ঢাকা ১১:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




আরও কমেছে ডিমের দাম, বেড়েছে পেঁয়াজের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৫৮:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৯ ১২৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
রোজা সামনে রেখে রাজধানীর বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে কমেছে ১০ টাকা। শাক-সবজি, মাছ-মাংসের চড়া দামের মধ্যে এ নিয়ে টানা দুই সপ্তাহ ডিমের দাম কমলো। দুই সপ্তাহে ডিমের দাম ডজনে কমেছে প্রায় ২০ টাকা।

ডিমের দাম কমলেও পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম আরও বেড়েছে। বাজারভেদে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকার মতো। এ নিয়ে টানা দুই সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়ল প্রায় ১০ টাকা।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

রামপুরা ও খিলগাঁও অঞ্চলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, শুধু ডিম বিক্রি করেন এমন ব্যবসায়ীরা ডিমের ডজন বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। এ হিসাবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে কমেছে ২০ টাকা।

এদিকে মুদি দোকানে ও খুচরা বিক্রেতারা প্রতি পিস ডিম বিক্রি করছেন ৭ থেকে ৮ টাকায়, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১০ টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম পিসে ৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

ডিমের দামের বিষয়ে হাজীপাড়ার ডিম ব্যবসায়ী সাবু মিয়া বলেন, আর কিছুদিন পরেই রোজা শুরু হবে। রোজা শুরু হওয়ার আগে হঠাৎ করেই প্রচণ্ড গরম পড়তে শুরু করেছে। এ কারণেই ডিমের দাম কিছুটা কমে গেছে। এমন গরম অব্যাহত থাকলে রোজার মধ্যে ডিমের দাম আরও কমে যেতে পারে।

এ ব্যবসায়ী বলেন, রোজা ও গরমের মধ্যে ডিমের চাহিদা তুলনামূলক কম থাকে। প্রতিবছরই রোজার মধ্যে ডিমের দাম কমে যায়। এবার রোজা শুরু হওয়ার আগেই ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে। গরম পড়ার কারণেই হয়তো ডিমের দাম কমছে। কারণ, অনেকেই গরমের মধ্যে ডিম খান না।

ডিমের দাম কমার বিষয়ে প্রায় একই ধরনের তথ্য দেন খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মো. আইয়ুব। তিনি বলেন, ডিম গরম খাবার হিসেবে পরিচিত। গরমের মধ্যে বেশি ডিম খেলে অনেক সময় পেট খারাপ হয়। এ কারণে গরম পড়লে কিছু মানুষ ডিম খেতে চান না। ফলে গরমের সময় ডিমের দাম কিছুটা কম থাকে। তাছাড়া আর দিন দশেক পরেই রোজা শুরু হবে। রোজার সময় অনেকেই ডিম খান না। এসব কারণেই এখন ডিমের দাম কমে গেছে।

ডিমের দাম কমলেও রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে তার দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি বেড়েছে পেঁয়াজ, পেঁপে, বেগুন ও শসার দাম। এর পাশাপাশি সব ধরনের সবজি, মাছ ও মাংস চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে গিয়ে যে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ভালোমানের দেশি পেঁয়াজের পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি করছেন ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১০০ টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম পাল্লায় বেড়েছে ৩০ টাকা পর্যন্ত।

পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে বাজারটির ব্যবসায়ী খাইরুল বলেন, রোজার কারণে এখন পেঁয়াজের দাম একটু বেড়েছে। সামনে হয়তো আরেকটু বাড়তে পারে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রবণতা তুলনামূলক কম। কারণ, এবার পেঁয়াজের ফলন খুব ভালো হয়েছে।

এদিকে রামপুরা ও খিলগাঁও অঞ্চলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ভালোমানের দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি করছেন ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ২৫ টাকা। অর্থাৎ খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

এ বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে যে পেঁয়াজ ২৫ টাকা কেজি বিক্রি করেছি এখন তা ৩৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। মূলত রোজার কারণেই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। রোজায় হয়তো দাম আরও বাড়বে।

এদিকে বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বাজার ও মানভেদে কাঁচা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে অনেক বাজারে কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল।

কাঁচা পেঁপের মতো দাম বেড়েছে শসা ও বেগুনের। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকার মতো বেড়ে শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। আর গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

তবে কিছুটা দাম কমেছে পাকা টমেটোর। বাজারভেদে পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৪০ টাকা। গত সপ্তাহে কোনো বাজারে পাকা টমেটোর কেজি ৪০ টাকার নিচে বিক্রি হয়নি।

এদিকে দাম অপরিবর্তিত থাকা সবজির মধ্যে পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, সজনে ডাটা ৬০ থেকে ৮০, বরবটি ৬০ থেকে ৭০, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০, করলা ৬০ থেকে ৭০, শিম ৪০ থেকে ৬০, ধুন্দুল ৭০ থেকে ৮০, গাজর ৩০ থেকে ৪০, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বয়লার মুরগির কেজি আগের সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ১৭৫ টাকায়, লাল লেয়ার মুরগি ২১০ থেকে ২২০ টাকা, পাকিস্তানি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি।

মুরগির মতো দাম অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। বাজারভেদে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৩০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি। আর খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি।

অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের দামও। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি, পাঙাশ ১৫০ থেকে ১৮০, রুই ২৮০ থেকে ৬০০, পাবদা ৬০০ থেকে ৭০০, টেংরা ৫০০ থেকে ৮০০, শিং ৫০০ থেকে ৬০০ এবং চিতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আরও কমেছে ডিমের দাম, বেড়েছে পেঁয়াজের

আপডেট সময় : ০২:৫৮:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;
রোজা সামনে রেখে রাজধানীর বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে কমেছে ১০ টাকা। শাক-সবজি, মাছ-মাংসের চড়া দামের মধ্যে এ নিয়ে টানা দুই সপ্তাহ ডিমের দাম কমলো। দুই সপ্তাহে ডিমের দাম ডজনে কমেছে প্রায় ২০ টাকা।

ডিমের দাম কমলেও পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম আরও বেড়েছে। বাজারভেদে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকার মতো। এ নিয়ে টানা দুই সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়ল প্রায় ১০ টাকা।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

রামপুরা ও খিলগাঁও অঞ্চলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, শুধু ডিম বিক্রি করেন এমন ব্যবসায়ীরা ডিমের ডজন বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। এ হিসাবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে কমেছে ২০ টাকা।

এদিকে মুদি দোকানে ও খুচরা বিক্রেতারা প্রতি পিস ডিম বিক্রি করছেন ৭ থেকে ৮ টাকায়, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১০ টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম পিসে ৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

ডিমের দামের বিষয়ে হাজীপাড়ার ডিম ব্যবসায়ী সাবু মিয়া বলেন, আর কিছুদিন পরেই রোজা শুরু হবে। রোজা শুরু হওয়ার আগে হঠাৎ করেই প্রচণ্ড গরম পড়তে শুরু করেছে। এ কারণেই ডিমের দাম কিছুটা কমে গেছে। এমন গরম অব্যাহত থাকলে রোজার মধ্যে ডিমের দাম আরও কমে যেতে পারে।

এ ব্যবসায়ী বলেন, রোজা ও গরমের মধ্যে ডিমের চাহিদা তুলনামূলক কম থাকে। প্রতিবছরই রোজার মধ্যে ডিমের দাম কমে যায়। এবার রোজা শুরু হওয়ার আগেই ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে। গরম পড়ার কারণেই হয়তো ডিমের দাম কমছে। কারণ, অনেকেই গরমের মধ্যে ডিম খান না।

ডিমের দাম কমার বিষয়ে প্রায় একই ধরনের তথ্য দেন খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মো. আইয়ুব। তিনি বলেন, ডিম গরম খাবার হিসেবে পরিচিত। গরমের মধ্যে বেশি ডিম খেলে অনেক সময় পেট খারাপ হয়। এ কারণে গরম পড়লে কিছু মানুষ ডিম খেতে চান না। ফলে গরমের সময় ডিমের দাম কিছুটা কম থাকে। তাছাড়া আর দিন দশেক পরেই রোজা শুরু হবে। রোজার সময় অনেকেই ডিম খান না। এসব কারণেই এখন ডিমের দাম কমে গেছে।

ডিমের দাম কমলেও রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে তার দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি বেড়েছে পেঁয়াজ, পেঁপে, বেগুন ও শসার দাম। এর পাশাপাশি সব ধরনের সবজি, মাছ ও মাংস চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে গিয়ে যে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ভালোমানের দেশি পেঁয়াজের পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি করছেন ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১০০ টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম পাল্লায় বেড়েছে ৩০ টাকা পর্যন্ত।

পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে বাজারটির ব্যবসায়ী খাইরুল বলেন, রোজার কারণে এখন পেঁয়াজের দাম একটু বেড়েছে। সামনে হয়তো আরেকটু বাড়তে পারে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রবণতা তুলনামূলক কম। কারণ, এবার পেঁয়াজের ফলন খুব ভালো হয়েছে।

এদিকে রামপুরা ও খিলগাঁও অঞ্চলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ভালোমানের দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি করছেন ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ২৫ টাকা। অর্থাৎ খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

এ বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে যে পেঁয়াজ ২৫ টাকা কেজি বিক্রি করেছি এখন তা ৩৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। মূলত রোজার কারণেই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। রোজায় হয়তো দাম আরও বাড়বে।

এদিকে বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বাজার ও মানভেদে কাঁচা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে অনেক বাজারে কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল।

কাঁচা পেঁপের মতো দাম বেড়েছে শসা ও বেগুনের। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকার মতো বেড়ে শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। আর গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

তবে কিছুটা দাম কমেছে পাকা টমেটোর। বাজারভেদে পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৪০ টাকা। গত সপ্তাহে কোনো বাজারে পাকা টমেটোর কেজি ৪০ টাকার নিচে বিক্রি হয়নি।

এদিকে দাম অপরিবর্তিত থাকা সবজির মধ্যে পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, সজনে ডাটা ৬০ থেকে ৮০, বরবটি ৬০ থেকে ৭০, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০, করলা ৬০ থেকে ৭০, শিম ৪০ থেকে ৬০, ধুন্দুল ৭০ থেকে ৮০, গাজর ৩০ থেকে ৪০, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বয়লার মুরগির কেজি আগের সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ১৭৫ টাকায়, লাল লেয়ার মুরগি ২১০ থেকে ২২০ টাকা, পাকিস্তানি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি।

মুরগির মতো দাম অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। বাজারভেদে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৩০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি। আর খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি।

অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের দামও। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি, পাঙাশ ১৫০ থেকে ১৮০, রুই ২৮০ থেকে ৬০০, পাবদা ৬০০ থেকে ৭০০, টেংরা ৫০০ থেকে ৮০০, শিং ৫০০ থেকে ৬০০ এবং চিতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি।