ঢাকা ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ




অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রীর ১৫ নির্দেশনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০১৯ ১১০ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

গত ২৮ মার্চ বনানীতে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ। এই মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছে মন্ত্রিসভা। পাশাপাশি অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও অগ্নিদুর্ঘটনায় ক্ষতি এড়াতে ১৫ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ঢাকার ভবনগুলো পরিদর্শনের জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ২৪টি দল গঠন করেছে। এই দলগুলো ভবন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো-

১. ফায়ার সার্ভিসের ক্লিয়ারেন্স নিয়ে হাইরাইজ বিল্ডিং নির্মাণ এবং অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা।

২. ভবনগুলোর অগ্নিনিরোধক সিস্টেম বা ক্লিয়ারেন্স প্রতি বছর নবায়ন করা।

৩. বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা।

৩. এক থেকে তিন মাসের মধ্যে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া করা।

৪. অগ্নিকাণ্ডের সময় ধোঁয়ায় শ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু এড়াতে ভবনে ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি অবলম্বন।

৫. পানির অভাবে অনেক সময় ফায়ার সার্ভিস কাজ করতে পারে না; তাই যেখানে যেখানে সম্ভব জলাশয় বা জলাধার তৈরি করা।

৬. রাজধানীর আশপাশের লেকগুলো সংরক্ষণ করা।

৭. অগ্নিকাণ্ড বা অন্যান্য দুর্ঘটনায় ২৩তলা পর্যন্ত পৌঁছানোর উপযোগী তিনটি লম্বা সিঁড়ি আছে ফায়ার সার্ভিসের। এর সংখ্যা বাড়াতে হবে।

৮. প্রকৌশলীরা যেন পরিবেশ ও বাস্তবতার নিরেখে অবকাঠামোর নকশা করেন, তা নিশ্চিত করা।

৯. প্রতিটি ভবনের চারপাশে দরজা-জানালাসহ শতভাগ ফায়ার এক্সিট নিশ্চিত করা।

১০. অনেক জায়গায় ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে দরজা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফায়ার এক্সিট যেন সবসময় ওপেন থাকে, অর্থাৎ ম্যানুয়ালি যেন তা খোলা যায়।

১১. জরুরি প্রয়োজনে মানুষ যেন বহুতল ভবন থেকে তারপুলিনের মাধ্যমে ঝুলে নামতে পারে, সেই পদ্ধতি চালু করা।

১২. হাসপাতাল ও স্কুলে অবশ্যই বারান্দা রাখতে হবে।

১৩. ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা জায়গা বাঁচাতে ভবনের ভেতর সব জায়গা বন্ধ করে ডিজাইন করেন। এ রকম কোনো ডিজাইন করা যাবে না।

১৪. দুর্ঘটনার সময় মানুষ যাতে লিফট ব্যবহার না করে সে জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে।

১৫. প্রতিটি ভবনে কমপক্ষে দুটি এক্সিটওয়ে রাখা।

গত ২৮ মার্চ কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের ২৩তলা এফআর ভবনে আগুন লেগে ২৬ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন অর্ধশতাধিক মানুষ।

২৩তলার ওই ভবনে ১৮তলার অনুমোদন নেয়া হয়েছিল এবং অগ্নিনিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা সেখানে ছিল না বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রীর ১৫ নির্দেশনা

আপডেট সময় : ০৪:৩১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

গত ২৮ মার্চ বনানীতে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ। এই মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছে মন্ত্রিসভা। পাশাপাশি অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও অগ্নিদুর্ঘটনায় ক্ষতি এড়াতে ১৫ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ঢাকার ভবনগুলো পরিদর্শনের জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ২৪টি দল গঠন করেছে। এই দলগুলো ভবন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো-

১. ফায়ার সার্ভিসের ক্লিয়ারেন্স নিয়ে হাইরাইজ বিল্ডিং নির্মাণ এবং অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা।

২. ভবনগুলোর অগ্নিনিরোধক সিস্টেম বা ক্লিয়ারেন্স প্রতি বছর নবায়ন করা।

৩. বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা।

৩. এক থেকে তিন মাসের মধ্যে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া করা।

৪. অগ্নিকাণ্ডের সময় ধোঁয়ায় শ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু এড়াতে ভবনে ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি অবলম্বন।

৫. পানির অভাবে অনেক সময় ফায়ার সার্ভিস কাজ করতে পারে না; তাই যেখানে যেখানে সম্ভব জলাশয় বা জলাধার তৈরি করা।

৬. রাজধানীর আশপাশের লেকগুলো সংরক্ষণ করা।

৭. অগ্নিকাণ্ড বা অন্যান্য দুর্ঘটনায় ২৩তলা পর্যন্ত পৌঁছানোর উপযোগী তিনটি লম্বা সিঁড়ি আছে ফায়ার সার্ভিসের। এর সংখ্যা বাড়াতে হবে।

৮. প্রকৌশলীরা যেন পরিবেশ ও বাস্তবতার নিরেখে অবকাঠামোর নকশা করেন, তা নিশ্চিত করা।

৯. প্রতিটি ভবনের চারপাশে দরজা-জানালাসহ শতভাগ ফায়ার এক্সিট নিশ্চিত করা।

১০. অনেক জায়গায় ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে দরজা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফায়ার এক্সিট যেন সবসময় ওপেন থাকে, অর্থাৎ ম্যানুয়ালি যেন তা খোলা যায়।

১১. জরুরি প্রয়োজনে মানুষ যেন বহুতল ভবন থেকে তারপুলিনের মাধ্যমে ঝুলে নামতে পারে, সেই পদ্ধতি চালু করা।

১২. হাসপাতাল ও স্কুলে অবশ্যই বারান্দা রাখতে হবে।

১৩. ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা জায়গা বাঁচাতে ভবনের ভেতর সব জায়গা বন্ধ করে ডিজাইন করেন। এ রকম কোনো ডিজাইন করা যাবে না।

১৪. দুর্ঘটনার সময় মানুষ যাতে লিফট ব্যবহার না করে সে জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে।

১৫. প্রতিটি ভবনে কমপক্ষে দুটি এক্সিটওয়ে রাখা।

গত ২৮ মার্চ কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের ২৩তলা এফআর ভবনে আগুন লেগে ২৬ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন অর্ধশতাধিক মানুষ।

২৩তলার ওই ভবনে ১৮তলার অনুমোদন নেয়া হয়েছিল এবং অগ্নিনিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা সেখানে ছিল না বলে অভিযোগ করা হয়েছে।