ঢাকা ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




আফগানিস্তানে কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত ১৪০

আন্তজার্তিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় আফগানিস্তানের একটি আঞ্চলিক হাসপাতালে অন্তত ১৪০ জন চিকিৎসাধীন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হেরাত প্রদেশের এসব মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আরও জানিয়েছেন, অসুস্থ হওয়া লোকজনের মধ্যে শিশু ও নারীরাই বেশি। নিজের বাড়িতে কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা।

হেরাত আঞ্চলিক হাসপাতালের প্রধান আহমেদ ফারহাদ আফজালি জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৩০ থেকে ১৪০ জনকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। হেরাতের বাসিন্দারা বলছেন, তারা তাদের ঘর গরম করার একমাত্র বিকল্প হিসাবে গ্যাস ব্যবহার করছেন।

আব্দুল কাদির নামে হেরাতের এক বাসিন্দা জানান,‘আমি যদি পাঁচ মিনিট দেরিতে পৌঁছাতাম তাহলে আমি আমার পরিবারের ২১ জন সদস্যকে হারিয়ে ফেলতাম।’

হেরাতের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের ক্ষমতা নেই, এবং আমরা গ্যাস ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছি। তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত, আমার পরিবারের দুই সদস্য কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ায় মারা গেছে।’

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গ্যাস ব্যবহারে অবহেলার কারণে পরিবারের জন্য ভয়ানক ক্ষতি হতে পারে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ দাউদ হাশিমি বলেন, ‘পরিবারের অবহেলার কারণে কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়া ঘটে এবং এটি বিধ্বংসী ঘটনা ঘটায়।

হঠাৎ করে দেশটির তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় হাসপাালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, এ ধরনের ঘটনা ঘটে যখন ঘর গরম করার জন্য কয়লা ব্যবহার করা হয়। এটি মানুষের মধ্যে কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া তৈরি করে। কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া সাধারণত শ্বসনের সময় অতিরিক্ত মাত্রায় কার্বন মনোক্সাইড গ্রহণের ফলে সৃষ্টি হয়। খুব বেশি মাত্রায় কার্বন মনোক্সাইড গ্রহণের ফলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলা, অ্যারিথমিয়া, খিঁচুনি, বা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে যে কোনো মানুষের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আফগানিস্তানে কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত ১৪০

আপডেট সময় : ০৫:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩

কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় আফগানিস্তানের একটি আঞ্চলিক হাসপাতালে অন্তত ১৪০ জন চিকিৎসাধীন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হেরাত প্রদেশের এসব মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আরও জানিয়েছেন, অসুস্থ হওয়া লোকজনের মধ্যে শিশু ও নারীরাই বেশি। নিজের বাড়িতে কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা।

হেরাত আঞ্চলিক হাসপাতালের প্রধান আহমেদ ফারহাদ আফজালি জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৩০ থেকে ১৪০ জনকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। হেরাতের বাসিন্দারা বলছেন, তারা তাদের ঘর গরম করার একমাত্র বিকল্প হিসাবে গ্যাস ব্যবহার করছেন।

আব্দুল কাদির নামে হেরাতের এক বাসিন্দা জানান,‘আমি যদি পাঁচ মিনিট দেরিতে পৌঁছাতাম তাহলে আমি আমার পরিবারের ২১ জন সদস্যকে হারিয়ে ফেলতাম।’

হেরাতের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের ক্ষমতা নেই, এবং আমরা গ্যাস ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছি। তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত, আমার পরিবারের দুই সদস্য কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ায় মারা গেছে।’

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গ্যাস ব্যবহারে অবহেলার কারণে পরিবারের জন্য ভয়ানক ক্ষতি হতে পারে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ দাউদ হাশিমি বলেন, ‘পরিবারের অবহেলার কারণে কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়া ঘটে এবং এটি বিধ্বংসী ঘটনা ঘটায়।

হঠাৎ করে দেশটির তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় হাসপাালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, এ ধরনের ঘটনা ঘটে যখন ঘর গরম করার জন্য কয়লা ব্যবহার করা হয়। এটি মানুষের মধ্যে কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া তৈরি করে। কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া সাধারণত শ্বসনের সময় অতিরিক্ত মাত্রায় কার্বন মনোক্সাইড গ্রহণের ফলে সৃষ্টি হয়। খুব বেশি মাত্রায় কার্বন মনোক্সাইড গ্রহণের ফলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলা, অ্যারিথমিয়া, খিঁচুনি, বা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে যে কোনো মানুষের।