বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা বিভাগের চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল, ২৩৬২টি মেডিকেল টিম
- আপডেট সময় : ১১:৪৯:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০১৯ ১২২ বার পড়া হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় ‘সুপার সাইক্লোন ফণী’ আঘাত হানতে পারে এমন জেলা ও উপজেলার সব চিকিৎসক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি ও সব ধরনের প্রশিক্ষণ বাতিল ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ ছাড়াও উপকূলীয় অঞ্চলের জেলাগুলো নিয়ে গঠিত বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা এই তিনটি বিভাগের জন্য মোট ২ হাজার ৩৬২টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হযেছে। জরুরি দুর্যোগ মোকাবিলায় এসব টিম কাজ করবে। এর পাশাপাশি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে ১০ হাজার ব্যক্তির জরুরি চিকিৎসা প্রদানের মতো প্রয়োজনীয় ওষুধ সম্ভাব্য প্রত্যেকটি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তার সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব কথা জানানো হয়।
বিকেলে অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে এমন জেলার উপজেলাগুলোর সব চিকিৎসক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি ও সব ধরনের প্রশিক্ষণ বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা/উপজেলা/প্রতিষ্ঠানভিত্তিক জরুরি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে ৩টি, উপজেলা পর্যায়ে ৫টি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ১টি ‘জরুরি মেডিকেল টিম’ গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৪৯৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৪৮টি এবং খুলনা বিভাগে ৮১৭টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগে জেলা/উপজেলাভিত্তিক স্থানীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ/ কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। এ সব কন্ট্রোল রুম সব সময় ‘ন্যাশনাল হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবে। সেই সাথে অধীনস্ত পর্যায়ের স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবে। যোগাযোগের হট নম্বরগুলো হলো : ০১৭৬৯৯৫৪১৩৭, ০১৭৫৯১১৪৪৮৮, ৯৮৫৫৯৩৩।
এই সব দুর্যোগপূর্ণ বিভাগে জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ সব ধরনের এন্টিবায়োটিক, ওআরএসসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধের মজুদ রাখা হয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ১০ হাজার ব্যক্তির জরুরি চিকিৎসা প্রদানের মতো প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রাদি সম্ভাব্য প্রত্যেকটি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম’ থেকে এরই মধ্যে জরুরি দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য ওষুধ সরঞ্জামাদি জেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ট্যাব এজিথ্রমাইসিন ৫০০ এম জি ৫০০০, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৮০০টি, কলেরা স্যালাইন ১০০০ সিসি সেট ৬০০ ব্যাগসহ অন্যান্য জরুরি ওষুধ মজুদ আছে।
এ ছাড়াও জরুরি রোগী পরিবহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।