ফ্ল্যাটজুড়ে লাশের টুকরো, পাশেই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন নারী
- আপডেট সময় : ০৯:০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১ ১৯২ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক;
ফ্ল্যাটের বাইরে পড়ে থাকা মানুষের কাটা হাতের অংশ দেখে পুলিশে খবর দেয় ভবনটির বাসিন্দারা। পুলিশ এসে ফ্ল্যাটে ঢুকে এক নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পান। ওই নারীর পাশেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল মানবদেহের বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন অংশ। ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
পাকিস্তানের বন্দরনগরী করাচিতে এ ঘটনা ঘটে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা জুবায়ের নাসের শেখ জানান, সদ্দার এলাকার এক পুরোনো অ্যাপার্টমেন্টের একটি ফ্ল্যাটের সামনে মানুষের হাতের অংশ পড়ে আছে এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। সেখানে যাওয়ার পর ফ্ল্যাটে ঢুকে আমরা এক নারীকে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন অবস্থায় পাই। তার পাশেই পড়ে ছিল মানব শরীরের খণ্ডিত কিছু অংশ।
এছাড়া পুরো ফ্ল্যাটের ছড়িতে ছিটিয়ে ছিল মানব শরীরের খণ্ডিত অংশ। লাশের অংশগুলো ৭০ বছরের এক বৃদ্ধের বলে জানা গেছে।
৪৫ বছর বয়সী ওই নারীকেই হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন বলে মনে করছে পুলিশ। কবে ওই হত্যার ঘটনা ঘটেছে তার নিশ্চিত নয়। তবে চলতি সপ্তাহেই ওই বৃদ্ধকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে ধারণা করছে পুলিশ।
জুবায়ের শেখ জানান, ওই নারীর রক্তমাখা পোশাক আর লাশ টুকরো করার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম পাওয়ার পর তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে ছুরি, হাতুড়ি ও ভোঁতা অস্ত্র উদ্ধার করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে ওই নারী নিহত বৃদ্ধকে নিজের স্বামী মোহাম্মদ সোহাইল বলে দাবি করেন। তবে অবশ্য তা অস্বীকার করে বলেন, ওই বৃদ্ধ তার ভাসুর।
ওই নারী নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলে পাকিস্তানের ডনের খবরে দাবি করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই নারী একদম শান্ত ছিলেন। বিষয়টিকে ‘আশ্চর্যজনক’ বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ।
ফ্ল্যাটের অন্য বাসিন্দারা জানান, নিহত বৃদ্ধের সঙ্গে ওই নারীর লিভ ইন সম্পর্ক ছিল। ওই নারী মাঝে মাঝে এসে ওই বৃদ্ধের সঙ্গে থাকতেন। টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াও হতো।
নিহত বৃদ্ধের পরিবারের বাকি সদস্যরা পাশের একটি এলাকায় আলাদা বাড়িতে থাকেন বলে জানা গেছে।