ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলকে নিয়ে বিএনপির যৌথসভা Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo চাকুরীচ্যুত হওয়ার পরেও বহাল পায়রা বন্দর প্রকৌশলী নাছির: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান




কে এই জাকির মুসা, কেন উত্তপ্ত কাশ্মীর?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০১৯ ৬৭ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক |

ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী নেতা জাকির মুসাকে আটকের পর বৃহস্পতিবার গুলি করে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

বিবিসি বাংলা জানায়, মুসাকে হত্যার ঘটনায় ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে তার জানায় সমবেত হন হাজার হাজার মানুষ। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কাশ্মীরের দক্ষিণে ত্রাল জেলায় জাকির মুসাকে আটক করার পর গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

গত ২০১৬ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত ক্যারিশমাটিক স্বাধীনতাকামী নেতা বুরহান ওয়ানির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন এই জাকির।

বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পর কাশ্মীরে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতা হয়েছিল। ওই সময় ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১০০ জনের বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

জাকির মুসা হিযবুল মুজাহিদিনের থেকে আলাদা হয়ে গিয়ে ২০১৭ সালে আল-কায়েদার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। তিনি পরে আনসার গাযওয়াত-উল-হিন্দ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। তবে এটা এখনো পরিষ্কার নয় তার দলে কত সংখ্যক যোদ্ধা ছিল।

ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, ওয়ানির মৃত্যুর পর এ পর্যন্ত জাকির মুসার নিহত হওয়াই দেশটির সেনাবাহিনীর ‘সবচেয়ে বড় বিজয়’।

জাকির মুসার মৃত্যু নিশ্চিত করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দেওয়া এক লাইনের বিবৃতিতে বলা হয়, “পুলাওয়ামাতে অভিযানে জাকির মুসা নামে একজন সন্ত্রাসী নিহত। অস্ত্র এবং যুদ্ধের সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে।”

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, জাকির মুসার জানাজায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। সে সময় প্রবল বৃষ্টি ও ঝড় উপেক্ষা করে দীর্ঘ সময় মানুষ অপেক্ষা করতে থাকেন।

শ্রীনগর সংলগ্ন একমাত্র হাইওয়ের কাছে সমবেত শত শত মানুষ ‘মুসা মুসা জাকির মুসা’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। অনেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারে।

এদিকে জাকির মুসার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে কর্মকর্তারা সংঘর্ষ-সহিংসতা শুরু হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় রয়েছেন। তার হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ছোটখাটো সংঘর্ষ হয়েছে।

বিক্ষোভ এড়াতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার স্কুল-কলেজসমূহ ছিল বন্ধ

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কে এই জাকির মুসা, কেন উত্তপ্ত কাশ্মীর?

আপডেট সময় : ০১:৩৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক |

ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী নেতা জাকির মুসাকে আটকের পর বৃহস্পতিবার গুলি করে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

বিবিসি বাংলা জানায়, মুসাকে হত্যার ঘটনায় ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে তার জানায় সমবেত হন হাজার হাজার মানুষ। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কাশ্মীরের দক্ষিণে ত্রাল জেলায় জাকির মুসাকে আটক করার পর গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

গত ২০১৬ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত ক্যারিশমাটিক স্বাধীনতাকামী নেতা বুরহান ওয়ানির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন এই জাকির।

বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পর কাশ্মীরে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতা হয়েছিল। ওই সময় ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১০০ জনের বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

জাকির মুসা হিযবুল মুজাহিদিনের থেকে আলাদা হয়ে গিয়ে ২০১৭ সালে আল-কায়েদার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। তিনি পরে আনসার গাযওয়াত-উল-হিন্দ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। তবে এটা এখনো পরিষ্কার নয় তার দলে কত সংখ্যক যোদ্ধা ছিল।

ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, ওয়ানির মৃত্যুর পর এ পর্যন্ত জাকির মুসার নিহত হওয়াই দেশটির সেনাবাহিনীর ‘সবচেয়ে বড় বিজয়’।

জাকির মুসার মৃত্যু নিশ্চিত করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দেওয়া এক লাইনের বিবৃতিতে বলা হয়, “পুলাওয়ামাতে অভিযানে জাকির মুসা নামে একজন সন্ত্রাসী নিহত। অস্ত্র এবং যুদ্ধের সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে।”

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, জাকির মুসার জানাজায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। সে সময় প্রবল বৃষ্টি ও ঝড় উপেক্ষা করে দীর্ঘ সময় মানুষ অপেক্ষা করতে থাকেন।

শ্রীনগর সংলগ্ন একমাত্র হাইওয়ের কাছে সমবেত শত শত মানুষ ‘মুসা মুসা জাকির মুসা’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। অনেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারে।

এদিকে জাকির মুসার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে কর্মকর্তারা সংঘর্ষ-সহিংসতা শুরু হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় রয়েছেন। তার হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ছোটখাটো সংঘর্ষ হয়েছে।

বিক্ষোভ এড়াতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার স্কুল-কলেজসমূহ ছিল বন্ধ