ঢাকা ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




বিচারক বললেন ওসিরা এত সাহস কোথায় পায়?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২০:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০১৯ ১২২ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার ওসির কর্মকাণ্ডে থানায় কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন হাইকোর্ট। এক বিচারক বলেছেন, ওসিরা এত সাহস কোথায় পায়? মামলা না নেয়ায় শ্যামনগরের ওসি হাবিল হোসেনের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির রিট আবেদনের শুনানিতে মঙ্গলবার বিচারপতি নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ থেকে এ মন্তব্য আসে।

জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি একদল দুর্বৃত্ত সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার সোরা গ্রামের ফজলুল করিমকে মারধর করে এবং বেশকিছু মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানালে তিনি বিষয়টি গুরুত্বই দেননি। ফজলুল করিম এ বিষয়ে মামলা করতে চাইলে মামলাও নেননি। ওসি বরং চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে বিষয়টি মীমাংসা করার পরামর্শ দেন। এ কারণে মামলা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ফজলুল করিম।

রিটের শুনানির শুরুতেই আদালত জানতে চাইলে ঘটনাটি আংশিক সত্য বলে উল্লেখ করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।

এ সময় আদালত বলেন, ‘ওসি মামলা নিলেন না কেন? আমরা রুল দিয়ে দেখি, কেন তিনি মামলা নিলেন না। ওসি সাহেবরা সব জায়গায় কোর্ট বসিয়ে দেন। তারা কি সালিশ করতে বসেছেন যে সুবিধামতো হলে মামলা নেবেন। অথচ টাকা ছাড়া থানায় একটা জিডিও হয় না। ওসিরা যেখানে-সেখানে কোর্ট বসায়, রাতে কোর্ট বসায়। এত সাহস তারা কোথায় পায়?’

আদালত আরও বলেন, ‘১৩ হাজার পুলিশ যারা থানায় বসেন, তাদের জন্য গোটা পুলিশের বদনাম হতে পারে না। অনেক পুলিশ খুব কষ্ট করে জীবন-যাপন করেন। অথচ অনেকের দেখি ৪-৫টা করে বাড়ি। দেশটা কি চোরের?’

আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শামসুল হক কাঞ্চন।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম যুগান্তরকে বলেন, আদালত শুনানিতে থানা পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ স্বর্ণালংকার লুট, হামলা, দরজা ভাঙার কোনো প্রমাণ পায়নি। কিন্তু পাঁচিল ভাঙার প্রমাণ পেয়েছে। কোর্টকে এটা জানানোর পর কোর্ট বলল, যেহেতু পাঁচিল ভাঙা পেয়েছে আংশিক সত্যতা তো পাওয়া গেছে। তাহলে পুলিশ কেন মামলা নেবে না?’

মামলাটি এক সপ্তাহের জন্য ‘স্ট্যান্ডওভার’ রেখে আদালত শ্যামনগর পুলিশকে এর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বিচারক বললেন ওসিরা এত সাহস কোথায় পায়?

আপডেট সময় : ১০:২০:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০১৯

সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার ওসির কর্মকাণ্ডে থানায় কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন হাইকোর্ট। এক বিচারক বলেছেন, ওসিরা এত সাহস কোথায় পায়? মামলা না নেয়ায় শ্যামনগরের ওসি হাবিল হোসেনের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির রিট আবেদনের শুনানিতে মঙ্গলবার বিচারপতি নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ থেকে এ মন্তব্য আসে।

জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি একদল দুর্বৃত্ত সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার সোরা গ্রামের ফজলুল করিমকে মারধর করে এবং বেশকিছু মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানালে তিনি বিষয়টি গুরুত্বই দেননি। ফজলুল করিম এ বিষয়ে মামলা করতে চাইলে মামলাও নেননি। ওসি বরং চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে বিষয়টি মীমাংসা করার পরামর্শ দেন। এ কারণে মামলা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ফজলুল করিম।

রিটের শুনানির শুরুতেই আদালত জানতে চাইলে ঘটনাটি আংশিক সত্য বলে উল্লেখ করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।

এ সময় আদালত বলেন, ‘ওসি মামলা নিলেন না কেন? আমরা রুল দিয়ে দেখি, কেন তিনি মামলা নিলেন না। ওসি সাহেবরা সব জায়গায় কোর্ট বসিয়ে দেন। তারা কি সালিশ করতে বসেছেন যে সুবিধামতো হলে মামলা নেবেন। অথচ টাকা ছাড়া থানায় একটা জিডিও হয় না। ওসিরা যেখানে-সেখানে কোর্ট বসায়, রাতে কোর্ট বসায়। এত সাহস তারা কোথায় পায়?’

আদালত আরও বলেন, ‘১৩ হাজার পুলিশ যারা থানায় বসেন, তাদের জন্য গোটা পুলিশের বদনাম হতে পারে না। অনেক পুলিশ খুব কষ্ট করে জীবন-যাপন করেন। অথচ অনেকের দেখি ৪-৫টা করে বাড়ি। দেশটা কি চোরের?’

আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শামসুল হক কাঞ্চন।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম যুগান্তরকে বলেন, আদালত শুনানিতে থানা পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ স্বর্ণালংকার লুট, হামলা, দরজা ভাঙার কোনো প্রমাণ পায়নি। কিন্তু পাঁচিল ভাঙার প্রমাণ পেয়েছে। কোর্টকে এটা জানানোর পর কোর্ট বলল, যেহেতু পাঁচিল ভাঙা পেয়েছে আংশিক সত্যতা তো পাওয়া গেছে। তাহলে পুলিশ কেন মামলা নেবে না?’

মামলাটি এক সপ্তাহের জন্য ‘স্ট্যান্ডওভার’ রেখে আদালত শ্যামনগর পুলিশকে এর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।