ঢাকা ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলকে নিয়ে বিএনপির যৌথসভা Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo চাকুরীচ্যুত হওয়ার পরেও বহাল পায়রা বন্দর প্রকৌশলী নাছির: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান




ইলিশের দাম ব্যাপক চড়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৩:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯ ৭২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক,

• বাজারে ডিমের দাম সামান্য কমেছে
• মুরগি ও গরুর মাংসের দাম আগের মতোই চড়া

রাজধানীর বাজারে ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে ইলিশ মাছের দাম। বাজারে এক কেজির কিছু বেশি ওজনের একটি তাজা ইলিশের দাম বিক্রেতারা আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা হাঁকছেন, যা সপ্তাহখানেক আগেও দেড় হাজার টাকার কাছাকাছি ছিল।

পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশের চাহিদা বাড়ে। বাজার ধরতে ব্যবসায়ীরা হিমাগারে ইলিশ রেখে দেন। এ সময় জাটকা ধরা ঠেকাতে নদীতে অভিযান চালায় স্থানীয় প্রশাসন। ফলে দাম বেড়ে যায়। অবশ্য ইলিশ সম্পদ রক্ষার জন্য কয়েক বছর ধরে পয়লা বৈশাখে মাছটি না কেনার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা প্রচার চলছে।

ঢাকার বনানী কাঁচাবাজার, কাজীপাড়া বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে গতকাল বৃহস্পতিবার দেখা যায়, কেজিতে তিনটি হবে—এমন আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০০–৭৫০ টাকায়। আকারে একটু বড় হলেই দাম অনেক বেশি। একেকটি ৮০০ গ্রাম ওজনের এক হালি তাজা ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ৪ হাজার টাকার বেশি।তবে হিমাগারের হলে সেটা সাড়ে ৩ হাজার টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। দর–কষাকষি করলে কিছুটা কমে কেনা যায়।

কারওয়ান বাজারের ‘মা–বাবার দোয়া’ নামের একটি মাছের দোকানের বিক্রেতা মো. সুমন বলেন, হিমাগারে কিছুদিন আগে রাখা হয়েছে, এমন বড় ইলিশের প্রতি কেজির দর দেড় হাজার টাকার মতো। একই মাছ হিমাগারের না হলে দর তিন হাজার টাকা। তিনি বলেন, গত দুই দিনে দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে।

কারওয়ান বাজারে গতকাল বিকেলে ইলিশের দোকানে দরদাম করছিলেন সাজিদুর রহমান। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে আমাদের মতো চাকরিজীবীদের আর কেনার সুযোগ নেই।’ তিনি জানান, বৈশাখ নয়, সন্তানেরা পছন্দ করে বলে তিনি ইলিশ কেনেন।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজির দর এখনো ১৬০–১৬৫ টাকা, যা কয়েক সপ্তাহ ধরে চড়া। দেশি মুরগির কেজি চাওয়া হচ্ছে ৪৫০–৪৬০ টাকা। গরুর মাংসও কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বেড়ে ৫৫০ টাকায় উঠেছে। অবশ্য সুপারশপগুলো ক্রেতা টানতে শুক্রবার মাংসের দামে বিশেষ ছাড় দেয়।

ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনপ্রতি ৫ টাকা কমে ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও হাঁসের ডিমের ডজন এখনো ১৫০ টাকা। আর দেশি মুরগির ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৮০ টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ইলিশের দাম ব্যাপক চড়া

আপডেট সময় : ০৩:১৩:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক,

• বাজারে ডিমের দাম সামান্য কমেছে
• মুরগি ও গরুর মাংসের দাম আগের মতোই চড়া

রাজধানীর বাজারে ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে ইলিশ মাছের দাম। বাজারে এক কেজির কিছু বেশি ওজনের একটি তাজা ইলিশের দাম বিক্রেতারা আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা হাঁকছেন, যা সপ্তাহখানেক আগেও দেড় হাজার টাকার কাছাকাছি ছিল।

পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশের চাহিদা বাড়ে। বাজার ধরতে ব্যবসায়ীরা হিমাগারে ইলিশ রেখে দেন। এ সময় জাটকা ধরা ঠেকাতে নদীতে অভিযান চালায় স্থানীয় প্রশাসন। ফলে দাম বেড়ে যায়। অবশ্য ইলিশ সম্পদ রক্ষার জন্য কয়েক বছর ধরে পয়লা বৈশাখে মাছটি না কেনার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা প্রচার চলছে।

ঢাকার বনানী কাঁচাবাজার, কাজীপাড়া বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে গতকাল বৃহস্পতিবার দেখা যায়, কেজিতে তিনটি হবে—এমন আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০০–৭৫০ টাকায়। আকারে একটু বড় হলেই দাম অনেক বেশি। একেকটি ৮০০ গ্রাম ওজনের এক হালি তাজা ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ৪ হাজার টাকার বেশি।তবে হিমাগারের হলে সেটা সাড়ে ৩ হাজার টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। দর–কষাকষি করলে কিছুটা কমে কেনা যায়।

কারওয়ান বাজারের ‘মা–বাবার দোয়া’ নামের একটি মাছের দোকানের বিক্রেতা মো. সুমন বলেন, হিমাগারে কিছুদিন আগে রাখা হয়েছে, এমন বড় ইলিশের প্রতি কেজির দর দেড় হাজার টাকার মতো। একই মাছ হিমাগারের না হলে দর তিন হাজার টাকা। তিনি বলেন, গত দুই দিনে দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে।

কারওয়ান বাজারে গতকাল বিকেলে ইলিশের দোকানে দরদাম করছিলেন সাজিদুর রহমান। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে আমাদের মতো চাকরিজীবীদের আর কেনার সুযোগ নেই।’ তিনি জানান, বৈশাখ নয়, সন্তানেরা পছন্দ করে বলে তিনি ইলিশ কেনেন।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজির দর এখনো ১৬০–১৬৫ টাকা, যা কয়েক সপ্তাহ ধরে চড়া। দেশি মুরগির কেজি চাওয়া হচ্ছে ৪৫০–৪৬০ টাকা। গরুর মাংসও কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বেড়ে ৫৫০ টাকায় উঠেছে। অবশ্য সুপারশপগুলো ক্রেতা টানতে শুক্রবার মাংসের দামে বিশেষ ছাড় দেয়।

ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনপ্রতি ৫ টাকা কমে ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও হাঁসের ডিমের ডজন এখনো ১৫০ টাকা। আর দেশি মুরগির ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৮০ টাকা।