ঢাকা ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক




সবই কেড়ে  নিল করোনা ভাইরাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০ ১২৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; করোনার প্রভাবে কাজ হারানোর পর, এখন বাসস্থানও হারানো শুরু করেছে মানুষ। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের হাত ধরে মানবিক বিপর্যয় নিয়ে এসেছে করোনাভাইরাস। কাজ হারানোর পর, এখন বাসস্থানও হারানো শুরু করেছে মানুষ। অনিশ্চিত জীবন নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে বহুজন। ভাড়ার আয় বন্ধ হওয়ায় বিপাকে আছেন অনেক বাড়িওয়ালা। তবে, এই বিপদ শুধু ভাড়াটিয়া আর বাড়ির মালিকেরই নয়, বরং গোটা অর্থনীতির।

বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, শহর ছাড়ার পথ ধরে দীর্ঘস্থায়ী হবে বেকার সমস্যা।

বাসা ছেড়েছেন। যাওয়ারও জায়গা নেই। কমলাপুরের প্লাটফর্মে আছেন ভোর থেকে। যদিও চট্টগ্রামের ট্রেন বিকেলে। সদ্য বাসস্থান হারানো আরো কয়েকজন আছেন। এই শহর নিজের হয়নি বহুবছরেও। জন্মস্থান অন্তত ফেরাবে না, সেই আশায়, মানুষগুলোর প্রতীক্ষা বাড়িমুখী ট্রেনের।

ঢাকার আবাসিক এলাকার দেয়ালে এখন গা ভর্তি টু-লেট বিজ্ঞপ্তি। বাড়ছে প্রতিদিনই। পুরোনো বাসিন্দা হারিয়ে বাড়িগুলোও নতুন ভাড়াটিয়ার অপেক্ষায়। রামপুরা মহানগর প্রকল্পের একটি বাসাও পাওয়া গেলো না যেখানে টু-লেট ঝুলছে না। বাড়ি ছাড়ার দিন গুনছেন নতুন অনেকেই।

অবশ্য কোনো কোনো বাড়িওয়ালার দাবি, ভাড়া কমিয়েও লাভ হচ্ছে না। নিরুপায় হয়েই নতুন ভাড়াটিয়া খুঁজছেন। আর যারা ঢাকা ছেড়েছেন, তাদের অনেকেই এখনও নিশ্চিত জীবনের খোঁজ পাননি।

কাজ হারানো, ঘর হারানো মানুষগুলোর আগামী জীবনে শিগগিরই স্বাচ্ছন্দ্য আসছেনা। তবে, এতগুলো মানুষের জীবনমানের এই বিপর্যয়ের পেছনে সরকারের প্রণোদনা কৌশলের দায়ও দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।

ভাড়াটিয়া পরিষদ বলছে, কাজ হারিয়ে ঢাকা ছেড়েছে ৫০ হাজার মানুষ। তাদের প্রত্যেকের প্রত্যক্ষ অবদানে ভর করেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্বপ্ন দেখছিলো বাংলাদেশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সবই কেড়ে  নিল করোনা ভাইরাস

আপডেট সময় : ১১:১৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০

অনলাইন ডেস্ক; করোনার প্রভাবে কাজ হারানোর পর, এখন বাসস্থানও হারানো শুরু করেছে মানুষ। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের হাত ধরে মানবিক বিপর্যয় নিয়ে এসেছে করোনাভাইরাস। কাজ হারানোর পর, এখন বাসস্থানও হারানো শুরু করেছে মানুষ। অনিশ্চিত জীবন নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে বহুজন। ভাড়ার আয় বন্ধ হওয়ায় বিপাকে আছেন অনেক বাড়িওয়ালা। তবে, এই বিপদ শুধু ভাড়াটিয়া আর বাড়ির মালিকেরই নয়, বরং গোটা অর্থনীতির।

বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, শহর ছাড়ার পথ ধরে দীর্ঘস্থায়ী হবে বেকার সমস্যা।

বাসা ছেড়েছেন। যাওয়ারও জায়গা নেই। কমলাপুরের প্লাটফর্মে আছেন ভোর থেকে। যদিও চট্টগ্রামের ট্রেন বিকেলে। সদ্য বাসস্থান হারানো আরো কয়েকজন আছেন। এই শহর নিজের হয়নি বহুবছরেও। জন্মস্থান অন্তত ফেরাবে না, সেই আশায়, মানুষগুলোর প্রতীক্ষা বাড়িমুখী ট্রেনের।

ঢাকার আবাসিক এলাকার দেয়ালে এখন গা ভর্তি টু-লেট বিজ্ঞপ্তি। বাড়ছে প্রতিদিনই। পুরোনো বাসিন্দা হারিয়ে বাড়িগুলোও নতুন ভাড়াটিয়ার অপেক্ষায়। রামপুরা মহানগর প্রকল্পের একটি বাসাও পাওয়া গেলো না যেখানে টু-লেট ঝুলছে না। বাড়ি ছাড়ার দিন গুনছেন নতুন অনেকেই।

অবশ্য কোনো কোনো বাড়িওয়ালার দাবি, ভাড়া কমিয়েও লাভ হচ্ছে না। নিরুপায় হয়েই নতুন ভাড়াটিয়া খুঁজছেন। আর যারা ঢাকা ছেড়েছেন, তাদের অনেকেই এখনও নিশ্চিত জীবনের খোঁজ পাননি।

কাজ হারানো, ঘর হারানো মানুষগুলোর আগামী জীবনে শিগগিরই স্বাচ্ছন্দ্য আসছেনা। তবে, এতগুলো মানুষের জীবনমানের এই বিপর্যয়ের পেছনে সরকারের প্রণোদনা কৌশলের দায়ও দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।

ভাড়াটিয়া পরিষদ বলছে, কাজ হারিয়ে ঢাকা ছেড়েছে ৫০ হাজার মানুষ। তাদের প্রত্যেকের প্রত্যক্ষ অবদানে ভর করেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্বপ্ন দেখছিলো বাংলাদেশ।