প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
- আপডেট সময় : ১০:৪১:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০১৯ ২৫৯ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক;
ভারতের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে রঞ্জন গগৈর বিরুদ্ধে আনা যৌন হয়রানির অভিযোগ সোমবার ‘ভিত্তিহীন’ বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। আজ মঙ্গলবার সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে।
সকাল থেকেই ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন একদল আইনজীবী। তাতে সামিল হন বহু নারী সমাজকর্মীও। দিল্লি পুলিশ বিক্ষোভ থামাতে গেলে পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নেয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের। তার জেরে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে বিক্ষোভের সময় ঘটনাস্থলে হাজির কয়েকজন সাংবাদিককেও।
সকালে বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় দিল্লি পুলিশের একটি দল। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। যার পর একরকম জোর করেই বিক্ষোভকারীদের ভ্যানে তুলতে শুরু করে পুলিশ। সেখান থেকে মন্দির মার্গ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। সেখানেই আটক করে রাখা হয়।
দিল্লি পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক মধুর বর্মার দাবি, সুপ্রিম কোর্ট চত্বরের মতো সংবেদনশীল জায়গাগুলিতে সারা বছর ১৪৪ ধারা জারি থাকে। তা লঙ্ঘন করেই এ দিন সেখানে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তা সত্ত্বেও শুরুতে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি। বরং বিক্ষোভ সরিয়ে নিয়ে যেতে অনুরোধ জানিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি বিক্ষোভকারীরা। তাই তাদের আটক করা হয়।
গত ১৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের ২২ জন বিচারপতিকে হলফনামা দিয়ে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ জানান ওই নারী। তিনি জানান, জুনিয়র কোর্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের অগস্ট মাসে প্রধান বিচারপতির বাড়ির অফিসে কাজ করার দায়িত্ব পান। সেখানে তাকে যৌন হেনস্থা করেন প্রধান বিচারপতি। প্রতিবাদ করলে চাকরি থেকেই বরখাস্ত করা হয়।
সূত্র: আনন্দবাজার