ঢাকা ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




কৃষকের মুখে হাসি ফুটাতে হবিগঞ্জের ডিসি’র উদ্দ্যেগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৪:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০১৯ ৬৫ বার পড়া হয়েছে

বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি; 

বানিয়াচং উপজেলায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান কিনেছেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ।

রোববার বিকালে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে দোয়াখানি মহল্লার প্রকৃত কৃষক ছবিল মিয়ার বাড়িতে যান। তখন তার কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে দুই টন ধান কেনেন।

এরপর একই মহল্লার কৃষক তগদির মিয়া ও শরীফ উদ্দিনের কাছ থেকে দুই টন করে চার টন ধান কেনেন। ২৬ টাকা কেজি দরে এক মণ ধানের দাম আসে ১ হাজার ৪০ টাকা।

জানা গেছে, এ উপজেলায় ১ হাজার ৯০ টন ধান ও ৪ হাজার ৮৫ টন চাল কেনা হবে। শুক্রবার অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করেন এমপি আবদুল মজিদ খান। আর রোববার ডিসি মাহমুদুল কবীর মুরাদ কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান কেনা শুরু করেন।

ধান কেনার সময় তার সঙ্গে ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা কৃষি বিভাগের ডিডি মোহাম্মদ আলী, হবিগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুস সালাম, বানিয়াচং ইউএনও মো.মামুন খন্দকার, এসিল্যান্ড সাব্বির আহমদ আকুঞ্জি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দুলাল উদ্দিন, খাদ্য নিয়ন্ত্রক খালেদ হুসাইন, খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম।

ইউএনও মো.মামুন খন্দকার বলেন, কৃষকেরা যেন ধানের দাম পান ও প্রকৃত কৃষক সরকারের কাছে ধান বেচতে পারেন সে জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে। একজন কৃষক কমপক্ষে দুই টন ধান বেচতে পারবেন।

কৃষক ছবিল মিয়া ও শরীফ উদ্দিন বলেন, বাজারে ধানের দাম কম থাকায় টেনশনে ভোগেন। সিন্ডিকেটের কবলে পড়ার শংকায় সরকারি গুদামে সরাসরি ধান বিক্রি করতে সাহস করেননি। ডিসি সাব বাড়িতে এসে ধান কেনায় খুব সহজে ধান বিক্রি করতে পেরেছেন। মণপ্রতি ১ হাজার ৪০ টাকা দরে ধান বিক্রি করে লাভ হয়েছে। তবে ধান কেনার পরিমাণ আরও বাড়ানোর দাবি করেন কৃষকেরা।

হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ বলেন, সরকার ধানের যে মূল্য নির্ধারণ করেছে সেই মূল্যে যেন কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনতে পারি সেটা নিশ্চিত করা একটা উদ্দেশ্যে। আর একটা উদ্দেশ্যে হল, সামনে ঈদুল ফিতর উৎসব। অন্যান্য পেশার লোকজন যখন তারা খুশি মনে ঘরে ফিরবে। আর তখন কৃষকের হাতে যদি অর্থ না থাকে তাহলে কিন্তু কৃষকের জন্য এটি খুব কষ্টের হবে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন, কৃষকরা যেন খুশি থাকেন। তাদের মুখে যেন হাসি ফুটে উঠে। সেটি বাস্তবায়নের জন্য আমরা সরেজমিন কৃষকের বাড়ি বাড়ি এসে ধান ক্রয় করছি।

তিনি বলেন, এভাবে ধান কেনা অব্যাহত রাখার জন্য ইউএনওকে নিদের্শ দেয়া হয়েছে। কারণ কৃষক ভালো থাকলে, সারাদেশ ভালো থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কৃষকের মুখে হাসি ফুটাতে হবিগঞ্জের ডিসি’র উদ্দ্যেগ

আপডেট সময় : ১০:৪৪:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০১৯

বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি; 

বানিয়াচং উপজেলায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান কিনেছেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ।

রোববার বিকালে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে দোয়াখানি মহল্লার প্রকৃত কৃষক ছবিল মিয়ার বাড়িতে যান। তখন তার কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে দুই টন ধান কেনেন।

এরপর একই মহল্লার কৃষক তগদির মিয়া ও শরীফ উদ্দিনের কাছ থেকে দুই টন করে চার টন ধান কেনেন। ২৬ টাকা কেজি দরে এক মণ ধানের দাম আসে ১ হাজার ৪০ টাকা।

জানা গেছে, এ উপজেলায় ১ হাজার ৯০ টন ধান ও ৪ হাজার ৮৫ টন চাল কেনা হবে। শুক্রবার অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করেন এমপি আবদুল মজিদ খান। আর রোববার ডিসি মাহমুদুল কবীর মুরাদ কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান কেনা শুরু করেন।

ধান কেনার সময় তার সঙ্গে ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা কৃষি বিভাগের ডিডি মোহাম্মদ আলী, হবিগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুস সালাম, বানিয়াচং ইউএনও মো.মামুন খন্দকার, এসিল্যান্ড সাব্বির আহমদ আকুঞ্জি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দুলাল উদ্দিন, খাদ্য নিয়ন্ত্রক খালেদ হুসাইন, খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম।

ইউএনও মো.মামুন খন্দকার বলেন, কৃষকেরা যেন ধানের দাম পান ও প্রকৃত কৃষক সরকারের কাছে ধান বেচতে পারেন সে জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে। একজন কৃষক কমপক্ষে দুই টন ধান বেচতে পারবেন।

কৃষক ছবিল মিয়া ও শরীফ উদ্দিন বলেন, বাজারে ধানের দাম কম থাকায় টেনশনে ভোগেন। সিন্ডিকেটের কবলে পড়ার শংকায় সরকারি গুদামে সরাসরি ধান বিক্রি করতে সাহস করেননি। ডিসি সাব বাড়িতে এসে ধান কেনায় খুব সহজে ধান বিক্রি করতে পেরেছেন। মণপ্রতি ১ হাজার ৪০ টাকা দরে ধান বিক্রি করে লাভ হয়েছে। তবে ধান কেনার পরিমাণ আরও বাড়ানোর দাবি করেন কৃষকেরা।

হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ বলেন, সরকার ধানের যে মূল্য নির্ধারণ করেছে সেই মূল্যে যেন কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনতে পারি সেটা নিশ্চিত করা একটা উদ্দেশ্যে। আর একটা উদ্দেশ্যে হল, সামনে ঈদুল ফিতর উৎসব। অন্যান্য পেশার লোকজন যখন তারা খুশি মনে ঘরে ফিরবে। আর তখন কৃষকের হাতে যদি অর্থ না থাকে তাহলে কিন্তু কৃষকের জন্য এটি খুব কষ্টের হবে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন, কৃষকরা যেন খুশি থাকেন। তাদের মুখে যেন হাসি ফুটে উঠে। সেটি বাস্তবায়নের জন্য আমরা সরেজমিন কৃষকের বাড়ি বাড়ি এসে ধান ক্রয় করছি।

তিনি বলেন, এভাবে ধান কেনা অব্যাহত রাখার জন্য ইউএনওকে নিদের্শ দেয়া হয়েছে। কারণ কৃষক ভালো থাকলে, সারাদেশ ভালো থাকবে।