ঢাকা ০২:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




মাত্র চার টাকা খরচে হাজার টাকা ক্যাশআউট করতে পারবেন শ্রমিকরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০ ৬২ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন রিপোর্ট | 

করোনা ভাইরাসের এই সংকটময় মুহূর্তে সরকার ঘোষিত পোশাক খাতের প্রণোদনার আওতায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। তবে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ক্যাশ আউট চার্জ হিসেবে শ্রমিকদের হাজারে ৪ টাকা করে খরচ দিতে হবে। যদিও প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ১ হাজারে ১৮ থেকে ২০ টাকা ফি কেটে নেয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এজেন্ট।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক ক্যাশ আউটের এই চার্জ নির্ধারণ করে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত ২ এপ্রিল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য সবাইকে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বা হাজারে ৮ টাকার বেশি চার্জ আদায় করা যাবে না। এর মধ্যে এমএফএস অপারেটরদের ৪ টাকা কমিশন দেবে ঋণদাতা ব্যাংক। বাকি ৪ টাকা পরিশোধ করবে গ্রাহক বা প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক।

গত ২ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। এই তহবিল থেকে শুধু সচল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ঋণ নিতে পারবেন। এজন্য প্রতিষ্ঠানের মালিকদের গুনতে হবে এককালীন ২ শতাংশ সুদ।

উল্লেখ্য, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠান ‘বিকাশ’ বর্তমানে গ্রাহকপ্রতি এক হাজার টাকা ক্যাশ আউটে (টাকা উত্তোলন) খরচ নেয় ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। আর বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাশ আউটে খরচ নেয়া হয় ১৭ টাকা ৭০ পয়সা। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের রকেটসহ দেশের অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও একই হারে খরচ কেটে নেয়। তবে সরকারের ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘নগদ’ একটু ভিন্ন। তারা আগে এক হাজার টাকা ক্যাশ আউট করলে খরচ নিত ১৪ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু মহামারী করোনা সঙ্কটের কারণে এখন প্রতি হাজারে সেই খরচ নেয় ১০ টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মাত্র চার টাকা খরচে হাজার টাকা ক্যাশআউট করতে পারবেন শ্রমিকরা

আপডেট সময় : ১০:১২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০

অনলাইন রিপোর্ট | 

করোনা ভাইরাসের এই সংকটময় মুহূর্তে সরকার ঘোষিত পোশাক খাতের প্রণোদনার আওতায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। তবে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ক্যাশ আউট চার্জ হিসেবে শ্রমিকদের হাজারে ৪ টাকা করে খরচ দিতে হবে। যদিও প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ১ হাজারে ১৮ থেকে ২০ টাকা ফি কেটে নেয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এজেন্ট।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক ক্যাশ আউটের এই চার্জ নির্ধারণ করে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত ২ এপ্রিল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য সবাইকে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বা হাজারে ৮ টাকার বেশি চার্জ আদায় করা যাবে না। এর মধ্যে এমএফএস অপারেটরদের ৪ টাকা কমিশন দেবে ঋণদাতা ব্যাংক। বাকি ৪ টাকা পরিশোধ করবে গ্রাহক বা প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক।

গত ২ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। এই তহবিল থেকে শুধু সচল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ঋণ নিতে পারবেন। এজন্য প্রতিষ্ঠানের মালিকদের গুনতে হবে এককালীন ২ শতাংশ সুদ।

উল্লেখ্য, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠান ‘বিকাশ’ বর্তমানে গ্রাহকপ্রতি এক হাজার টাকা ক্যাশ আউটে (টাকা উত্তোলন) খরচ নেয় ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। আর বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাশ আউটে খরচ নেয়া হয় ১৭ টাকা ৭০ পয়সা। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের রকেটসহ দেশের অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও একই হারে খরচ কেটে নেয়। তবে সরকারের ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘নগদ’ একটু ভিন্ন। তারা আগে এক হাজার টাকা ক্যাশ আউট করলে খরচ নিত ১৪ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু মহামারী করোনা সঙ্কটের কারণে এখন প্রতি হাজারে সেই খরচ নেয় ১০ টাকা।