ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




কুবিতে নির্ধারিত সময়ের তিন গুণ পেরিয়ে গেলেও সম্পন্ন হয়নি ছাত্রী হল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১ ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের থেকে প্রায় তিন গুণের কাছাকাছি সময় পার করলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি আব্দুর রাজ্জাক জেবিসিএ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০১৭ সালের মার্চে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে ১৮ মাসে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৪৫ মাসেও কাজ শেষ হয়নি নির্মিতব্য ছাত্রী হলের। কিন্তু এ নিয়ে প্রশাসনের আশ্বাস ছাড়া দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। প্রশাসনের সুষ্ঠু তদারকির অভাবকেই দায়ী করছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার পর একমাত্র ছাত্রী হল নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের উপর শিক্ষার্থীদের চাপ বেড়ে যাবে ও গণ রুমে থাকা শিক্ষার্থীরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জুলিয়া জান্নাত বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় যে সমস্যা তা হচ্ছে হলে থাকা নিয়ে। ছাত্রীদের তুলনায় হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকার জায়গা নেই। এক রুমে গাদাগাদি করে ৮-১০ জন থাকতে হয়। আর যদি দ্বিতীয় ছাত্রী হল নির্মাণ টা তাড়াতাড়ি হতো তাহলে আমাদের থাকার সমস্যাটা মিটে যেত।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাতেগোনা কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে নির্মিতব্য হলের কাজ। যার ভিতরের অংশ ও রুমগুলো পলেস্তরা লাগানো হলেও বাইরে এখনো পলেস্তরা লাগানো হয় নি। এছাড়া, জানালার গ্রিল লাগালেও দরজা এবং জানালার কাচ লাগানো হয়নি। ফ্লোর টাইলস করা ও বিদ্যুৎ সংযোগও করা হয়নি।

ঠিকাদার মো. জাহাঙ্গীর আলম এ ব্যাপারে বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারনে শ্রমিক সংকট ছিল। কাজ করাতে পারিনি তেমন। করোনার আগে কাজ দ্রুত গতিতেই চলছিল। এছাড়াও প্রশাসনিক নানান জটিলতার কারনেও দেড়ি হয়েছে। সময়মত টাকা পাই না। আর প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এখন একটু সমস্যা হচ্ছে। প্রজেক্টের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছি। তবে আশাকরি এই বছরের অক্টোবরের ভিতরে আমরা কাজ শেষ করতে পারবো।’

এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বরেও তিনি দুই-তিন মাসের ভেতর ও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও কাজ বুঝিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রকল্পের কাজ এখনো শেষ করতে পারেননি।

এদিকে তত্ত্বাবধারক প্রকৌশলী এস. এম. শহিদুল হাসান ঠিকাদারকে দোষারোপ করে বলেন, ‘টাকা, শ্রমিক ও মালামাল এ তিনটি জিনিস ঠিক থাকলে খুব দ্রুত কাজ সম্ভব। ঠিকাদারদের এগুলো ঠিক ছিল না বিধায় কাজ এতো দেড়ি হচ্ছে। এ ৩ টি জিনিসের সমন্বয় করেনি ঠিকাদার।

তিনি আরো বলেন, কার্যাদেশের যে টাকা বরাদ্দ আছে সেই কাজই শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। ঠিকাদার কাজের গতি কমিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে জিম্মি করার চেষ্টা করছে। এখন ঠিকাদার আবার চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।

হল নির্মাণ সম্পূর্ন করতে আরো কত সময় লাগবে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. মো. আবু তাহের জানান, শেখ হাসিনা হলের কাজের যে সময়সীমা ছিল তা শেষ হয়ে গেছে। ঠিকাদার আবার সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছে। প্রকল্পের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় ঠিকাদারকে টাকা দেয়ায়ও সমস্যা হচ্ছে। এখন মন্ত্রনালয় থেকে অফিস আদেশ আসলে আমরা টাকা দিতে পারবো। আর তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করি, আগামী অক্টোবরের ভিতরে কাজ শেষ হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কুবিতে নির্ধারিত সময়ের তিন গুণ পেরিয়ে গেলেও সম্পন্ন হয়নি ছাত্রী হল

আপডেট সময় : ১১:২৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের থেকে প্রায় তিন গুণের কাছাকাছি সময় পার করলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি আব্দুর রাজ্জাক জেবিসিএ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০১৭ সালের মার্চে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে ১৮ মাসে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৪৫ মাসেও কাজ শেষ হয়নি নির্মিতব্য ছাত্রী হলের। কিন্তু এ নিয়ে প্রশাসনের আশ্বাস ছাড়া দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। প্রশাসনের সুষ্ঠু তদারকির অভাবকেই দায়ী করছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার পর একমাত্র ছাত্রী হল নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের উপর শিক্ষার্থীদের চাপ বেড়ে যাবে ও গণ রুমে থাকা শিক্ষার্থীরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জুলিয়া জান্নাত বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় যে সমস্যা তা হচ্ছে হলে থাকা নিয়ে। ছাত্রীদের তুলনায় হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকার জায়গা নেই। এক রুমে গাদাগাদি করে ৮-১০ জন থাকতে হয়। আর যদি দ্বিতীয় ছাত্রী হল নির্মাণ টা তাড়াতাড়ি হতো তাহলে আমাদের থাকার সমস্যাটা মিটে যেত।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাতেগোনা কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে নির্মিতব্য হলের কাজ। যার ভিতরের অংশ ও রুমগুলো পলেস্তরা লাগানো হলেও বাইরে এখনো পলেস্তরা লাগানো হয় নি। এছাড়া, জানালার গ্রিল লাগালেও দরজা এবং জানালার কাচ লাগানো হয়নি। ফ্লোর টাইলস করা ও বিদ্যুৎ সংযোগও করা হয়নি।

ঠিকাদার মো. জাহাঙ্গীর আলম এ ব্যাপারে বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারনে শ্রমিক সংকট ছিল। কাজ করাতে পারিনি তেমন। করোনার আগে কাজ দ্রুত গতিতেই চলছিল। এছাড়াও প্রশাসনিক নানান জটিলতার কারনেও দেড়ি হয়েছে। সময়মত টাকা পাই না। আর প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এখন একটু সমস্যা হচ্ছে। প্রজেক্টের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছি। তবে আশাকরি এই বছরের অক্টোবরের ভিতরে আমরা কাজ শেষ করতে পারবো।’

এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বরেও তিনি দুই-তিন মাসের ভেতর ও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও কাজ বুঝিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রকল্পের কাজ এখনো শেষ করতে পারেননি।

এদিকে তত্ত্বাবধারক প্রকৌশলী এস. এম. শহিদুল হাসান ঠিকাদারকে দোষারোপ করে বলেন, ‘টাকা, শ্রমিক ও মালামাল এ তিনটি জিনিস ঠিক থাকলে খুব দ্রুত কাজ সম্ভব। ঠিকাদারদের এগুলো ঠিক ছিল না বিধায় কাজ এতো দেড়ি হচ্ছে। এ ৩ টি জিনিসের সমন্বয় করেনি ঠিকাদার।

তিনি আরো বলেন, কার্যাদেশের যে টাকা বরাদ্দ আছে সেই কাজই শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। ঠিকাদার কাজের গতি কমিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে জিম্মি করার চেষ্টা করছে। এখন ঠিকাদার আবার চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।

হল নির্মাণ সম্পূর্ন করতে আরো কত সময় লাগবে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. মো. আবু তাহের জানান, শেখ হাসিনা হলের কাজের যে সময়সীমা ছিল তা শেষ হয়ে গেছে। ঠিকাদার আবার সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছে। প্রকল্পের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় ঠিকাদারকে টাকা দেয়ায়ও সমস্যা হচ্ছে। এখন মন্ত্রনালয় থেকে অফিস আদেশ আসলে আমরা টাকা দিতে পারবো। আর তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করি, আগামী অক্টোবরের ভিতরে কাজ শেষ হবে।