ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




কনডেম সেলে স্বাধীনতা নিয়ে কি ভাবতেন বঙ্গবন্ধু?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১ ১০০ বার পড়া হয়েছে

কনডেম সেলে মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে জীবন ফিরে পাওয়ার নিশ্চয়তা না থাকলেও বাংলাদেশ যে স্বাধীন হবে – সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের আগে লন্ডনে প্রথম প্রেস কনফারেন্সে সেই আত্মবিশ্বাসের কথা জানান জাতির পিতা। বলেন- শতশত বছর ধরে বিদেশিদের শোষণের শিকার বাংলাদেশের প্রতি ব্রিটিশ নাগরিকদেরও দায়-দায়িত্ব আছে। ১০ জানুয়ারী দেশে ফেরার আগে সেই প্রেস কনফারেন্সে আর কী বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু?

জানুয়ারী ১৯৭২। কনকনে ঠান্ডা আর মেঘ-বৃষ্টির দখলে লন্ডন। যেখানে ক’দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠছে মাত্র ৬ ডিগ্রি। এমন হাড় কাঁপানো শীতে ৮ জানুয়ারি সকালে হিথরো বিমানবন্দরের পৌঁছান বঙ্গবন্ধু। ২৯০ দিনের জেলজীবন থেকে মুক্তি পাওয়া বঙ্গবন্ধুকে এক নজর দেখার জন্য বিমান বন্দরের ভেতরে বাইরে সে কি উচ্ছাস!

দুপুরেই ক্ল্যারিজ হোটেলে আয়োজন করা হয় এক সংবাদ সম্মেলনের। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটিই ছিলো বঙ্গবন্ধুর প্রথম সংবাদ সম্মেলন। এতে আবেগঘন ভাষায় প্রবল আত্মবিশ্বাসী হয়ে তিনি বলেছিলেন, কনডেম সেলে থেকেও আমি জানতাম বাংলাদেশ স্বাধীন হবেই।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুর কাছে জানতে চাইলেন এই মুহুর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? বঙ্গবন্ধু বললেন- রাস্তাঘাট লাখ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন, রাস্তাঘাট-ব্রিজ ভেঙে পড়ার পাশাপাশি ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনীতিও।

দৃঢ়চিত্তে বঙ্গবন্ধু বললেন বিদেশি শক্তির শোষণের শিকার বাংলাদেশের প্রতি ব্রিটিশ নাগরিকদেরও দায়িত্ব আছে। কারণ, তাদের অর্থনীতি গড়তে বাংলাদেশিদেরও অবদান আছে।

শুধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য না, মানবতার স্বার্থে লাখ লাখ ক্ষুধার্ত মানুষকে বাঁচাতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কনডেম সেলে স্বাধীনতা নিয়ে কি ভাবতেন বঙ্গবন্ধু?

আপডেট সময় : ০৯:০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১

কনডেম সেলে মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে জীবন ফিরে পাওয়ার নিশ্চয়তা না থাকলেও বাংলাদেশ যে স্বাধীন হবে – সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের আগে লন্ডনে প্রথম প্রেস কনফারেন্সে সেই আত্মবিশ্বাসের কথা জানান জাতির পিতা। বলেন- শতশত বছর ধরে বিদেশিদের শোষণের শিকার বাংলাদেশের প্রতি ব্রিটিশ নাগরিকদেরও দায়-দায়িত্ব আছে। ১০ জানুয়ারী দেশে ফেরার আগে সেই প্রেস কনফারেন্সে আর কী বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু?

জানুয়ারী ১৯৭২। কনকনে ঠান্ডা আর মেঘ-বৃষ্টির দখলে লন্ডন। যেখানে ক’দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠছে মাত্র ৬ ডিগ্রি। এমন হাড় কাঁপানো শীতে ৮ জানুয়ারি সকালে হিথরো বিমানবন্দরের পৌঁছান বঙ্গবন্ধু। ২৯০ দিনের জেলজীবন থেকে মুক্তি পাওয়া বঙ্গবন্ধুকে এক নজর দেখার জন্য বিমান বন্দরের ভেতরে বাইরে সে কি উচ্ছাস!

দুপুরেই ক্ল্যারিজ হোটেলে আয়োজন করা হয় এক সংবাদ সম্মেলনের। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটিই ছিলো বঙ্গবন্ধুর প্রথম সংবাদ সম্মেলন। এতে আবেগঘন ভাষায় প্রবল আত্মবিশ্বাসী হয়ে তিনি বলেছিলেন, কনডেম সেলে থেকেও আমি জানতাম বাংলাদেশ স্বাধীন হবেই।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুর কাছে জানতে চাইলেন এই মুহুর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? বঙ্গবন্ধু বললেন- রাস্তাঘাট লাখ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন, রাস্তাঘাট-ব্রিজ ভেঙে পড়ার পাশাপাশি ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনীতিও।

দৃঢ়চিত্তে বঙ্গবন্ধু বললেন বিদেশি শক্তির শোষণের শিকার বাংলাদেশের প্রতি ব্রিটিশ নাগরিকদেরও দায়িত্ব আছে। কারণ, তাদের অর্থনীতি গড়তে বাংলাদেশিদেরও অবদান আছে।

শুধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য না, মানবতার স্বার্থে লাখ লাখ ক্ষুধার্ত মানুষকে বাঁচাতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।