ঢাকা ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিএনপি নেতা মাহিদুর রহমান নেতৃত্বের বিস্ময় Logo স্বৈরাচারের দোসর প্রধান বিচারপতির ধর্ম ছেলে পরিচয়ে মোজাম্মেলের অধর্ম! Logo রাজধানীতে মার্কেট দখল করতে গিয়ে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আটক Logo স্কুলের ভেতরে নিয়মিত চলে তাশ ও জুয়া! Logo চাঁদা চাওয়ায় দাকোপে ৫ আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা Logo ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আল আমিন সম্পাদক শামসউদ্দিন Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর উদ্যোগে দুমকিতে ক্যারিয়ার সামিট অনুষ্ঠিত Logo সওজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রচারিত প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ Logo বিপ্লবী গান, আবৃত্তি এবং কাওয়ালী গানে মেতেছে আশা বিশ্ববিদ্যালয় Logo ছত্রিশ টাকার নকলনবীশ প্রভাবশালী কোটিপতি!




টিকিটের অপেক্ষায় রাত জাগা কমলাপুরের রূপ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০১৯ ১০৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট |

ঢাকা: পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগাম টিকিট বিক্রিকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে থাকে উপচেপড়া ভিড়। কিন্তু এবার বদলে গেছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সেই চিরচেনা রূপ।

চলতি বছর প্রথমবারের মতো পাঁচটি ভিন্নস্থানে টিকিট বিক্রি করায় লোকসমাগম কম হওয়ার মূল কারণ। এতে স্বাচ্ছন্দ্যে টিকিট কিনতে পারবেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের রেলওয়ের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে বুধবার (২২ মে) সকাল ৯টায়। অন্যবারের তুলনায় কমলাপুরে টিকিট কেনার ঝামেলা কম থাকলেও অনেকে মঙ্গলবার (২১ মে) রাত ১০টা থেকে কমলাপুরে অবস্থান নেন। উদ্দেশ্য একটাই বাড়ি ফেরার টিকিট নিশ্চিত করা।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেওয়া হবে পশ্চিম অঞ্চল ও উত্তরবঙ্গগামী সব ট্রেনের টিকিট। রাতভর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে জেগে থাকা মানুষ অপেক্ষায় রয়েছেন, কখন শুরু হবে টিকিট বিক্রি। সেই কাঙ্খিত সময়ের আর মাত্র আধা ঘণ্টা বাকি। তারপরও ক্লান্তি বা অবসাদ নেই সেই অপেক্ষায় থাকা মানুষগুলোর।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কিনতে আসা গার্মেন্টস কর্মী আব্দুল হাকিম বলেন, টিকিট যদি পাই তাহলেই রাত জাগার কষ্ট সফল হবে।

হাকিমের সঙ্গে সুর মিলিয়ে নায়েকুল ইসলাম বলেন, আমিও রাত থেকেই এখানে অবস্থান নিয়েছি। ঠাকুরগাঁওয়ের টিকিট কিনবো, টিকিট পেলেই কষ্ট সার্থক হবে।

এদিকে, কমলাপুরে সব ধরনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে তৎপর রয়েছে পুলিশ, আনসার ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা।

রেলওয়ের তথ্য মতে, বুধবার (২২ মে) বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি চলবে। আজ দেওয়া হবে ৩১ মে’র টিকিট। একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন।

কমলাপুর ছাড়াও বিমানবন্দর স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তনগর ট্রেন, তেজগাঁও স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী সব আন্তনগর ট্রেন, বনানী স্টেশন থেকে নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলভবন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে একই সময়ে।

রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ মে দেওয়া হবে ১ জুনের টিকিট, ২৪ মে দেওয়া হবে ২ জুনের টিকিট, ২৫ মে দেওয়া হবে ৩ জুনের টিকিট এবং ২৬ মে দেওয়া হবে ৪ জুনের টিকিট।

ফেরত যাত্রীদের জন্য ২৯ মে দেওয়া হবে ৭ জুনের টিকিট, একইভাবে ৩০ ও ৩১ মে এবং ১ ও ২ জুন দেওয়া হবে যথাক্রমে ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের টিকিট।

রেলসূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ৭০ থেকে ৭২ হাজার টিকিট বিক্রি করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেই হিসেবে ঈদের পাঁচ দিনে তিন লাখ ৫০ হাজার টিকিট বিক্রি করা হবে। ৯৬টি আন্তনগর ট্রেনের পাশাপাশি আট জোড়া বিশেষ ট্রেনও নামানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




টিকিটের অপেক্ষায় রাত জাগা কমলাপুরের রূপ

আপডেট সময় : ০৯:০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০১৯

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট |

ঢাকা: পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগাম টিকিট বিক্রিকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে থাকে উপচেপড়া ভিড়। কিন্তু এবার বদলে গেছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সেই চিরচেনা রূপ।

চলতি বছর প্রথমবারের মতো পাঁচটি ভিন্নস্থানে টিকিট বিক্রি করায় লোকসমাগম কম হওয়ার মূল কারণ। এতে স্বাচ্ছন্দ্যে টিকিট কিনতে পারবেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের রেলওয়ের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে বুধবার (২২ মে) সকাল ৯টায়। অন্যবারের তুলনায় কমলাপুরে টিকিট কেনার ঝামেলা কম থাকলেও অনেকে মঙ্গলবার (২১ মে) রাত ১০টা থেকে কমলাপুরে অবস্থান নেন। উদ্দেশ্য একটাই বাড়ি ফেরার টিকিট নিশ্চিত করা।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেওয়া হবে পশ্চিম অঞ্চল ও উত্তরবঙ্গগামী সব ট্রেনের টিকিট। রাতভর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে জেগে থাকা মানুষ অপেক্ষায় রয়েছেন, কখন শুরু হবে টিকিট বিক্রি। সেই কাঙ্খিত সময়ের আর মাত্র আধা ঘণ্টা বাকি। তারপরও ক্লান্তি বা অবসাদ নেই সেই অপেক্ষায় থাকা মানুষগুলোর।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কিনতে আসা গার্মেন্টস কর্মী আব্দুল হাকিম বলেন, টিকিট যদি পাই তাহলেই রাত জাগার কষ্ট সফল হবে।

হাকিমের সঙ্গে সুর মিলিয়ে নায়েকুল ইসলাম বলেন, আমিও রাত থেকেই এখানে অবস্থান নিয়েছি। ঠাকুরগাঁওয়ের টিকিট কিনবো, টিকিট পেলেই কষ্ট সার্থক হবে।

এদিকে, কমলাপুরে সব ধরনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে তৎপর রয়েছে পুলিশ, আনসার ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা।

রেলওয়ের তথ্য মতে, বুধবার (২২ মে) বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি চলবে। আজ দেওয়া হবে ৩১ মে’র টিকিট। একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন।

কমলাপুর ছাড়াও বিমানবন্দর স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তনগর ট্রেন, তেজগাঁও স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী সব আন্তনগর ট্রেন, বনানী স্টেশন থেকে নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলভবন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে একই সময়ে।

রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ মে দেওয়া হবে ১ জুনের টিকিট, ২৪ মে দেওয়া হবে ২ জুনের টিকিট, ২৫ মে দেওয়া হবে ৩ জুনের টিকিট এবং ২৬ মে দেওয়া হবে ৪ জুনের টিকিট।

ফেরত যাত্রীদের জন্য ২৯ মে দেওয়া হবে ৭ জুনের টিকিট, একইভাবে ৩০ ও ৩১ মে এবং ১ ও ২ জুন দেওয়া হবে যথাক্রমে ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের টিকিট।

রেলসূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ৭০ থেকে ৭২ হাজার টিকিট বিক্রি করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেই হিসেবে ঈদের পাঁচ দিনে তিন লাখ ৫০ হাজার টিকিট বিক্রি করা হবে। ৯৬টি আন্তনগর ট্রেনের পাশাপাশি আট জোড়া বিশেষ ট্রেনও নামানো হবে।