ঢাকা ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




ময়নাতদন্তে যুবকের পেটে মিলল ১১ প্যাকেট ইয়াবা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

ঢামেক প্রতিনিধি |
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করে এক যুবকের পেট থেকে ১১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে ঢামেক মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয় জুলহাস মিয়া (৩২) নামের ওই যুবকের।

এসময় তার পেট থেকে একেক করে ১১টি প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে কয়েক প্যাকেট ইয়াবা গলে গেছে।

ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেলা ১২টার দিকে জুলহাসের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত করে জুলহাসের পেট থেকে কাগজে মোড়ানো ১১ প্যাকেট ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, এর মধ্যে কয়েক প্যাকেট ইয়াবা গলে গেছে। পেটের ভেতর ইয়াবা বড়ি গলে যাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। কয়েক বড়ি ইয়াবা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।

মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল হাসান খান জুলহাসের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।

তিনি জানান, শুক্রবার ভোরে কমলাপুর মসজিদের পাশের রাস্তায় জুলহাসকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। তখন তিনিই জুলহাসকে উদ্ধার করে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মারা যান জুলহাস।

এসআই মঞ্জুরুল বলেন, অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকার সময় তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে ছোটভাই সোহাগকে খবর দেওয়া হয়।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার আক্কাস মিয়ার ছেলে জুলহাস। এলাকাতে কাঠের ব্যবসা করতেন তিনি। স্ত্রী জরিনা আক্তার। দুই মেয়ে লাইবা (৩) ও টয়া (১)।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মৃত জুলহাসের ছোটভাই মেহেদী হাসান সোহাগ জানান, গত ২১ এপ্রিল জুলহাস বাড়ি থেকে ঢাকার মিরপুরে আসেন। গত ২৪ এপ্রিল শেষ কথা হলে জুলহাস তাকে জানান তিনি ঢাকার চকবাজারে আছেন।

ছোটভাই সোহাগ গাজিপুর ক্যান্টনমেন্টে টেকনিশিয়ান। ২৪ এপ্রিল জুলহাস তাকে জানান, দু-একদিনের পর বাড়ি যাওয়ার সময় সোহাগের সঙ্গে দেখা করে যাবেন।

শুক্রবার সকালে পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে মুগদা হাসপাতালে গিয়ে জুলহাসকে দেখতে পান। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ময়নাতদন্তে যুবকের পেটে মিলল ১১ প্যাকেট ইয়াবা

আপডেট সময় : ০৩:৫৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

ঢামেক প্রতিনিধি |
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করে এক যুবকের পেট থেকে ১১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে ঢামেক মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয় জুলহাস মিয়া (৩২) নামের ওই যুবকের।

এসময় তার পেট থেকে একেক করে ১১টি প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে কয়েক প্যাকেট ইয়াবা গলে গেছে।

ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেলা ১২টার দিকে জুলহাসের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত করে জুলহাসের পেট থেকে কাগজে মোড়ানো ১১ প্যাকেট ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, এর মধ্যে কয়েক প্যাকেট ইয়াবা গলে গেছে। পেটের ভেতর ইয়াবা বড়ি গলে যাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। কয়েক বড়ি ইয়াবা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।

মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল হাসান খান জুলহাসের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।

তিনি জানান, শুক্রবার ভোরে কমলাপুর মসজিদের পাশের রাস্তায় জুলহাসকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। তখন তিনিই জুলহাসকে উদ্ধার করে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মারা যান জুলহাস।

এসআই মঞ্জুরুল বলেন, অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকার সময় তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে ছোটভাই সোহাগকে খবর দেওয়া হয়।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার আক্কাস মিয়ার ছেলে জুলহাস। এলাকাতে কাঠের ব্যবসা করতেন তিনি। স্ত্রী জরিনা আক্তার। দুই মেয়ে লাইবা (৩) ও টয়া (১)।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মৃত জুলহাসের ছোটভাই মেহেদী হাসান সোহাগ জানান, গত ২১ এপ্রিল জুলহাস বাড়ি থেকে ঢাকার মিরপুরে আসেন। গত ২৪ এপ্রিল শেষ কথা হলে জুলহাস তাকে জানান তিনি ঢাকার চকবাজারে আছেন।

ছোটভাই সোহাগ গাজিপুর ক্যান্টনমেন্টে টেকনিশিয়ান। ২৪ এপ্রিল জুলহাস তাকে জানান, দু-একদিনের পর বাড়ি যাওয়ার সময় সোহাগের সঙ্গে দেখা করে যাবেন।

শুক্রবার সকালে পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে মুগদা হাসপাতালে গিয়ে জুলহাসকে দেখতে পান। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।