ঢাকা ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




ময়নাতদন্তে যুবকের পেটে মিলল ১১ প্যাকেট ইয়াবা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ২৫৭ বার পড়া হয়েছে

ঢামেক প্রতিনিধি |
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করে এক যুবকের পেট থেকে ১১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে ঢামেক মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয় জুলহাস মিয়া (৩২) নামের ওই যুবকের।

এসময় তার পেট থেকে একেক করে ১১টি প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে কয়েক প্যাকেট ইয়াবা গলে গেছে।

ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেলা ১২টার দিকে জুলহাসের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত করে জুলহাসের পেট থেকে কাগজে মোড়ানো ১১ প্যাকেট ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, এর মধ্যে কয়েক প্যাকেট ইয়াবা গলে গেছে। পেটের ভেতর ইয়াবা বড়ি গলে যাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। কয়েক বড়ি ইয়াবা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।

মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল হাসান খান জুলহাসের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।

তিনি জানান, শুক্রবার ভোরে কমলাপুর মসজিদের পাশের রাস্তায় জুলহাসকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। তখন তিনিই জুলহাসকে উদ্ধার করে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মারা যান জুলহাস।

এসআই মঞ্জুরুল বলেন, অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকার সময় তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে ছোটভাই সোহাগকে খবর দেওয়া হয়।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার আক্কাস মিয়ার ছেলে জুলহাস। এলাকাতে কাঠের ব্যবসা করতেন তিনি। স্ত্রী জরিনা আক্তার। দুই মেয়ে লাইবা (৩) ও টয়া (১)।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মৃত জুলহাসের ছোটভাই মেহেদী হাসান সোহাগ জানান, গত ২১ এপ্রিল জুলহাস বাড়ি থেকে ঢাকার মিরপুরে আসেন। গত ২৪ এপ্রিল শেষ কথা হলে জুলহাস তাকে জানান তিনি ঢাকার চকবাজারে আছেন।

ছোটভাই সোহাগ গাজিপুর ক্যান্টনমেন্টে টেকনিশিয়ান। ২৪ এপ্রিল জুলহাস তাকে জানান, দু-একদিনের পর বাড়ি যাওয়ার সময় সোহাগের সঙ্গে দেখা করে যাবেন।

শুক্রবার সকালে পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে মুগদা হাসপাতালে গিয়ে জুলহাসকে দেখতে পান। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ময়নাতদন্তে যুবকের পেটে মিলল ১১ প্যাকেট ইয়াবা

আপডেট সময় : ০৩:৫৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

ঢামেক প্রতিনিধি |
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করে এক যুবকের পেট থেকে ১১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে ঢামেক মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয় জুলহাস মিয়া (৩২) নামের ওই যুবকের।

এসময় তার পেট থেকে একেক করে ১১টি প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে কয়েক প্যাকেট ইয়াবা গলে গেছে।

ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেলা ১২টার দিকে জুলহাসের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত করে জুলহাসের পেট থেকে কাগজে মোড়ানো ১১ প্যাকেট ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, এর মধ্যে কয়েক প্যাকেট ইয়াবা গলে গেছে। পেটের ভেতর ইয়াবা বড়ি গলে যাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। কয়েক বড়ি ইয়াবা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।

মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল হাসান খান জুলহাসের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।

তিনি জানান, শুক্রবার ভোরে কমলাপুর মসজিদের পাশের রাস্তায় জুলহাসকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। তখন তিনিই জুলহাসকে উদ্ধার করে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মারা যান জুলহাস।

এসআই মঞ্জুরুল বলেন, অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকার সময় তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে ছোটভাই সোহাগকে খবর দেওয়া হয়।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার আক্কাস মিয়ার ছেলে জুলহাস। এলাকাতে কাঠের ব্যবসা করতেন তিনি। স্ত্রী জরিনা আক্তার। দুই মেয়ে লাইবা (৩) ও টয়া (১)।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মৃত জুলহাসের ছোটভাই মেহেদী হাসান সোহাগ জানান, গত ২১ এপ্রিল জুলহাস বাড়ি থেকে ঢাকার মিরপুরে আসেন। গত ২৪ এপ্রিল শেষ কথা হলে জুলহাস তাকে জানান তিনি ঢাকার চকবাজারে আছেন।

ছোটভাই সোহাগ গাজিপুর ক্যান্টনমেন্টে টেকনিশিয়ান। ২৪ এপ্রিল জুলহাস তাকে জানান, দু-একদিনের পর বাড়ি যাওয়ার সময় সোহাগের সঙ্গে দেখা করে যাবেন।

শুক্রবার সকালে পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে মুগদা হাসপাতালে গিয়ে জুলহাসকে দেখতে পান। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।