ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক




হঠাৎ পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে ৮৫২ মার্কিন ডলার: প্রভাব পড়েছে বেনাপোল বন্দরে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৯:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১৮ বার পড়া হয়েছে

শরিফুল ইসলাম ছোটন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি:  ভারতীয় কৃষিপণ্য মূল্য নির্ধারণকারী সংস্থা ‘ন্যাপেড’ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) থেকে হঠাৎ করে পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে ৮৫২ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করায় তার প্রভাব পড়েছে বেনাপোল বন্দরে। বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ আমদানিতে খরচ পড়ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা। আর পাইকারি বাজারে সেটা বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা দরে। আর খুচরা বাজারে সেই পেঁয়াজের দাম ৫৭ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে দু-এক ট্রাক পেঁয়াজ বন্দরে এলেও সেগুলো আগের এলসির পেঁয়াজ। এতদিন প্রতি মেট্রিকটন পেঁয়াজ ৩০০ থেতে ৪১০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হলেও এখন থেকে প্রতি মেট্রিকটন পেঁয়াজ ৮৫২ মার্কিন ডলারে ব্যবসায়ীদের আমদানি করতে হবে। আগের এলসিগুলো পুনরায় অ্যামানমেন্ড করে পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে।

এদিকে ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে দেওয়ায় দেশের খোলাবাজারে পেঁয়াজের দাম তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে প্রায় ১০ টাকা। ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতি মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৪১০ মার্কিন ডলারে। সে সময় কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪২ টাকা। ভারতের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজ সঙ্কট থাকায় বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করতেই পেঁয়াজ আমদানিতে মূল্য দ্বিগুণ করা হয়েছে বলে দাবি করছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। তবে বাংলদেশি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পেঁয়াজ মৌসুমে প্রতিবারেই ভারত এ কাজ করে থাকে। শুধু পেঁয়াজ না প্রতিটি খাদ্যদ্রব্যে এ কাজটি করে ভারত।

বেনাপোলের বন্দরের আমদানী কারক জনি ইসলাম, হামিদ এন্টার প্রাইজ, খুলনা জানান, ভারতের নাসিকে বন্যা ও বৃষ্টির কারণে গত এক মাসের ব্যবধানে ভারতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সে সময় পেঁয়াজ রপ্তানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় ভারতের বাজারে পেঁয়াজের মূল্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বাজারে পেঁয়াজের মূল্য সহনশীল রাখতেই ভারত সরকারের কৃষিপণ্য মূল্য নির্ধারণকারী সংস্থা ‘ন্যাপেড’ রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি আরো জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লি থেকে পেট্রাপোল কাস্টমসে পাঠানো ফ্যাক্স বার্তায় পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি জানানো হয়। সেখানে বলা ছিল, এখন থেকে পেঁয়াজের কোনো চালান দেশের বাইরে রপ্তানি করতে হলে বর্তমানে নির্ধারণ করা ৮৫৫ মার্কিন ডলারে কার্যকর হবে। আগের কোনো এলসি থাকলে সেগুলোও বাড়তি মূল্য অ্যামানমেন্ড করতে হবে।

বেনাপোল কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার, উত্তম চাকমা জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন প্রায় ৭০-৮০ মে. টন পেঁয়াজ আমদানি হয় । বাজার সহনশীল রাখতে ও পেঁয়াজের আমদানি গতিশীল করতে কাস্টম হাউজ ২৪ ঘণ্টা খোলা আছে। যেহেতু পেঁয়াজের কোনো শুল্ক নেই সে কারণে আমদানিকারকরা যে মূল্য ঘোষণা দিচ্ছে আমরা সে মূল্যে শুল্কায়ন করে দিচ্ছ। গত ১৫ দিনে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় ৫০০ মে. টন পেয়াজ আমদানী হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




হঠাৎ পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে ৮৫২ মার্কিন ডলার: প্রভাব পড়েছে বেনাপোল বন্দরে

আপডেট সময় : ০২:২৯:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

শরিফুল ইসলাম ছোটন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি:  ভারতীয় কৃষিপণ্য মূল্য নির্ধারণকারী সংস্থা ‘ন্যাপেড’ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) থেকে হঠাৎ করে পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে ৮৫২ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করায় তার প্রভাব পড়েছে বেনাপোল বন্দরে। বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ আমদানিতে খরচ পড়ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা। আর পাইকারি বাজারে সেটা বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা দরে। আর খুচরা বাজারে সেই পেঁয়াজের দাম ৫৭ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে দু-এক ট্রাক পেঁয়াজ বন্দরে এলেও সেগুলো আগের এলসির পেঁয়াজ। এতদিন প্রতি মেট্রিকটন পেঁয়াজ ৩০০ থেতে ৪১০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হলেও এখন থেকে প্রতি মেট্রিকটন পেঁয়াজ ৮৫২ মার্কিন ডলারে ব্যবসায়ীদের আমদানি করতে হবে। আগের এলসিগুলো পুনরায় অ্যামানমেন্ড করে পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে।

এদিকে ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে দেওয়ায় দেশের খোলাবাজারে পেঁয়াজের দাম তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে প্রায় ১০ টাকা। ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতি মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৪১০ মার্কিন ডলারে। সে সময় কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪২ টাকা। ভারতের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজ সঙ্কট থাকায় বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করতেই পেঁয়াজ আমদানিতে মূল্য দ্বিগুণ করা হয়েছে বলে দাবি করছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। তবে বাংলদেশি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পেঁয়াজ মৌসুমে প্রতিবারেই ভারত এ কাজ করে থাকে। শুধু পেঁয়াজ না প্রতিটি খাদ্যদ্রব্যে এ কাজটি করে ভারত।

বেনাপোলের বন্দরের আমদানী কারক জনি ইসলাম, হামিদ এন্টার প্রাইজ, খুলনা জানান, ভারতের নাসিকে বন্যা ও বৃষ্টির কারণে গত এক মাসের ব্যবধানে ভারতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সে সময় পেঁয়াজ রপ্তানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় ভারতের বাজারে পেঁয়াজের মূল্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বাজারে পেঁয়াজের মূল্য সহনশীল রাখতেই ভারত সরকারের কৃষিপণ্য মূল্য নির্ধারণকারী সংস্থা ‘ন্যাপেড’ রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি আরো জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লি থেকে পেট্রাপোল কাস্টমসে পাঠানো ফ্যাক্স বার্তায় পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি জানানো হয়। সেখানে বলা ছিল, এখন থেকে পেঁয়াজের কোনো চালান দেশের বাইরে রপ্তানি করতে হলে বর্তমানে নির্ধারণ করা ৮৫৫ মার্কিন ডলারে কার্যকর হবে। আগের কোনো এলসি থাকলে সেগুলোও বাড়তি মূল্য অ্যামানমেন্ড করতে হবে।

বেনাপোল কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার, উত্তম চাকমা জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন প্রায় ৭০-৮০ মে. টন পেঁয়াজ আমদানি হয় । বাজার সহনশীল রাখতে ও পেঁয়াজের আমদানি গতিশীল করতে কাস্টম হাউজ ২৪ ঘণ্টা খোলা আছে। যেহেতু পেঁয়াজের কোনো শুল্ক নেই সে কারণে আমদানিকারকরা যে মূল্য ঘোষণা দিচ্ছে আমরা সে মূল্যে শুল্কায়ন করে দিচ্ছ। গত ১৫ দিনে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় ৫০০ মে. টন পেয়াজ আমদানী হয়েছে।