ঢাকা ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




চতুর্থ দিনেও কমলাপুরে টিকিটপ্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৩:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০১৯ ৯৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
ঈদে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির চতুর্থ দিনে শনিবার সকাল থেকেই ধীরগতির অভিযোগ তুলেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। কাঙ্ক্ষিত টিকিটের জন্য শুক্রবার রাত থেকেই কমলাপুরে অপেক্ষায় ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় আরও বাড়তে থাকে। আজ দেয়া হচ্ছে ৩ জুনের টিকিট।

টিকিটপ্রত্যাশীরা বলছেন, সকালে আরও দুই ঘণ্টা আগে টিকিট বিক্রি শুরু করা গেলে মানুষের ভোগান্তি কম হতো। পাশাপাশি অতিরিক্ত চাপের বিষয়টি মাথায় রেখে বাড়তি কাউন্টার খোলাও দরকার ছিল বলে মত টিকিটপ্রত্যাশীদের।

প্রতিদিন যে টিকিটগুলো থেকে যায়, কালোবাজারি বন্ধে সেগুলো প্রদর্শনের ব্যবস্থার দাবিও জানানো হয়।

অন্যদিকে নারী যাত্রীরা অভিযোগ করেন, কাউন্টার কম হওয়ায় তাদের দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। অনলাইনে টিকিট না পাওয়ার কারণেই ভোগান্তি বেড়েছে বলে জানায় টিকিটপ্রত্যাশীরা।

টিকিট বিক্রির তৃতীয় দিনেও বহু মানুষ টিকিট না পেয়ে ফিরে গেছেন হতাশ হয়ে। অনেকেই আজকের জন্য থেকে গেছেন লাইনে। আর অনলাইনে টিকিট কাটা নিয়ে আগের মতোই অভিযোগ করে গেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা।

তারা জানিয়েছেন, অ্যাপে লগইন করলেই নোটিশ আসে অপেক্ষা করার জন্য। সে অপেক্ষা ঘণ্টার পর ঘণ্টাতেও শেষ হয় না। আর অ্যাপে টিকিট না পেয়ে তারা ছুটে এসেছেন কাউন্টারে।

কমলাপুরসহ রাজধানীর ৪ স্টেশনে ৩৬টি কাউন্টারে ১২ হাজার ৭৪৮টি টিকিট বরাদ্দ রয়েছে। এ তথ্য কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক জুয়েলের।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সিএনএস লিমিটেডের কর্মকর্তা শামীম আহমেদ জানান, সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত কাউন্টার থেকে ১০ হাজার ৮৭৯টি এবং অ্যাপ থেকে ৭ হাজার ৮৫১টি টিকিট বিক্রি করা হয়েছে।

সিএনএসের আরেক কর্মকর্তা জানান, অ্যাপ দিয়ে টিকিট কাটা যাচ্ছে না, এটা ঠিক নয়। একই সঙ্গে আড়াই-তিন লাখ লোক হিট করায় গতি ধীর হচ্ছে।

কমলাপুর, বিমানবন্দর ও ফুলবাড়িয়া রেল স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, অগ্রিম টিকিট কাটতে আসা শত শত মানুষ রয়েছেন লাইনে।

টিকিট না পাওয়া যাত্রীদের অনেকে জানান, এক একটি কাউন্টার থেকে কয়টি করে টিকিট বিক্রি দেয়া হচ্ছে তা জানতে পারছে না লোকজন।

ফলে এক একটি কাউন্টারের সামনে শত শত লোক দাঁড়াচ্ছে। দুটি কাউন্টারের সামনে ডিসপ্লে থাকলেও ১৮টি কাউন্টারের সামনে কোনো ডিসপ্লে নেই।

রেলপথ সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, সীমিত টিকিট সবাই পাবে না এটাই স্বাভাবিক। সীমিত টিকিটের বিপরীতে কাউন্টারের সামনে শত শত লোক দাঁড়াচ্ছে। অপরদিকে অ্যাপসে সীমিত টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।

কিন্তু ওই সীমিত টিকিটের বিপরীতে হাজার হাজার লোক অ্যাপসটিতে হিট করছে। কোনো ক্ষেত্রে ধীরগতি হলেও অ্যাপস থেকে যথাযথ টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




চতুর্থ দিনেও কমলাপুরে টিকিটপ্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড়

আপডেট সময় : ০১:২৩:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;
ঈদে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির চতুর্থ দিনে শনিবার সকাল থেকেই ধীরগতির অভিযোগ তুলেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। কাঙ্ক্ষিত টিকিটের জন্য শুক্রবার রাত থেকেই কমলাপুরে অপেক্ষায় ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় আরও বাড়তে থাকে। আজ দেয়া হচ্ছে ৩ জুনের টিকিট।

টিকিটপ্রত্যাশীরা বলছেন, সকালে আরও দুই ঘণ্টা আগে টিকিট বিক্রি শুরু করা গেলে মানুষের ভোগান্তি কম হতো। পাশাপাশি অতিরিক্ত চাপের বিষয়টি মাথায় রেখে বাড়তি কাউন্টার খোলাও দরকার ছিল বলে মত টিকিটপ্রত্যাশীদের।

প্রতিদিন যে টিকিটগুলো থেকে যায়, কালোবাজারি বন্ধে সেগুলো প্রদর্শনের ব্যবস্থার দাবিও জানানো হয়।

অন্যদিকে নারী যাত্রীরা অভিযোগ করেন, কাউন্টার কম হওয়ায় তাদের দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। অনলাইনে টিকিট না পাওয়ার কারণেই ভোগান্তি বেড়েছে বলে জানায় টিকিটপ্রত্যাশীরা।

টিকিট বিক্রির তৃতীয় দিনেও বহু মানুষ টিকিট না পেয়ে ফিরে গেছেন হতাশ হয়ে। অনেকেই আজকের জন্য থেকে গেছেন লাইনে। আর অনলাইনে টিকিট কাটা নিয়ে আগের মতোই অভিযোগ করে গেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা।

তারা জানিয়েছেন, অ্যাপে লগইন করলেই নোটিশ আসে অপেক্ষা করার জন্য। সে অপেক্ষা ঘণ্টার পর ঘণ্টাতেও শেষ হয় না। আর অ্যাপে টিকিট না পেয়ে তারা ছুটে এসেছেন কাউন্টারে।

কমলাপুরসহ রাজধানীর ৪ স্টেশনে ৩৬টি কাউন্টারে ১২ হাজার ৭৪৮টি টিকিট বরাদ্দ রয়েছে। এ তথ্য কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক জুয়েলের।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সিএনএস লিমিটেডের কর্মকর্তা শামীম আহমেদ জানান, সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত কাউন্টার থেকে ১০ হাজার ৮৭৯টি এবং অ্যাপ থেকে ৭ হাজার ৮৫১টি টিকিট বিক্রি করা হয়েছে।

সিএনএসের আরেক কর্মকর্তা জানান, অ্যাপ দিয়ে টিকিট কাটা যাচ্ছে না, এটা ঠিক নয়। একই সঙ্গে আড়াই-তিন লাখ লোক হিট করায় গতি ধীর হচ্ছে।

কমলাপুর, বিমানবন্দর ও ফুলবাড়িয়া রেল স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, অগ্রিম টিকিট কাটতে আসা শত শত মানুষ রয়েছেন লাইনে।

টিকিট না পাওয়া যাত্রীদের অনেকে জানান, এক একটি কাউন্টার থেকে কয়টি করে টিকিট বিক্রি দেয়া হচ্ছে তা জানতে পারছে না লোকজন।

ফলে এক একটি কাউন্টারের সামনে শত শত লোক দাঁড়াচ্ছে। দুটি কাউন্টারের সামনে ডিসপ্লে থাকলেও ১৮টি কাউন্টারের সামনে কোনো ডিসপ্লে নেই।

রেলপথ সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, সীমিত টিকিট সবাই পাবে না এটাই স্বাভাবিক। সীমিত টিকিটের বিপরীতে কাউন্টারের সামনে শত শত লোক দাঁড়াচ্ছে। অপরদিকে অ্যাপসে সীমিত টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।

কিন্তু ওই সীমিত টিকিটের বিপরীতে হাজার হাজার লোক অ্যাপসটিতে হিট করছে। কোনো ক্ষেত্রে ধীরগতি হলেও অ্যাপস থেকে যথাযথ টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।