ঢাকা ০১:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাতঙ্ক, মক্কায় জরুরি বৈঠক ডেকেছে সৌদি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০১৯ ৯২ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক;

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের যুদ্ধ লেগে যাওয়ার সম্ভাবনায় পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সৌদি বাদশাহ সালমান ৩০শে মে মক্কায় এক জরুরি বৈঠকে বসার জন্য আরব লীগ এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর জোট জিসিসি সদস্যদের আমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন।

সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতে সমুদ্র সীমায় (সৌদি) বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা এবং সৌদি আরবের মধ্যে দুটো তেল ক্ষেত্রে হুতি সন্ত্রাসীদের হামলার’ পরিপ্রেক্ষিতে এই জরুরী বৈঠক ডাকা হয়েছে। এসব হামলা এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা এবং বিশ্বে তেল সরবরাহের ওপর মারাত্মক হুমকি তৈরি করেছে।

গত সপ্তাহান্তে উপসাগরে দুটি সৌদি তেলের ট্যাংকারে হামলা চালানো হয়। এছাড়া, সৌদি দুটো তেলের স্থাপনায় ড্রোন হামলার পর অপরিশোধিত তেলের গুরুত্বপূর্ণ একটি পাইপলাইন বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
এসপিএ আরো জানিয়েছে শনিবার রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে সৌদি যুবরাজ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহামেদ বিন সালমানের সাথে কথা বলেছেন।

সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদিল আল জুবেইর রিয়াদে আজ রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সৌদি আরব এ অঞ্চলে কোনো যুদ্ধ চায় না। যুদ্ধ যাতে না বাঁধে তার সব চেষ্টাই সৌদি আরব কমবে। তবে অন্য পক্ষ যুদ্ধ শুরু করলে, সৌদি আরব তার নিরাপত্তা এবং স্বার্থ রক্ষায় কড়া জবাব দেবে।

সৌদি মন্ত্রী বলেন, ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা উদ্দেশ্যমুলকভাবে সৌদি স্বার্থে আঘাতের চেষ্টা করছে।

হুমকির সুরে সৌদি মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব আশা করে বিপদ এড়াতে ইরানের সরকার তাদের শুভবুদ্ধি প্রয়োগ করবে এবং তাদের অনুচরদের দায়িত্বহীন হঠকারী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখবে…না হলে এই অঞ্চলের যে পরিণতি হবে তার জন্য পরে অনুশোচনা করতে হবে।

শুধু সৌদি আরব নয়, উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোও সম্ভাব্য ইরান-আমেরিকা যুদ্ধ নিয়ে গভীর শঙ্কায় পড়েছে।

সতর্ক বাহরাইন
বাহরাইন তার নাগরিকদের ইরাক এবং ইরানে যাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে এবং বলেছে যত দ্রুত সম্ভব ঐ দুটি দেশ ত্যাগ করতে।

বাহরাইন উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ। এছাড়া বাহরাইন প্রায়ই অভিযোগ করে যে ইরান তার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে।

আঞ্চলিক উত্তেজনা যে বেড়েছে তার আরো কিছু লক্ষণ দেখা গেছে।

বৃহৎ মার্কিন তেল কোম্পানি এক্সন-মোবিল দক্ষিণ ইরাকের একটি তেলক্ষেত্র থেকে তার সব বিদেশি কর্মচারীকে সরিয়ে নিয়েছে।

আমেরিকা এবং ইরানের মধ্যে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে তা আলোচনার জন্য জ্বালানি তেল উৎপাদকদের সমিতি ওপেক আজ রোববার) এক বৈঠকে বসছে।

ইরান একাধিকবার হুমকি দিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর হামলা চালালে তারা তেল পরিবহনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে।

তবে বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশ্লেষক অ্যালান জনস্টন বলছেন, যুদ্ধের সম্ভাবনাকে ইরানিরা খাটো করে দেখাচ্ছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ যারিফ শনিবার বলেন, ইরান কোনো যুদ্ধ চায় না। তবে তিনি একথাও বলার চেষ্টা করেন যে ইরানের সাথে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র জয়ী হবে না এটাও আমেরিকানরা জানে।

ওদিকে, সাবেক মার্কিন জেনারেল ডেভিড পেট্রেয়াসও বলছেন, কোন সর্বাত্মক যুদ্ধের সম্ভাবনা কম। তিনি বলেছেন, ইরান দখল করার ক্ষেত্রে যে বিশাল চ্যালেঞ্জ রয়েছে মার্কিন সামরিক দফতর পেন্টাগন সে কথা যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের নিশ্চয়ই জানিয়ে দেবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাতঙ্ক, মক্কায় জরুরি বৈঠক ডেকেছে সৌদি

আপডেট সময় : ১০:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক;

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের যুদ্ধ লেগে যাওয়ার সম্ভাবনায় পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সৌদি বাদশাহ সালমান ৩০শে মে মক্কায় এক জরুরি বৈঠকে বসার জন্য আরব লীগ এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর জোট জিসিসি সদস্যদের আমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন।

সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতে সমুদ্র সীমায় (সৌদি) বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা এবং সৌদি আরবের মধ্যে দুটো তেল ক্ষেত্রে হুতি সন্ত্রাসীদের হামলার’ পরিপ্রেক্ষিতে এই জরুরী বৈঠক ডাকা হয়েছে। এসব হামলা এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা এবং বিশ্বে তেল সরবরাহের ওপর মারাত্মক হুমকি তৈরি করেছে।

গত সপ্তাহান্তে উপসাগরে দুটি সৌদি তেলের ট্যাংকারে হামলা চালানো হয়। এছাড়া, সৌদি দুটো তেলের স্থাপনায় ড্রোন হামলার পর অপরিশোধিত তেলের গুরুত্বপূর্ণ একটি পাইপলাইন বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
এসপিএ আরো জানিয়েছে শনিবার রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে সৌদি যুবরাজ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহামেদ বিন সালমানের সাথে কথা বলেছেন।

সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদিল আল জুবেইর রিয়াদে আজ রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সৌদি আরব এ অঞ্চলে কোনো যুদ্ধ চায় না। যুদ্ধ যাতে না বাঁধে তার সব চেষ্টাই সৌদি আরব কমবে। তবে অন্য পক্ষ যুদ্ধ শুরু করলে, সৌদি আরব তার নিরাপত্তা এবং স্বার্থ রক্ষায় কড়া জবাব দেবে।

সৌদি মন্ত্রী বলেন, ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা উদ্দেশ্যমুলকভাবে সৌদি স্বার্থে আঘাতের চেষ্টা করছে।

হুমকির সুরে সৌদি মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব আশা করে বিপদ এড়াতে ইরানের সরকার তাদের শুভবুদ্ধি প্রয়োগ করবে এবং তাদের অনুচরদের দায়িত্বহীন হঠকারী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখবে…না হলে এই অঞ্চলের যে পরিণতি হবে তার জন্য পরে অনুশোচনা করতে হবে।

শুধু সৌদি আরব নয়, উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোও সম্ভাব্য ইরান-আমেরিকা যুদ্ধ নিয়ে গভীর শঙ্কায় পড়েছে।

সতর্ক বাহরাইন
বাহরাইন তার নাগরিকদের ইরাক এবং ইরানে যাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে এবং বলেছে যত দ্রুত সম্ভব ঐ দুটি দেশ ত্যাগ করতে।

বাহরাইন উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ। এছাড়া বাহরাইন প্রায়ই অভিযোগ করে যে ইরান তার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে।

আঞ্চলিক উত্তেজনা যে বেড়েছে তার আরো কিছু লক্ষণ দেখা গেছে।

বৃহৎ মার্কিন তেল কোম্পানি এক্সন-মোবিল দক্ষিণ ইরাকের একটি তেলক্ষেত্র থেকে তার সব বিদেশি কর্মচারীকে সরিয়ে নিয়েছে।

আমেরিকা এবং ইরানের মধ্যে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে তা আলোচনার জন্য জ্বালানি তেল উৎপাদকদের সমিতি ওপেক আজ রোববার) এক বৈঠকে বসছে।

ইরান একাধিকবার হুমকি দিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর হামলা চালালে তারা তেল পরিবহনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে।

তবে বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশ্লেষক অ্যালান জনস্টন বলছেন, যুদ্ধের সম্ভাবনাকে ইরানিরা খাটো করে দেখাচ্ছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ যারিফ শনিবার বলেন, ইরান কোনো যুদ্ধ চায় না। তবে তিনি একথাও বলার চেষ্টা করেন যে ইরানের সাথে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র জয়ী হবে না এটাও আমেরিকানরা জানে।

ওদিকে, সাবেক মার্কিন জেনারেল ডেভিড পেট্রেয়াসও বলছেন, কোন সর্বাত্মক যুদ্ধের সম্ভাবনা কম। তিনি বলেছেন, ইরান দখল করার ক্ষেত্রে যে বিশাল চ্যালেঞ্জ রয়েছে মার্কিন সামরিক দফতর পেন্টাগন সে কথা যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের নিশ্চয়ই জানিয়ে দেবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা