ঢাকা ১০:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




ইলিশের দাম ব্যাপক চড়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৩:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯ ১০২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক,

• বাজারে ডিমের দাম সামান্য কমেছে
• মুরগি ও গরুর মাংসের দাম আগের মতোই চড়া

রাজধানীর বাজারে ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে ইলিশ মাছের দাম। বাজারে এক কেজির কিছু বেশি ওজনের একটি তাজা ইলিশের দাম বিক্রেতারা আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা হাঁকছেন, যা সপ্তাহখানেক আগেও দেড় হাজার টাকার কাছাকাছি ছিল।

পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশের চাহিদা বাড়ে। বাজার ধরতে ব্যবসায়ীরা হিমাগারে ইলিশ রেখে দেন। এ সময় জাটকা ধরা ঠেকাতে নদীতে অভিযান চালায় স্থানীয় প্রশাসন। ফলে দাম বেড়ে যায়। অবশ্য ইলিশ সম্পদ রক্ষার জন্য কয়েক বছর ধরে পয়লা বৈশাখে মাছটি না কেনার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা প্রচার চলছে।

ঢাকার বনানী কাঁচাবাজার, কাজীপাড়া বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে গতকাল বৃহস্পতিবার দেখা যায়, কেজিতে তিনটি হবে—এমন আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০০–৭৫০ টাকায়। আকারে একটু বড় হলেই দাম অনেক বেশি। একেকটি ৮০০ গ্রাম ওজনের এক হালি তাজা ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ৪ হাজার টাকার বেশি।তবে হিমাগারের হলে সেটা সাড়ে ৩ হাজার টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। দর–কষাকষি করলে কিছুটা কমে কেনা যায়।

কারওয়ান বাজারের ‘মা–বাবার দোয়া’ নামের একটি মাছের দোকানের বিক্রেতা মো. সুমন বলেন, হিমাগারে কিছুদিন আগে রাখা হয়েছে, এমন বড় ইলিশের প্রতি কেজির দর দেড় হাজার টাকার মতো। একই মাছ হিমাগারের না হলে দর তিন হাজার টাকা। তিনি বলেন, গত দুই দিনে দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে।

কারওয়ান বাজারে গতকাল বিকেলে ইলিশের দোকানে দরদাম করছিলেন সাজিদুর রহমান। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে আমাদের মতো চাকরিজীবীদের আর কেনার সুযোগ নেই।’ তিনি জানান, বৈশাখ নয়, সন্তানেরা পছন্দ করে বলে তিনি ইলিশ কেনেন।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজির দর এখনো ১৬০–১৬৫ টাকা, যা কয়েক সপ্তাহ ধরে চড়া। দেশি মুরগির কেজি চাওয়া হচ্ছে ৪৫০–৪৬০ টাকা। গরুর মাংসও কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বেড়ে ৫৫০ টাকায় উঠেছে। অবশ্য সুপারশপগুলো ক্রেতা টানতে শুক্রবার মাংসের দামে বিশেষ ছাড় দেয়।

ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনপ্রতি ৫ টাকা কমে ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও হাঁসের ডিমের ডজন এখনো ১৫০ টাকা। আর দেশি মুরগির ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৮০ টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ইলিশের দাম ব্যাপক চড়া

আপডেট সময় : ০৩:১৩:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক,

• বাজারে ডিমের দাম সামান্য কমেছে
• মুরগি ও গরুর মাংসের দাম আগের মতোই চড়া

রাজধানীর বাজারে ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে ইলিশ মাছের দাম। বাজারে এক কেজির কিছু বেশি ওজনের একটি তাজা ইলিশের দাম বিক্রেতারা আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা হাঁকছেন, যা সপ্তাহখানেক আগেও দেড় হাজার টাকার কাছাকাছি ছিল।

পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশের চাহিদা বাড়ে। বাজার ধরতে ব্যবসায়ীরা হিমাগারে ইলিশ রেখে দেন। এ সময় জাটকা ধরা ঠেকাতে নদীতে অভিযান চালায় স্থানীয় প্রশাসন। ফলে দাম বেড়ে যায়। অবশ্য ইলিশ সম্পদ রক্ষার জন্য কয়েক বছর ধরে পয়লা বৈশাখে মাছটি না কেনার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা প্রচার চলছে।

ঢাকার বনানী কাঁচাবাজার, কাজীপাড়া বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে গতকাল বৃহস্পতিবার দেখা যায়, কেজিতে তিনটি হবে—এমন আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০০–৭৫০ টাকায়। আকারে একটু বড় হলেই দাম অনেক বেশি। একেকটি ৮০০ গ্রাম ওজনের এক হালি তাজা ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ৪ হাজার টাকার বেশি।তবে হিমাগারের হলে সেটা সাড়ে ৩ হাজার টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। দর–কষাকষি করলে কিছুটা কমে কেনা যায়।

কারওয়ান বাজারের ‘মা–বাবার দোয়া’ নামের একটি মাছের দোকানের বিক্রেতা মো. সুমন বলেন, হিমাগারে কিছুদিন আগে রাখা হয়েছে, এমন বড় ইলিশের প্রতি কেজির দর দেড় হাজার টাকার মতো। একই মাছ হিমাগারের না হলে দর তিন হাজার টাকা। তিনি বলেন, গত দুই দিনে দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে।

কারওয়ান বাজারে গতকাল বিকেলে ইলিশের দোকানে দরদাম করছিলেন সাজিদুর রহমান। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে আমাদের মতো চাকরিজীবীদের আর কেনার সুযোগ নেই।’ তিনি জানান, বৈশাখ নয়, সন্তানেরা পছন্দ করে বলে তিনি ইলিশ কেনেন।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজির দর এখনো ১৬০–১৬৫ টাকা, যা কয়েক সপ্তাহ ধরে চড়া। দেশি মুরগির কেজি চাওয়া হচ্ছে ৪৫০–৪৬০ টাকা। গরুর মাংসও কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বেড়ে ৫৫০ টাকায় উঠেছে। অবশ্য সুপারশপগুলো ক্রেতা টানতে শুক্রবার মাংসের দামে বিশেষ ছাড় দেয়।

ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনপ্রতি ৫ টাকা কমে ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও হাঁসের ডিমের ডজন এখনো ১৫০ টাকা। আর দেশি মুরগির ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৮০ টাকা।