গোপালগঞ্জে ‘নৌকার দুর্গ’ ভাঙার চ্যালেঞ্জে বিএনপি
- আপডেট সময় : ০৫:৫১:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫ ১৯৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যবাহী দুর্গ গোপালগঞ্জে বিএনপি এবারও প্রতীকী লড়াইয়ে নেমেছে। তিনটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে দলটি, তবে অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া মিশ্র।
গোপালগঞ্জ–১ আসনে সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিমুজ্জামান মোল্লা এবং গোপালগঞ্জ–৩ আসনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী মনোনয়ন পেয়েছেন। এই দুই প্রার্থীকে ঘিরে স্থানীয় নেতাদের মধ্যে সন্তুষ্টি রয়েছে।
তবে গোপালগঞ্জ–২ আসনে মনোনীত ডা. কে এম বাবর আলীকে ঘিরে দলে অস্বস্তি ও বিভক্তি তৈরি হয়েছে। তিনি সম্পূর্ণ নতুন মুখ, স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ সীমিত। গত ২২ আগস্ট তাঁর বাসা থেকে যৌথ বাহিনী অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে—যা তাঁকে ঘিরে বিতর্ক আরও বাড়িয়েছে।
এ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী সরদার মোঃ নুরুজ্জামান অভিযোগ করেছেন,আমাকে সাক্ষাৎকারে ডাকা হয়নি, এখানে একটা সিন্ডিকেট কাজ করেছে।
মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্নের মুখে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শিকদার শহিদুল ইসলাম লেলিন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে উপজেলা জেলা বিএনপির দায়িত্বশীল এক নেতা বলছেন, সাবেক সভাপতি এম এইচ খান মঞ্জু, বর্তমান আহ্বায়ক শরিফ রফিকুজ্জামান ও সরদার নুরুজ্জামানের মতো জনপ্রিয় নেতাদের উপেক্ষা করা হয়েছে, যা সংগঠনে হতাশা তৈরি করেছে।
দলের ভেতরে এখন আলোচনা—যদি এম এইচ খান মঞ্জু স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, তবে বিএনপির জন্য এই আসনটি হারানোর ঝুঁকি প্রবল।
স্থানীয় নেতাদের মতে, আওয়ামী লীগের দুর্গে বিকল্প নেতৃত্ব গড়তে হলে সেলিমুজ্জামান, জিলানী, নুরুজ্জামান ও মঞ্জুর মতো নেতাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদোন্নতি জরুরি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সদর উপজেলা বিএনপির দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন,গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের দুর্গ। এখানে বিএনপিকে বাঁচাতে হলে প্রতিদ্বন্দ্বী নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে, শুধু নাম দেয়া যথেষ্ট নয়।













