ঢাকা ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




‘গ্যাসের দাম বাড়ায় মাথাপিছু খরচ বাড়বে ৩-৫ হাজার টাকা’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১০:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০১৯ ১৩২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
গ্যাসের দাম প্রায় ৩৩ শতাংশ বাড়ানোয় দেশের জনগণের মাথাপিছু খরচ ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। সরকারের এ সিদ্ধান্ত পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (৩০ জুন) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ গাসের দাম বাড়ানোর আদেশ জারি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। আজ সোমবার (১ জুলাই) থেকে তা কার্যকর হবে।

এর প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘গ্যাসের এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে প্রতিটি নাগরিকের মাথাপিছু খরচ ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা বেড়ে যাবে। কারণ এতে নিত্যপণ্য, যাতায়াত, বাড়িভাড়া থেকে শুরু করে সবকিছুর খরচ বাড়বে। তাই গ্যাসের এই মূল্যবৃদ্ধি পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম জানান, দাম বাড়িয়ে গৃহস্থালির ক্ষেত্রে মিটারভিত্তিক গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ১২ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক চুলায় প্রতিমাসে গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২৫ টাকা এবং দুই চুলায় ৯৭৫ টাকা।

সিএনজির ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩ টাকা এবং হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের ক্ষেত্রে ২৩ টাকা। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ টাকা ৪৫ পয়সা, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা, সার ৪ টাকা ৪৫ পয়সা, শিল্পে ১০ টাকা ৭০ পয়সা, চা-বাগানে ১০ টাকা ৭০ পয়সা।

এর মধ্যে শুধু ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়নি। এর আগের দাম প্রতি ঘনমিটার ১৭ টাকাই রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে গ্যাস কোম্পানিগুলোর আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ১১ থেকে ১৪ মার্চ গণশুনানির আয়োজন করে কমিশন। গ্যাসের উৎপাদন, এলএনজি (লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস) আমদানি, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যয় এবং দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় কমিশন এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।

দেশীয় গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ ২৬ হাজার ৪৭৯ দশমিক ৯১ মিলিয়ন ঘনমিটার। যা মোট উৎপাদনের ৭৫ শতাংশ। এলএনজি আমদানির পরিমাণ ৮ হাজার ৭৮২ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন ঘনমিটার। যা মোট উৎপাদন ও আমদানির ২৫ শতাংশ।

দেশীয় উৎপাদিত ও আমদানি করা মিলে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট গ্যাসের পরিমাণ ৩৫ হাজার ২৬২ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন ঘনমিটার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘গ্যাসের দাম বাড়ায় মাথাপিছু খরচ বাড়বে ৩-৫ হাজার টাকা’

আপডেট সময় : ০৯:১০:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;
গ্যাসের দাম প্রায় ৩৩ শতাংশ বাড়ানোয় দেশের জনগণের মাথাপিছু খরচ ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। সরকারের এ সিদ্ধান্ত পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (৩০ জুন) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ গাসের দাম বাড়ানোর আদেশ জারি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। আজ সোমবার (১ জুলাই) থেকে তা কার্যকর হবে।

এর প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘গ্যাসের এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে প্রতিটি নাগরিকের মাথাপিছু খরচ ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা বেড়ে যাবে। কারণ এতে নিত্যপণ্য, যাতায়াত, বাড়িভাড়া থেকে শুরু করে সবকিছুর খরচ বাড়বে। তাই গ্যাসের এই মূল্যবৃদ্ধি পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম জানান, দাম বাড়িয়ে গৃহস্থালির ক্ষেত্রে মিটারভিত্তিক গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ১২ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক চুলায় প্রতিমাসে গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২৫ টাকা এবং দুই চুলায় ৯৭৫ টাকা।

সিএনজির ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩ টাকা এবং হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের ক্ষেত্রে ২৩ টাকা। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ টাকা ৪৫ পয়সা, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা, সার ৪ টাকা ৪৫ পয়সা, শিল্পে ১০ টাকা ৭০ পয়সা, চা-বাগানে ১০ টাকা ৭০ পয়সা।

এর মধ্যে শুধু ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়নি। এর আগের দাম প্রতি ঘনমিটার ১৭ টাকাই রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে গ্যাস কোম্পানিগুলোর আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ১১ থেকে ১৪ মার্চ গণশুনানির আয়োজন করে কমিশন। গ্যাসের উৎপাদন, এলএনজি (লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস) আমদানি, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যয় এবং দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় কমিশন এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।

দেশীয় গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ ২৬ হাজার ৪৭৯ দশমিক ৯১ মিলিয়ন ঘনমিটার। যা মোট উৎপাদনের ৭৫ শতাংশ। এলএনজি আমদানির পরিমাণ ৮ হাজার ৭৮২ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন ঘনমিটার। যা মোট উৎপাদন ও আমদানির ২৫ শতাংশ।

দেশীয় উৎপাদিত ও আমদানি করা মিলে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট গ্যাসের পরিমাণ ৩৫ হাজার ২৬২ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন ঘনমিটার।