ঢাকা ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন




মিয়ানমার চিনেন, বাংলাদেশ কোথায় জানেন না ট্রাম্প!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২০:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯ ৮৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ 
বিভিন্ন সময় নানা কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্বে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বুধবারও তার এ স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গির কারণে বিশ্বে আলোচিত হয়েছেন।

রোহিঙ্গাদের এক প্রতিনিধি এবং নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী নাদিয়া মুরাদ ওই দিন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তারই অফিসে। রোহিঙ্গারা কী ভাবে অত্যাচারিত হচ্ছে, আইএস জঙ্গিরা কী ভাবে ইরাকে ইয়াজিদি মহিলাদের বন্দি বানাচ্ছে— এ সব সমস্যার কথা জানিয়ে ট্রাম্পের সাহায্য চাইতে গিয়েছিল প্রতিনিধি দলটি।

এ সময় রোহিঙ্গাদের হয়ে যিনি প্রতিনিধিত্ব করছিলেন তিনি ট্রাম্পকে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের শরণার্থী ক্যাম্পের একজন রোহিঙ্গা। শরণার্থীরা যত দ্রুত সম্ভব বাড়িতে ফিরতে চায়। এ ব্যাপারে কীভাবে আমাদের সাহায্য করবেন আপনি?’ ঠিক তখনই ট্রাম্প বলে ওঠেন, বাংলাদেশটা যেন কোথায়? এ সময় তার উপদেষ্টা ট্রাম্পকে বলেন, ‘মিয়ানমারের ঠিক পাশেই যে দেশটি রয়েছে, সেটাই হল বাংলাদেশ।’

তবে ঘটনাটি এখানেই শেষ হয়নি। আইএস জঙ্গিদের হাত থেকে পালিয়ে আসা ইয়াজিদি মহিলা নাদিয়া মুরাদ। তিনিও সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন। ইয়াজিদি মহিলাদের সমস্যার কথাই বলছিলেন ট্রাম্পকে।

সেই সময় হঠাৎ ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনিই তো নোবেল পেয়েছিলেন তাই না! সত্যিই অসাধারণ। কিন্তু কিসের জন্য পেয়েছিলেন বলুন তো?’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে এমন কথা শুনে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিলেন নাদিয়া।

একটু থেমে তার নোবেল পাওয়ার ব্যাখ্যাও দেন নাদিয়া! সেই সঙ্গে ইয়াজিদি মহিলাদের সুরক্ষার জন্য আর্জিও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে।

এসব মন্তব্যের পরই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। প্রশ্ন উঠছে, মিয়ানমার কোথায় সেটা জানেন, অথচ তারই প্রতিবেশী দেশ সম্পর্কে জানেন না ট্রাম্প? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মন্তব্য ঘুরপাক খাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মিয়ানমার চিনেন, বাংলাদেশ কোথায় জানেন না ট্রাম্প!

আপডেট সময় : ১১:২০:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯

অনলাইন ডেস্কঃ 
বিভিন্ন সময় নানা কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্বে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বুধবারও তার এ স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গির কারণে বিশ্বে আলোচিত হয়েছেন।

রোহিঙ্গাদের এক প্রতিনিধি এবং নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী নাদিয়া মুরাদ ওই দিন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তারই অফিসে। রোহিঙ্গারা কী ভাবে অত্যাচারিত হচ্ছে, আইএস জঙ্গিরা কী ভাবে ইরাকে ইয়াজিদি মহিলাদের বন্দি বানাচ্ছে— এ সব সমস্যার কথা জানিয়ে ট্রাম্পের সাহায্য চাইতে গিয়েছিল প্রতিনিধি দলটি।

এ সময় রোহিঙ্গাদের হয়ে যিনি প্রতিনিধিত্ব করছিলেন তিনি ট্রাম্পকে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের শরণার্থী ক্যাম্পের একজন রোহিঙ্গা। শরণার্থীরা যত দ্রুত সম্ভব বাড়িতে ফিরতে চায়। এ ব্যাপারে কীভাবে আমাদের সাহায্য করবেন আপনি?’ ঠিক তখনই ট্রাম্প বলে ওঠেন, বাংলাদেশটা যেন কোথায়? এ সময় তার উপদেষ্টা ট্রাম্পকে বলেন, ‘মিয়ানমারের ঠিক পাশেই যে দেশটি রয়েছে, সেটাই হল বাংলাদেশ।’

তবে ঘটনাটি এখানেই শেষ হয়নি। আইএস জঙ্গিদের হাত থেকে পালিয়ে আসা ইয়াজিদি মহিলা নাদিয়া মুরাদ। তিনিও সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন। ইয়াজিদি মহিলাদের সমস্যার কথাই বলছিলেন ট্রাম্পকে।

সেই সময় হঠাৎ ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনিই তো নোবেল পেয়েছিলেন তাই না! সত্যিই অসাধারণ। কিন্তু কিসের জন্য পেয়েছিলেন বলুন তো?’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে এমন কথা শুনে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিলেন নাদিয়া।

একটু থেমে তার নোবেল পাওয়ার ব্যাখ্যাও দেন নাদিয়া! সেই সঙ্গে ইয়াজিদি মহিলাদের সুরক্ষার জন্য আর্জিও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে।

এসব মন্তব্যের পরই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। প্রশ্ন উঠছে, মিয়ানমার কোথায় সেটা জানেন, অথচ তারই প্রতিবেশী দেশ সম্পর্কে জানেন না ট্রাম্প? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মন্তব্য ঘুরপাক খাচ্ছে।