ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




বউ পেটানোর দায়ে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হচ্ছে বাংলাদেশি কূটনীতিককে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০১৯ ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে

বউ পেটানোর দায়ে বাংলাদেশি এক কূটনীতিককে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হচ্ছে। ১২ মে’র মধ্যে তাকে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করতে হবে। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিস এ্যাসিস্ট্যান্ট (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) দেলোয়ার হোসেন মুচলেকা দিয়েও ছাড় পেলেন না।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) এবং ওয়াশিংটনের পুলিশ কর্তৃক তদন্তের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর এই নির্দেশ জারি করে। দূতাবাসের মিনিস্টার (প্রেস) শামীম আহমেদ ৯ মে বৃহস্পতিবার সকালে এনআরবি নিউজের এ সংবাদদাতাকে আরও জানান, ‘ঢাকায় পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী দেলোয়ার হোসেন বছর দুয়েক আগে দূতাবাসে যোগদান করেছিলেন। এখন বউ পেটানোর কালিমা নিয়ে বউসহ তাকে ঢাকার সেই কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে।

তার বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কোনভাবেই তাকে আর যুক্তরাষ্ট্রে ঠাঁই দিতে চান না স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বউ পেটানোর অভিযোগ দায়েরের পর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে ওয়াশিংটন ডিসির পুলিশ। বাংলাদেশ মিশনও একটি ছায়া তদন্তে তিনজন কর্মকর্তাকে তার বাসায় পাঠায়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে নিজেদের রক্ষায় ‘বিরোধ মিটিয়ে ফেলেছেন’ মর্মে মিশনকে অবহিত করেন এবং এমন আচরণ ভবিষ্যতে আর হবে না বলে যৌথ মুচলেকা দেন দেলোয়ার ও তার স্ত্রী।

বিষয়টি স্টেট ডিপার্টমেন্টকে তাৎক্ষণিক অবহিত করে বাংলাদেশ দূতাবাস। দেশে ফেরানো ঠেকাতে স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে দূতাবাসের কয়েক দফা চিঠি চালাচালি হয়। কিন্তু স্টেট ডিপার্টমেন্ট ওই অভিযোগকে ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’ আখ্যা দিয়ে সর্বশেষ যে চিঠি পাঠায় সেখানে দেলোয়ার ও তার স্ত্রীকে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে নির্ধারিত সময় বেঁধে দেয়া হয়।

চিঠিতে স্টেট ডিপার্টমেন্ট স্পষ্টভাবে জানায়, দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল এলিগেশন প্রমাণিত হয়েছে, এজন্য তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বউ পেটানোর দায়ে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হচ্ছে বাংলাদেশি কূটনীতিককে

আপডেট সময় : ১০:৩৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০১৯

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে

বউ পেটানোর দায়ে বাংলাদেশি এক কূটনীতিককে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হচ্ছে। ১২ মে’র মধ্যে তাকে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করতে হবে। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিস এ্যাসিস্ট্যান্ট (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) দেলোয়ার হোসেন মুচলেকা দিয়েও ছাড় পেলেন না।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) এবং ওয়াশিংটনের পুলিশ কর্তৃক তদন্তের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর এই নির্দেশ জারি করে। দূতাবাসের মিনিস্টার (প্রেস) শামীম আহমেদ ৯ মে বৃহস্পতিবার সকালে এনআরবি নিউজের এ সংবাদদাতাকে আরও জানান, ‘ঢাকায় পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী দেলোয়ার হোসেন বছর দুয়েক আগে দূতাবাসে যোগদান করেছিলেন। এখন বউ পেটানোর কালিমা নিয়ে বউসহ তাকে ঢাকার সেই কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে।

তার বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কোনভাবেই তাকে আর যুক্তরাষ্ট্রে ঠাঁই দিতে চান না স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বউ পেটানোর অভিযোগ দায়েরের পর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে ওয়াশিংটন ডিসির পুলিশ। বাংলাদেশ মিশনও একটি ছায়া তদন্তে তিনজন কর্মকর্তাকে তার বাসায় পাঠায়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে নিজেদের রক্ষায় ‘বিরোধ মিটিয়ে ফেলেছেন’ মর্মে মিশনকে অবহিত করেন এবং এমন আচরণ ভবিষ্যতে আর হবে না বলে যৌথ মুচলেকা দেন দেলোয়ার ও তার স্ত্রী।

বিষয়টি স্টেট ডিপার্টমেন্টকে তাৎক্ষণিক অবহিত করে বাংলাদেশ দূতাবাস। দেশে ফেরানো ঠেকাতে স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে দূতাবাসের কয়েক দফা চিঠি চালাচালি হয়। কিন্তু স্টেট ডিপার্টমেন্ট ওই অভিযোগকে ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’ আখ্যা দিয়ে সর্বশেষ যে চিঠি পাঠায় সেখানে দেলোয়ার ও তার স্ত্রীকে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে নির্ধারিত সময় বেঁধে দেয়া হয়।

চিঠিতে স্টেট ডিপার্টমেন্ট স্পষ্টভাবে জানায়, দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল এলিগেশন প্রমাণিত হয়েছে, এজন্য তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।