ঢাকা ০৪:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিএনপি নেতা মাহিদুর রহমান নেতৃত্বের বিস্ময় Logo স্বৈরাচারের দোসর প্রধান বিচারপতির ধর্ম ছেলে পরিচয়ে মোজাম্মেলের অধর্ম! Logo রাজধানীতে মার্কেট দখল করতে গিয়ে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আটক Logo স্কুলের ভেতরে নিয়মিত চলে তাশ ও জুয়া! Logo চাঁদা চাওয়ায় দাকোপে ৫ আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা Logo ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আল আমিন সম্পাদক শামসউদ্দিন Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর উদ্যোগে দুমকিতে ক্যারিয়ার সামিট অনুষ্ঠিত Logo সওজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রচারিত প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ Logo বিপ্লবী গান, আবৃত্তি এবং কাওয়ালী গানে মেতেছে আশা বিশ্ববিদ্যালয় Logo ছত্রিশ টাকার নকলনবীশ প্রভাবশালী কোটিপতি!




রোগীকে লাঞ্ছিত ও ছেলেকে মারধর করলেন চিকিৎসক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০৪:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০১৯ ১১৩ বার পড়া হয়েছে

বরগুনা প্রতিনিধি |
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আনোয়ার উল্যার বিরুদ্ধে এক রোগীকে লাঞ্ছিত ও তার ছেলেকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। একজন চিকিৎসকের এই আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বরগুনার সুশীল সমাজ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে মারধরের ঘটনায় আহত হয়ে শুক্রবার সকালে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন দুলিয়া বেগম। এরপর সোমবার সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ দুলিয়া বেগম অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রহিমা বেগম তার (দুলিয়া বেগমের) ছেলে জিলানীকে খবর দেয়। জিলানী দ্রুত হাসপাতালের এসে তার মাকে মেঝেতে অজ্ঞান অবস্থায় পরে থাকতে দেখে নার্সদের ডেকে নিয়ে আসেন। নার্সরা চিকিৎসক আনোয়ার উল্যাহকে ডেকে নিয়ে আসেন। জিলানী তার মায়ের এ অবস্থার কারণ জানতে চাইলে চিকিৎসক আনোয়ার উল্যাহর সাথে তার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে চিকিৎসক সকলের মধ্যে জিলানীকে মারধর করেন। এ সময় জিলানীর মাকেও লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

পাথরঘাটা উপজেলা নাগরিক অধিকার ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া একটি সাংবিধানিক অধিকার। মায়ের অসুস্থতার কারণে সন্তান ছুটে এসে কিছুটা অসৌজন্যমূলক আচরণ করলেও ডাক্তারের এ বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া উচিত ছিল। একজন প্রথম শ্রেণির নাগরিক এ রকম রোগীর ছেলের গায়ে হাত দিয়ে মারধর করাটা দুঃখজনক।

দুলিয়া বেগমের ছেলে জিলানী বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমার মা হঠাৎ করে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে শুনে মাকে দেখতে আসি। এসে দেখি মা মেঝেতে পড়ে আছে পরে নার্সদের ডাকলে তারা ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে আসে। এ সময় ডাক্তার আমাকে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বললে আমি বের হয়ে না যাওয়ায় আমাকে চর-থাপ্পড় মারতে থাকে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আনোয়ার উল্যাহ বলেন, আমি ওই ছেলের মায়ের কাছ থেকে একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার নিতে চাইলে ওই ছেলে আমার উপর আক্রমণ করে। আমি এর প্রতিবাদ করেছি মাত্র।

এঘটনায় পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাসুমুল হক খানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার স্ত্রী পরিচয়ে কেউ একজন ফোন রিসিভ করেন। তিনি জানান, আমার স্বামী ৩ দিনের ছুটিতে আছেন। আগামী রোববার ছাড়া তিনি কোন কথা বলতে পারবেন না।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান বলেন, হাসপাতালের এ রকমের কোন ঘটনা আমি এখন পর্যন্ত শুনিনি। তবে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটে থাকলে দুঃখজনক, আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। এ সময় তার কাছে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তার ছুটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অসুস্থতা জনিত কারণে তিনি আমার কাছ থেকে মৌখিক ভাবে ৩ দিনের ছুটি নিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




রোগীকে লাঞ্ছিত ও ছেলেকে মারধর করলেন চিকিৎসক

আপডেট সময় : ০৫:০৪:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০১৯

বরগুনা প্রতিনিধি |
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আনোয়ার উল্যার বিরুদ্ধে এক রোগীকে লাঞ্ছিত ও তার ছেলেকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। একজন চিকিৎসকের এই আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বরগুনার সুশীল সমাজ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে মারধরের ঘটনায় আহত হয়ে শুক্রবার সকালে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন দুলিয়া বেগম। এরপর সোমবার সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ দুলিয়া বেগম অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রহিমা বেগম তার (দুলিয়া বেগমের) ছেলে জিলানীকে খবর দেয়। জিলানী দ্রুত হাসপাতালের এসে তার মাকে মেঝেতে অজ্ঞান অবস্থায় পরে থাকতে দেখে নার্সদের ডেকে নিয়ে আসেন। নার্সরা চিকিৎসক আনোয়ার উল্যাহকে ডেকে নিয়ে আসেন। জিলানী তার মায়ের এ অবস্থার কারণ জানতে চাইলে চিকিৎসক আনোয়ার উল্যাহর সাথে তার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে চিকিৎসক সকলের মধ্যে জিলানীকে মারধর করেন। এ সময় জিলানীর মাকেও লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

পাথরঘাটা উপজেলা নাগরিক অধিকার ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া একটি সাংবিধানিক অধিকার। মায়ের অসুস্থতার কারণে সন্তান ছুটে এসে কিছুটা অসৌজন্যমূলক আচরণ করলেও ডাক্তারের এ বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া উচিত ছিল। একজন প্রথম শ্রেণির নাগরিক এ রকম রোগীর ছেলের গায়ে হাত দিয়ে মারধর করাটা দুঃখজনক।

দুলিয়া বেগমের ছেলে জিলানী বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমার মা হঠাৎ করে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে শুনে মাকে দেখতে আসি। এসে দেখি মা মেঝেতে পড়ে আছে পরে নার্সদের ডাকলে তারা ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে আসে। এ সময় ডাক্তার আমাকে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বললে আমি বের হয়ে না যাওয়ায় আমাকে চর-থাপ্পড় মারতে থাকে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আনোয়ার উল্যাহ বলেন, আমি ওই ছেলের মায়ের কাছ থেকে একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার নিতে চাইলে ওই ছেলে আমার উপর আক্রমণ করে। আমি এর প্রতিবাদ করেছি মাত্র।

এঘটনায় পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাসুমুল হক খানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার স্ত্রী পরিচয়ে কেউ একজন ফোন রিসিভ করেন। তিনি জানান, আমার স্বামী ৩ দিনের ছুটিতে আছেন। আগামী রোববার ছাড়া তিনি কোন কথা বলতে পারবেন না।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান বলেন, হাসপাতালের এ রকমের কোন ঘটনা আমি এখন পর্যন্ত শুনিনি। তবে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটে থাকলে দুঃখজনক, আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। এ সময় তার কাছে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তার ছুটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অসুস্থতা জনিত কারণে তিনি আমার কাছ থেকে মৌখিক ভাবে ৩ দিনের ছুটি নিয়েছেন।