ঢাকা ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




কে এই জাকির মুসা, কেন উত্তপ্ত কাশ্মীর?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০১৯ ৯৮ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক |

ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী নেতা জাকির মুসাকে আটকের পর বৃহস্পতিবার গুলি করে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

বিবিসি বাংলা জানায়, মুসাকে হত্যার ঘটনায় ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে তার জানায় সমবেত হন হাজার হাজার মানুষ। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কাশ্মীরের দক্ষিণে ত্রাল জেলায় জাকির মুসাকে আটক করার পর গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

গত ২০১৬ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত ক্যারিশমাটিক স্বাধীনতাকামী নেতা বুরহান ওয়ানির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন এই জাকির।

বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পর কাশ্মীরে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতা হয়েছিল। ওই সময় ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১০০ জনের বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

জাকির মুসা হিযবুল মুজাহিদিনের থেকে আলাদা হয়ে গিয়ে ২০১৭ সালে আল-কায়েদার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। তিনি পরে আনসার গাযওয়াত-উল-হিন্দ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। তবে এটা এখনো পরিষ্কার নয় তার দলে কত সংখ্যক যোদ্ধা ছিল।

ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, ওয়ানির মৃত্যুর পর এ পর্যন্ত জাকির মুসার নিহত হওয়াই দেশটির সেনাবাহিনীর ‘সবচেয়ে বড় বিজয়’।

জাকির মুসার মৃত্যু নিশ্চিত করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দেওয়া এক লাইনের বিবৃতিতে বলা হয়, “পুলাওয়ামাতে অভিযানে জাকির মুসা নামে একজন সন্ত্রাসী নিহত। অস্ত্র এবং যুদ্ধের সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে।”

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, জাকির মুসার জানাজায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। সে সময় প্রবল বৃষ্টি ও ঝড় উপেক্ষা করে দীর্ঘ সময় মানুষ অপেক্ষা করতে থাকেন।

শ্রীনগর সংলগ্ন একমাত্র হাইওয়ের কাছে সমবেত শত শত মানুষ ‘মুসা মুসা জাকির মুসা’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। অনেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারে।

এদিকে জাকির মুসার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে কর্মকর্তারা সংঘর্ষ-সহিংসতা শুরু হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় রয়েছেন। তার হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ছোটখাটো সংঘর্ষ হয়েছে।

বিক্ষোভ এড়াতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার স্কুল-কলেজসমূহ ছিল বন্ধ

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কে এই জাকির মুসা, কেন উত্তপ্ত কাশ্মীর?

আপডেট সময় : ০১:৩৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক |

ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী নেতা জাকির মুসাকে আটকের পর বৃহস্পতিবার গুলি করে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

বিবিসি বাংলা জানায়, মুসাকে হত্যার ঘটনায় ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে তার জানায় সমবেত হন হাজার হাজার মানুষ। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কাশ্মীরের দক্ষিণে ত্রাল জেলায় জাকির মুসাকে আটক করার পর গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

গত ২০১৬ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত ক্যারিশমাটিক স্বাধীনতাকামী নেতা বুরহান ওয়ানির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন এই জাকির।

বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পর কাশ্মীরে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতা হয়েছিল। ওই সময় ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১০০ জনের বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

জাকির মুসা হিযবুল মুজাহিদিনের থেকে আলাদা হয়ে গিয়ে ২০১৭ সালে আল-কায়েদার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। তিনি পরে আনসার গাযওয়াত-উল-হিন্দ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। তবে এটা এখনো পরিষ্কার নয় তার দলে কত সংখ্যক যোদ্ধা ছিল।

ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, ওয়ানির মৃত্যুর পর এ পর্যন্ত জাকির মুসার নিহত হওয়াই দেশটির সেনাবাহিনীর ‘সবচেয়ে বড় বিজয়’।

জাকির মুসার মৃত্যু নিশ্চিত করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দেওয়া এক লাইনের বিবৃতিতে বলা হয়, “পুলাওয়ামাতে অভিযানে জাকির মুসা নামে একজন সন্ত্রাসী নিহত। অস্ত্র এবং যুদ্ধের সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে।”

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, জাকির মুসার জানাজায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। সে সময় প্রবল বৃষ্টি ও ঝড় উপেক্ষা করে দীর্ঘ সময় মানুষ অপেক্ষা করতে থাকেন।

শ্রীনগর সংলগ্ন একমাত্র হাইওয়ের কাছে সমবেত শত শত মানুষ ‘মুসা মুসা জাকির মুসা’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। অনেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারে।

এদিকে জাকির মুসার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে কর্মকর্তারা সংঘর্ষ-সহিংসতা শুরু হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় রয়েছেন। তার হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ছোটখাটো সংঘর্ষ হয়েছে।

বিক্ষোভ এড়াতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার স্কুল-কলেজসমূহ ছিল বন্ধ