ঢাকা ০৬:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক




যৌন নিপীড়কদের রেহাই নেই, প্রয়োজনে কঠোর আইন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ৮২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেছেন, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মতো সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এর বিরুদ্ধে দেশের সকল মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের কোথাও এতটুকু জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের আলামত দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দিন। আমরা এ ধরনের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ বাংলাদেশে আর দেখতে চাই না।

নুসরাত হত্যাকাণ্ডসহ যৌন নিপীড়নের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে কঠোর আইন আইন প্রণয়ণ করা হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারাই এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জড়িতরা কে কোন দলের তা দেখা হবে না। যৌন নিপীড়ন যারা করবেন তাদেরও রেহাই নেই। অনেকেই কঠোর আইনের কথা বলেছেন। আইন রয়েছে। কিন্তু প্রয়োজন হলে কঠোর আইন করতে হয় আমরা করবো। তাদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয় সেই ব্যবস্থাই করবো।

আজ সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টাচার্চের মসজিদ, শ্রীলঙ্কার গীর্জা ও হোটেলে সন্ত্রাসী হামলা, ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসা ছাত্রী নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ এবং এ সকল সন্ত্রাসী যৌন নিপীড়নের ঘটনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল সংসদ, সরকার ও নাগরিকদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে আনীত সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রস্তাবটি সমর্থন করে প্রধানমন্ত্রী শ্রীলংকায় বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণ দেশ নিউজিল্যান্ডেও নামাজ পড়া অবস্থায় ৫৩ জন মুসল্লিদের হত্যা করে একজন খুনি ক্যামেরা মাথায় নিয়ে। সে একজন উগ্রবাদী খ্রিস্টান ছিল। জাতীয় ক্রিকেট টিমের সদস্যরা অল্পের জন্য বেঁচে যান। ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসা ছাত্রী নুসরাতকে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ যৌন নির্যাতন করে। মামলা প্রত্যাহারের প্রচণ্ড চাপ দেওয়া হয়, সাহসী মেয়ে নুসরাত তাতে রাজী হয়নি। এ কারণে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনার পর সেই মেয়েটাকে চরিত্রহীন বানানোর চেষ্টা করা হয়। অধ্যক্ষের সঙ্গে আমাদের দলের কয়েকজন জড়িত ছিল। সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দেই, গ্রেপ্তার করা হয়। কারণ অপরাধ অপরাধই। সে যে দলেরই হোক।

সংসদ নেতা বলেন, জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী সমস্যা। শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলায় নিষ্পাপ শিশু জায়ান চৌধুরী নিহত হয়। প্রায় ৪২ জন বিদেশি মারা যায় ওই ভয়াবহ হামলায়। আত্মঘাতী সন্ত্রাসীরা এই হামলা করেছে। এ ধরনের জঘন্য ঘটনার আমরা নিন্দা জানাই। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণকে আহবান জানাবো, সকলকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে। হলি আর্টিজানে হামলার পর আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। গোয়েন্দা সংস্থা সঠিক সময়ে সংবাদ দিতে পারছে বলেই অনেক জীবন রক্ষা পাচ্ছে।

দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথাও এবং কারও বিরুদ্ধে কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীকে জানাবেন, যাতে আমরা পদক্ষেপ নিতে পারি। আমিও ২১ আগস্ট ভয়াল হামলার শিকার হয়েছিলাম। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাওয়ার অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। যে দেশে খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়, সে দেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করে খালেদা জিয়া খুনি রশিদকে বিরোধী দলের আসনে বসিয়েছিলেন। জিয়া-এরশাদও খুনিদের পুরস্কৃত করেছে।

নুসরাত হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষক পিতার সমতূল্য। কিন্তু শিক্ষক যদি রক্ষক না হয়ে ভক্ষক হয়, তবে বলার কী থাকে। যারাই এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কে কোনো দলের তা দেখা হবে না। যৌন নিপীড়ন যারা করবেন তাদেরও রেহাই নেই। অনেকেই কঠোর আইনের কথা বলেছেন। এর জন্য কঠোর আইন করতে হয় প্রয়োজনে আমরা করবো। সর্বোচ্চ শাস্তি হয় সেই ব্যবস্থা আমরা করবো।

তিনি বলেন, যারা এ ধরনের হামলা করে তাদের কোনো ধর্ম নেই। যারা এসব করে তারা নিজের ধর্মও মানে না। আল্লাহ-রাসূল মানলে তারা নিজেরা হত্যা করতো না। ইসলাম ধর্ম পবিত্র ও শান্তির ধর্ম। কে মুসলমান, কে মুসলমান নয় তা বিচার করার দায়িত্ব কারো নেই। কোরআনে এটা বলা নেই, কে মুসলমান কে মুসলমান নয় তা বিচার মানুষ করবে। এই বিচার করবেন আল্লাহ। যে এ ধরনের বিচার করতে যায় সে তো আল্লাকেই মানে না। তাই শান্তির ধর্মকে কলুষিত করা এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালেও বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে নির্মমভাবে মানুষ হত্যা করেছে, মা-বোনদের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত যদি অগ্নিসন্ত্রাস করে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা না করতো, তবে ওই অধ্যক্ষের মাথায় হয়তো নুসরাতকে ওইভাবে পুড়িয়ে হত্যার চিন্তা আসতো না। তাই এসব সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




যৌন নিপীড়কদের রেহাই নেই, প্রয়োজনে কঠোর আইন

আপডেট সময় : ১২:৫৩:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেছেন, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মতো সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এর বিরুদ্ধে দেশের সকল মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের কোথাও এতটুকু জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের আলামত দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দিন। আমরা এ ধরনের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ বাংলাদেশে আর দেখতে চাই না।

নুসরাত হত্যাকাণ্ডসহ যৌন নিপীড়নের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে কঠোর আইন আইন প্রণয়ণ করা হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারাই এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জড়িতরা কে কোন দলের তা দেখা হবে না। যৌন নিপীড়ন যারা করবেন তাদেরও রেহাই নেই। অনেকেই কঠোর আইনের কথা বলেছেন। আইন রয়েছে। কিন্তু প্রয়োজন হলে কঠোর আইন করতে হয় আমরা করবো। তাদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয় সেই ব্যবস্থাই করবো।

আজ সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টাচার্চের মসজিদ, শ্রীলঙ্কার গীর্জা ও হোটেলে সন্ত্রাসী হামলা, ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসা ছাত্রী নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ এবং এ সকল সন্ত্রাসী যৌন নিপীড়নের ঘটনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল সংসদ, সরকার ও নাগরিকদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে আনীত সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রস্তাবটি সমর্থন করে প্রধানমন্ত্রী শ্রীলংকায় বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণ দেশ নিউজিল্যান্ডেও নামাজ পড়া অবস্থায় ৫৩ জন মুসল্লিদের হত্যা করে একজন খুনি ক্যামেরা মাথায় নিয়ে। সে একজন উগ্রবাদী খ্রিস্টান ছিল। জাতীয় ক্রিকেট টিমের সদস্যরা অল্পের জন্য বেঁচে যান। ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসা ছাত্রী নুসরাতকে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ যৌন নির্যাতন করে। মামলা প্রত্যাহারের প্রচণ্ড চাপ দেওয়া হয়, সাহসী মেয়ে নুসরাত তাতে রাজী হয়নি। এ কারণে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনার পর সেই মেয়েটাকে চরিত্রহীন বানানোর চেষ্টা করা হয়। অধ্যক্ষের সঙ্গে আমাদের দলের কয়েকজন জড়িত ছিল। সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দেই, গ্রেপ্তার করা হয়। কারণ অপরাধ অপরাধই। সে যে দলেরই হোক।

সংসদ নেতা বলেন, জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী সমস্যা। শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলায় নিষ্পাপ শিশু জায়ান চৌধুরী নিহত হয়। প্রায় ৪২ জন বিদেশি মারা যায় ওই ভয়াবহ হামলায়। আত্মঘাতী সন্ত্রাসীরা এই হামলা করেছে। এ ধরনের জঘন্য ঘটনার আমরা নিন্দা জানাই। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণকে আহবান জানাবো, সকলকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে। হলি আর্টিজানে হামলার পর আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। গোয়েন্দা সংস্থা সঠিক সময়ে সংবাদ দিতে পারছে বলেই অনেক জীবন রক্ষা পাচ্ছে।

দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথাও এবং কারও বিরুদ্ধে কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীকে জানাবেন, যাতে আমরা পদক্ষেপ নিতে পারি। আমিও ২১ আগস্ট ভয়াল হামলার শিকার হয়েছিলাম। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাওয়ার অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। যে দেশে খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়, সে দেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করে খালেদা জিয়া খুনি রশিদকে বিরোধী দলের আসনে বসিয়েছিলেন। জিয়া-এরশাদও খুনিদের পুরস্কৃত করেছে।

নুসরাত হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষক পিতার সমতূল্য। কিন্তু শিক্ষক যদি রক্ষক না হয়ে ভক্ষক হয়, তবে বলার কী থাকে। যারাই এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কে কোনো দলের তা দেখা হবে না। যৌন নিপীড়ন যারা করবেন তাদেরও রেহাই নেই। অনেকেই কঠোর আইনের কথা বলেছেন। এর জন্য কঠোর আইন করতে হয় প্রয়োজনে আমরা করবো। সর্বোচ্চ শাস্তি হয় সেই ব্যবস্থা আমরা করবো।

তিনি বলেন, যারা এ ধরনের হামলা করে তাদের কোনো ধর্ম নেই। যারা এসব করে তারা নিজের ধর্মও মানে না। আল্লাহ-রাসূল মানলে তারা নিজেরা হত্যা করতো না। ইসলাম ধর্ম পবিত্র ও শান্তির ধর্ম। কে মুসলমান, কে মুসলমান নয় তা বিচার করার দায়িত্ব কারো নেই। কোরআনে এটা বলা নেই, কে মুসলমান কে মুসলমান নয় তা বিচার মানুষ করবে। এই বিচার করবেন আল্লাহ। যে এ ধরনের বিচার করতে যায় সে তো আল্লাকেই মানে না। তাই শান্তির ধর্মকে কলুষিত করা এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালেও বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে নির্মমভাবে মানুষ হত্যা করেছে, মা-বোনদের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত যদি অগ্নিসন্ত্রাস করে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা না করতো, তবে ওই অধ্যক্ষের মাথায় হয়তো নুসরাতকে ওইভাবে পুড়িয়ে হত্যার চিন্তা আসতো না। তাই এসব সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।