ঢাকা ১২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




আফগানিস্তানে কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত ১৪০

আন্তজার্তিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ ১২৫ বার পড়া হয়েছে

কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় আফগানিস্তানের একটি আঞ্চলিক হাসপাতালে অন্তত ১৪০ জন চিকিৎসাধীন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হেরাত প্রদেশের এসব মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আরও জানিয়েছেন, অসুস্থ হওয়া লোকজনের মধ্যে শিশু ও নারীরাই বেশি। নিজের বাড়িতে কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা।

হেরাত আঞ্চলিক হাসপাতালের প্রধান আহমেদ ফারহাদ আফজালি জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৩০ থেকে ১৪০ জনকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। হেরাতের বাসিন্দারা বলছেন, তারা তাদের ঘর গরম করার একমাত্র বিকল্প হিসাবে গ্যাস ব্যবহার করছেন।

আব্দুল কাদির নামে হেরাতের এক বাসিন্দা জানান,‘আমি যদি পাঁচ মিনিট দেরিতে পৌঁছাতাম তাহলে আমি আমার পরিবারের ২১ জন সদস্যকে হারিয়ে ফেলতাম।’

হেরাতের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের ক্ষমতা নেই, এবং আমরা গ্যাস ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছি। তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত, আমার পরিবারের দুই সদস্য কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ায় মারা গেছে।’

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গ্যাস ব্যবহারে অবহেলার কারণে পরিবারের জন্য ভয়ানক ক্ষতি হতে পারে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ দাউদ হাশিমি বলেন, ‘পরিবারের অবহেলার কারণে কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়া ঘটে এবং এটি বিধ্বংসী ঘটনা ঘটায়।

হঠাৎ করে দেশটির তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় হাসপাালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, এ ধরনের ঘটনা ঘটে যখন ঘর গরম করার জন্য কয়লা ব্যবহার করা হয়। এটি মানুষের মধ্যে কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া তৈরি করে। কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া সাধারণত শ্বসনের সময় অতিরিক্ত মাত্রায় কার্বন মনোক্সাইড গ্রহণের ফলে সৃষ্টি হয়। খুব বেশি মাত্রায় কার্বন মনোক্সাইড গ্রহণের ফলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলা, অ্যারিথমিয়া, খিঁচুনি, বা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে যে কোনো মানুষের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আফগানিস্তানে কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত ১৪০

আপডেট সময় : ০৫:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩

কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় আফগানিস্তানের একটি আঞ্চলিক হাসপাতালে অন্তত ১৪০ জন চিকিৎসাধীন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হেরাত প্রদেশের এসব মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আরও জানিয়েছেন, অসুস্থ হওয়া লোকজনের মধ্যে শিশু ও নারীরাই বেশি। নিজের বাড়িতে কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা।

হেরাত আঞ্চলিক হাসপাতালের প্রধান আহমেদ ফারহাদ আফজালি জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৩০ থেকে ১৪০ জনকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। হেরাতের বাসিন্দারা বলছেন, তারা তাদের ঘর গরম করার একমাত্র বিকল্প হিসাবে গ্যাস ব্যবহার করছেন।

আব্দুল কাদির নামে হেরাতের এক বাসিন্দা জানান,‘আমি যদি পাঁচ মিনিট দেরিতে পৌঁছাতাম তাহলে আমি আমার পরিবারের ২১ জন সদস্যকে হারিয়ে ফেলতাম।’

হেরাতের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের ক্ষমতা নেই, এবং আমরা গ্যাস ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছি। তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত, আমার পরিবারের দুই সদস্য কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ায় মারা গেছে।’

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গ্যাস ব্যবহারে অবহেলার কারণে পরিবারের জন্য ভয়ানক ক্ষতি হতে পারে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ দাউদ হাশিমি বলেন, ‘পরিবারের অবহেলার কারণে কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়া ঘটে এবং এটি বিধ্বংসী ঘটনা ঘটায়।

হঠাৎ করে দেশটির তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় হাসপাালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, এ ধরনের ঘটনা ঘটে যখন ঘর গরম করার জন্য কয়লা ব্যবহার করা হয়। এটি মানুষের মধ্যে কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া তৈরি করে। কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া সাধারণত শ্বসনের সময় অতিরিক্ত মাত্রায় কার্বন মনোক্সাইড গ্রহণের ফলে সৃষ্টি হয়। খুব বেশি মাত্রায় কার্বন মনোক্সাইড গ্রহণের ফলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলা, অ্যারিথমিয়া, খিঁচুনি, বা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে যে কোনো মানুষের।