ঢাকা ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক




থেমে নেই বিমানের লিজ বাণিজ্য!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৮:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

হাফিজুর রহমান শফিক; 
বিমানের এয়ারক্রাফট লিজ মানেই কিছু লোকের পকেট ভারী হওয়া। প্রতিষ্ঠালগ্নে হাতেগোনা কয়েকটি এয়ারক্রাফট সংগ্রহ করা হলেও পরবর্তীতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিশেষ প্রয়োজনে লিজের দ্বারস্থ হতে হয়েছে বিমানকে। অন্তরালে শত শত কোটি টাকা লোপাট হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত এ সংস্থার।

লিজের নামে প্রভাবশালীদের শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়টি বিমানের অনেকেরই জানা। কিন্তু কেউ এ বিষয়ে টু শব্দ করার সাহস পান না। কথিত আছে, বিমানের সবচেয়ে বড় লিজ বাণিজ্য হয় সাবেক পরিচালনা পর্ষদ সদস্য জামাল উদ্দিন আহমেদের সময়ে। তার সময়ে আশীর্বাদপুষ্ট এক পাইলট জড়িত ছিলেন লিজ বাণিজ্যে। সম্প্রতি তিনি ইয়াঙ্গুনে একটি ড্যাশ- ৮ ক্র্যাস করে গ্রাউন্ডেড হন। বর্তমানে তিনি বসে বসে বেতন নিচ্ছেন।

ড্যাশ- ৮ এর লিজ ছাড়াও মিশর থেকে আনা দুটি বিকল বোয়িং- ৭৭৭ দীর্ঘ মেয়াদের লিজে আনা হয় ওই বিতর্কিত পাইলটের মাধ্যমে। জামাল উদ্দিনের আমলে আনা ওই এয়ারক্রাফট দুটি বিমানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। মাসে ১০ কোটি টাকা ভাড়া দেয়া হলেও বছরের পর বছর এয়ারক্রাফট দুটি বিকল অবস্থায় পড়ে থাকে ভিয়েতনামে। পরবর্তীতে এয়ারক্রাফট দুটি সচল করে লিজিং কোম্পানিকে ফেরত দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক অতিরিক্ত সচিব ও বিমানের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার লিজিং কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতার জন্য মিশর ঘুরে আসেন।

মিশর ঘুরে এসে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোকাব্বির হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সফর সফল হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা চলতি মাসেই ভালো সংবাদ দিতে পারব। বিমানকে মাসে মাসে আর কোটি টাকার লোকসানের বোঝা বইতে হবে না।

অভিযোগ রয়েছে, সুষ্ঠু বাণিজ্যিক পরিকল্পনা না থাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে আগামী পাঁচ বছরে নিজস্ব এয়ারক্রাফট যুক্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। যে কারণে লুটপাটের লিজ বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই।

সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, সময়ে সময়ে নিজস্ব এয়ারক্রাফট ইচ্ছা করে নষ্ট করে ভাড়ায় আনা উড়োজাহাজ চালানোর ব্যবস্থা করা হয়। এতে বিমানের আয় কমে দিন দিন ব্যয় বেড়েছে। পাশাপাশি প্রতিদিন সিডিউলের বিপর্যয় ঘটছে। এজন্য সংসদীয় তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

তবে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন দিক ও বিভাগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার রেকর্ড গড়ে। হজ ফ্লাইট নির্বিঘ্ন করা সম্ভব হয়েছে। হজের সব টিকিট অগ্রিম বিক্রিও হয়ে গেছে। তবে লিজ বাণিজ্য বন্ধ করা যায়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। এবারও হজের জন্য কম দরের বোয়িং- ৭৭৭ না এনে চড়া মূল্য এয়ারবাস লিজ আনা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




থেমে নেই বিমানের লিজ বাণিজ্য!

আপডেট সময় : ০৪:৫৮:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯

হাফিজুর রহমান শফিক; 
বিমানের এয়ারক্রাফট লিজ মানেই কিছু লোকের পকেট ভারী হওয়া। প্রতিষ্ঠালগ্নে হাতেগোনা কয়েকটি এয়ারক্রাফট সংগ্রহ করা হলেও পরবর্তীতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিশেষ প্রয়োজনে লিজের দ্বারস্থ হতে হয়েছে বিমানকে। অন্তরালে শত শত কোটি টাকা লোপাট হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত এ সংস্থার।

লিজের নামে প্রভাবশালীদের শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়টি বিমানের অনেকেরই জানা। কিন্তু কেউ এ বিষয়ে টু শব্দ করার সাহস পান না। কথিত আছে, বিমানের সবচেয়ে বড় লিজ বাণিজ্য হয় সাবেক পরিচালনা পর্ষদ সদস্য জামাল উদ্দিন আহমেদের সময়ে। তার সময়ে আশীর্বাদপুষ্ট এক পাইলট জড়িত ছিলেন লিজ বাণিজ্যে। সম্প্রতি তিনি ইয়াঙ্গুনে একটি ড্যাশ- ৮ ক্র্যাস করে গ্রাউন্ডেড হন। বর্তমানে তিনি বসে বসে বেতন নিচ্ছেন।

ড্যাশ- ৮ এর লিজ ছাড়াও মিশর থেকে আনা দুটি বিকল বোয়িং- ৭৭৭ দীর্ঘ মেয়াদের লিজে আনা হয় ওই বিতর্কিত পাইলটের মাধ্যমে। জামাল উদ্দিনের আমলে আনা ওই এয়ারক্রাফট দুটি বিমানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। মাসে ১০ কোটি টাকা ভাড়া দেয়া হলেও বছরের পর বছর এয়ারক্রাফট দুটি বিকল অবস্থায় পড়ে থাকে ভিয়েতনামে। পরবর্তীতে এয়ারক্রাফট দুটি সচল করে লিজিং কোম্পানিকে ফেরত দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক অতিরিক্ত সচিব ও বিমানের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার লিজিং কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতার জন্য মিশর ঘুরে আসেন।

মিশর ঘুরে এসে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোকাব্বির হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সফর সফল হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা চলতি মাসেই ভালো সংবাদ দিতে পারব। বিমানকে মাসে মাসে আর কোটি টাকার লোকসানের বোঝা বইতে হবে না।

অভিযোগ রয়েছে, সুষ্ঠু বাণিজ্যিক পরিকল্পনা না থাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে আগামী পাঁচ বছরে নিজস্ব এয়ারক্রাফট যুক্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। যে কারণে লুটপাটের লিজ বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই।

সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, সময়ে সময়ে নিজস্ব এয়ারক্রাফট ইচ্ছা করে নষ্ট করে ভাড়ায় আনা উড়োজাহাজ চালানোর ব্যবস্থা করা হয়। এতে বিমানের আয় কমে দিন দিন ব্যয় বেড়েছে। পাশাপাশি প্রতিদিন সিডিউলের বিপর্যয় ঘটছে। এজন্য সংসদীয় তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

তবে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন দিক ও বিভাগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার রেকর্ড গড়ে। হজ ফ্লাইট নির্বিঘ্ন করা সম্ভব হয়েছে। হজের সব টিকিট অগ্রিম বিক্রিও হয়ে গেছে। তবে লিজ বাণিজ্য বন্ধ করা যায়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। এবারও হজের জন্য কম দরের বোয়িং- ৭৭৭ না এনে চড়া মূল্য এয়ারবাস লিজ আনা হয়েছে।