ভেতরে নিয়মিত চলে তাশ ও জুয়া! Logo চাঁদা চাওয়ায় দাকোপে ৫ আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা Logo ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আল আমিন সম্পাদক শামসউদ্দিন Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর উদ্যোগে দুমকিতে ক্যারিয়ার সামিট অনুষ্ঠিত Logo সওজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রচারিত প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ Logo বিপ্লবী গান, আবৃত্তি এবং কাওয়ালী গানে মেতেছে আশা বিশ্ববিদ্যালয় Logo ছত্রিশ টাকার নকলনবীশ প্রভাবশালী কোটিপতি!




ইতালির মিলানে হলি-আর্টিজেনে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১১:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০১৯ ১৮০ বার পড়া হয়েছে

তুহিন মাহামুদ, ইতালি থেকে:

গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার তিন বছর পূর্তি।ভয়াবহ ওই জঙ্গি হামলার তিন বছর উপলক্ষে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় নিহতদের স্মরণ করা হয়েছে দেশ এবং বিদেশে।

১লা জুলাই সোমবার মিলান কমুনের একটি হলরুমে বিকাল ৪ঃ৩০টায় অনুষ্ঠিত হলো ঢাকার গুলশানে হলিআর্টিজেন রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নয়জন ইতালিয়ান নাগরিকের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন মিলান প্রশাসনিক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ,হলিআর্টিজেন সন্ত্রাসী হামলায় নিহত পরিবারের সদস্যরা এবং বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল মিলান কনসাল জেনারেল জনাব ইকবাল আহমেদ,কন্স্যুলেট কর্মকর্তা,ইতালিয়ান বিভিন্ন গনমাধ্যম প্রতিষ্ঠানোর সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ সহ মিলান বাঙলা প্রেস ক্লাব ইতালির উপদেষ্টা তুহিন মাহামুদ এবং সম্মানিত সদস্য জালাল হাওলাদার।

স্মরণ সভা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সমবেদনা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল মিলান এর কনসাল জেনারেল ইকবাল আহমেদ।তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন,২০১৬ সালের ১লা জুলাই ঢাকার গুলশানে হলিআর্টিজেন রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলায় ২০ জন নিহত হন এর পেছনে ২১ জন জড়িত।এর মধ্যে ১৩ জন বিভিন্ন অপারেশনে নিহত হয়েছে বাকী ৮ জন পুলিশ কাষ্টরিতে আছে।এদের বিচার হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে এর বিচারকার্য সম্পন্ন হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার অত্যান্ত সচেষ্ট এবং অত্যান্ত আন্তরিক আশা করছে এদের বিচার শীঘ্রই সম্পন্ন হবে।গোটা জাতি এ ঘটনায় শক্ত হয়েছিলো এ ব্যপারে বাংলাদেশ সরকার ব্যবস্হা নিবে এবং আদালত থেকে রায় পাওয়া যাবে।

এদিকে বাংলাদেশে সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গুলশানের সাবেক হলি আর্টিজান বেকারি ভবনে এ শ্রদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এরই মধ্যে নিহতদের উদ্দেশে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। জঙ্গি মোকাবিলায় দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদ নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে জাপান, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশের দূতবাসের পক্ষ থেকে নিহতদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকেও নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর কূটনীতিকপাড়া গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাও।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত বছরের ২৩ জুলাই আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আটজনের মধ্যে দুই পলাতক আসামি শহিদুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। বতর্মানে আটজনই কারাগারে।

আদালত ওই মামলার চার্জশিট আমলে নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৬০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ইতালির মিলানে হলি-আর্টিজেনে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণ

আপডেট সময় : ১১:১১:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০১৯

তুহিন মাহামুদ, ইতালি থেকে:

গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার তিন বছর পূর্তি।ভয়াবহ ওই জঙ্গি হামলার তিন বছর উপলক্ষে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় নিহতদের স্মরণ করা হয়েছে দেশ এবং বিদেশে।

১লা জুলাই সোমবার মিলান কমুনের একটি হলরুমে বিকাল ৪ঃ৩০টায় অনুষ্ঠিত হলো ঢাকার গুলশানে হলিআর্টিজেন রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নয়জন ইতালিয়ান নাগরিকের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন মিলান প্রশাসনিক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ,হলিআর্টিজেন সন্ত্রাসী হামলায় নিহত পরিবারের সদস্যরা এবং বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল মিলান কনসাল জেনারেল জনাব ইকবাল আহমেদ,কন্স্যুলেট কর্মকর্তা,ইতালিয়ান বিভিন্ন গনমাধ্যম প্রতিষ্ঠানোর সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ সহ মিলান বাঙলা প্রেস ক্লাব ইতালির উপদেষ্টা তুহিন মাহামুদ এবং সম্মানিত সদস্য জালাল হাওলাদার।

স্মরণ সভা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সমবেদনা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল মিলান এর কনসাল জেনারেল ইকবাল আহমেদ।তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন,২০১৬ সালের ১লা জুলাই ঢাকার গুলশানে হলিআর্টিজেন রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলায় ২০ জন নিহত হন এর পেছনে ২১ জন জড়িত।এর মধ্যে ১৩ জন বিভিন্ন অপারেশনে নিহত হয়েছে বাকী ৮ জন পুলিশ কাষ্টরিতে আছে।এদের বিচার হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে এর বিচারকার্য সম্পন্ন হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার অত্যান্ত সচেষ্ট এবং অত্যান্ত আন্তরিক আশা করছে এদের বিচার শীঘ্রই সম্পন্ন হবে।গোটা জাতি এ ঘটনায় শক্ত হয়েছিলো এ ব্যপারে বাংলাদেশ সরকার ব্যবস্হা নিবে এবং আদালত থেকে রায় পাওয়া যাবে।

এদিকে বাংলাদেশে সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গুলশানের সাবেক হলি আর্টিজান বেকারি ভবনে এ শ্রদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এরই মধ্যে নিহতদের উদ্দেশে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। জঙ্গি মোকাবিলায় দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদ নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে জাপান, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশের দূতবাসের পক্ষ থেকে নিহতদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকেও নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর কূটনীতিকপাড়া গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাও।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত বছরের ২৩ জুলাই আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আটজনের মধ্যে দুই পলাতক আসামি শহিদুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। বতর্মানে আটজনই কারাগারে।

আদালত ওই মামলার চার্জশিট আমলে নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৬০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।