ঢাকা ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিএনপি নেতা মাহিদুর রহমান নেতৃত্বের বিস্ময় Logo স্বৈরাচারের দোসর প্রধান বিচারপতির ধর্ম ছেলে পরিচয়ে মোজাম্মেলের অধর্ম! Logo রাজধানীতে মার্কেট দখল করতে গিয়ে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আটক Logo স্কুলের ভেতরে নিয়মিত চলে তাশ ও জুয়া! Logo চাঁদা চাওয়ায় দাকোপে ৫ আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা Logo ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আল আমিন সম্পাদক শামসউদ্দিন Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর উদ্যোগে দুমকিতে ক্যারিয়ার সামিট অনুষ্ঠিত Logo সওজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রচারিত প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ Logo বিপ্লবী গান, আবৃত্তি এবং কাওয়ালী গানে মেতেছে আশা বিশ্ববিদ্যালয় Logo ছত্রিশ টাকার নকলনবীশ প্রভাবশালী কোটিপতি!




বেকার যুবকদের আতঙ্ক প্রতারক শুভ দম্পতি: আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিষ্ক্রিয়!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৩:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৫১২ বার পড়া হয়েছে

অপরাধ প্রতিবেদক: ‘প্রতারক তহিদুল ইসলাম শুভ’ এই নামে গুগল সার্চ করলে পাওয়া যাবে তার ভুরি ভূরি অপকর্ম ও প্রতারণার দলিল। রাজবাড়ী থেকে রাজশাহী। এলজিইডি থেকে শিক্ষা ও রেল মন্ত্রণালয় চাকুরী দেয়া যেন তার বা হাতের খেল। নিজেকে কখনো আমলা কখনো সেনাবাহিনীর মেজর আবার কখনো সিআইডি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে সারাদেশে প্রতারণার শক্তিশালী জাল বুনেছেন তিনি। বেশ কয়েকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হলেও আইনের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে আবার একইভাবে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এই প্রতারক। রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি শহরে বেকার যুবকদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক শুভ এতটাই বেপরোয়া যে রক্ষা করেন না কোন আইন কানুন এমনকি মামলা।

বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পুরাতন ছবি

সহযোগী হিসাবে রেল ভবনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের উপসচিব সহ বেশ কিছু আমলার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানা গেছে।
তার প্রতারণা শুরু রাজবাড়ী থেকে অসংখ্য বেকার যুবকদের কাছ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরি দেয়ার নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাফাতে হন শুভ। এরপর থেকে ফরিদপুর ঢাকা ও রাজবাড়ী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতারণার শক্তিশালী সিন্ডিকেট করে তুলেন তিনি। একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পরেও জামিনী বেরিয়ে ফের একই কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকেন।

গত বছরে ‍্যাবের জালে আটক হওয়ার পরে জামিনে বেরিয়ে শশুর বাড়ি রাজশাহী এলাকায় নতুন প্রতারণার ফাঁক বুনেন এবং সেই ফাঁদে আটকা পড়েছে ঝাকে ঝাকে বেকার যুবক। হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় চার কোটি টাকা। এমন অভিযোগে রাজশাহী আদালতে মামলা হয়েছে তার স্ত্রী সহ প্রতারণায় যুক্ত একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আইনজীবী পরিচয়ধারী শুভর স্ত্রী মুক্তকে ব্যবহার করে চাকরির নামে রাজশাহীর অসংখ্য বেকার যুবকদের থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা স্বামী স্ত্রী দুই প্রকার।

সেনাবাহিনীর অফিসার পরিচয় আইডি কার্ড ও তার স্ত্রী

এসব প্রতারণার সাথে যুক্ত থাকা একাধিক ব্যক্তির তালিকায় উঠে এসেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের উপসচিব রেল ভবনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রতারক শুভর বাবা বিজিবি সদস্য মোয়াজ্জেব হোসেন এর নাম। প্রতারণার কাজে শুভ নিজেকে মেজর পরিচয় দিয়ে থাকেন এক্ষেত্রে তৌহিদ নামের একজন মেজরের ছবি এডিট করে নিজের ছবি হিসেবে চালিয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রতারণার টাকা ফেরত চাইলে একাধিক ভুক্তভোগীদের কাছে এমন ছবি দিয়ে হুমকি দেন এই প্রতারক। রাজশাহী থেকে প্রতারণা মাধ্যমে অর্থ নিয়ে ঢাকা আত্মগোপনে থেকে প্রতারক তৌহিদুল ইসলাম শুভ প্রায় এক কোটি টাকা খরচে কিনেছেন দুটি গাড়ি যার একটি নিজের নামে ও অপরটি বিজেপি সদস্য বাবা মোয়াজ্জেম হোসেনের নামে রয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।

ভুক্তভোগীরা জানায়, রাজশাহীর প্রতারণা মিশন শেষে স্বামী স্ত্রী দুই প্রতারক ঢাকায় আত্মগোপনে রয়েছে। থানায় মামলা হয়েছে কিন্তু বিষয়টা নিয়ে কোন এক রহস্যজনক কারণে প্রশাসন তেমন কোন ভূমিকা নিচ্ছে না।

প্রতারক দম্পতির এসব প্রতারণায় রেল ভবনের একাধিক কর্মকর্তাও কর্মচারী জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ও তথ্য নিয়ে বিস্তারিত থাকছে সংবাদের পরবর্তী পর্বে…..

Loading

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বেকার যুবকদের আতঙ্ক প্রতারক শুভ দম্পতি: আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিষ্ক্রিয়!

আপডেট সময় : ০৯:১৩:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অপরাধ প্রতিবেদক: ‘প্রতারক তহিদুল ইসলাম শুভ’ এই নামে গুগল সার্চ করলে পাওয়া যাবে তার ভুরি ভূরি অপকর্ম ও প্রতারণার দলিল। রাজবাড়ী থেকে রাজশাহী। এলজিইডি থেকে শিক্ষা ও রেল মন্ত্রণালয় চাকুরী দেয়া যেন তার বা হাতের খেল। নিজেকে কখনো আমলা কখনো সেনাবাহিনীর মেজর আবার কখনো সিআইডি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে সারাদেশে প্রতারণার শক্তিশালী জাল বুনেছেন তিনি। বেশ কয়েকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হলেও আইনের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে আবার একইভাবে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এই প্রতারক। রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি শহরে বেকার যুবকদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক শুভ এতটাই বেপরোয়া যে রক্ষা করেন না কোন আইন কানুন এমনকি মামলা।

বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পুরাতন ছবি

সহযোগী হিসাবে রেল ভবনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের উপসচিব সহ বেশ কিছু আমলার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানা গেছে।
তার প্রতারণা শুরু রাজবাড়ী থেকে অসংখ্য বেকার যুবকদের কাছ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরি দেয়ার নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাফাতে হন শুভ। এরপর থেকে ফরিদপুর ঢাকা ও রাজবাড়ী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতারণার শক্তিশালী সিন্ডিকেট করে তুলেন তিনি। একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পরেও জামিনী বেরিয়ে ফের একই কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকেন।

গত বছরে ‍্যাবের জালে আটক হওয়ার পরে জামিনে বেরিয়ে শশুর বাড়ি রাজশাহী এলাকায় নতুন প্রতারণার ফাঁক বুনেন এবং সেই ফাঁদে আটকা পড়েছে ঝাকে ঝাকে বেকার যুবক। হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় চার কোটি টাকা। এমন অভিযোগে রাজশাহী আদালতে মামলা হয়েছে তার স্ত্রী সহ প্রতারণায় যুক্ত একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আইনজীবী পরিচয়ধারী শুভর স্ত্রী মুক্তকে ব্যবহার করে চাকরির নামে রাজশাহীর অসংখ্য বেকার যুবকদের থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা স্বামী স্ত্রী দুই প্রকার।

সেনাবাহিনীর অফিসার পরিচয় আইডি কার্ড ও তার স্ত্রী

এসব প্রতারণার সাথে যুক্ত থাকা একাধিক ব্যক্তির তালিকায় উঠে এসেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের উপসচিব রেল ভবনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রতারক শুভর বাবা বিজিবি সদস্য মোয়াজ্জেব হোসেন এর নাম। প্রতারণার কাজে শুভ নিজেকে মেজর পরিচয় দিয়ে থাকেন এক্ষেত্রে তৌহিদ নামের একজন মেজরের ছবি এডিট করে নিজের ছবি হিসেবে চালিয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রতারণার টাকা ফেরত চাইলে একাধিক ভুক্তভোগীদের কাছে এমন ছবি দিয়ে হুমকি দেন এই প্রতারক। রাজশাহী থেকে প্রতারণা মাধ্যমে অর্থ নিয়ে ঢাকা আত্মগোপনে থেকে প্রতারক তৌহিদুল ইসলাম শুভ প্রায় এক কোটি টাকা খরচে কিনেছেন দুটি গাড়ি যার একটি নিজের নামে ও অপরটি বিজেপি সদস্য বাবা মোয়াজ্জেম হোসেনের নামে রয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।

ভুক্তভোগীরা জানায়, রাজশাহীর প্রতারণা মিশন শেষে স্বামী স্ত্রী দুই প্রতারক ঢাকায় আত্মগোপনে রয়েছে। থানায় মামলা হয়েছে কিন্তু বিষয়টা নিয়ে কোন এক রহস্যজনক কারণে প্রশাসন তেমন কোন ভূমিকা নিচ্ছে না।

প্রতারক দম্পতির এসব প্রতারণায় রেল ভবনের একাধিক কর্মকর্তাও কর্মচারী জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ও তথ্য নিয়ে বিস্তারিত থাকছে সংবাদের পরবর্তী পর্বে…..

Loading