ঢাকা ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




রং লাগিয়ে অন্য নামে জাবালে নুর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০১৯ ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

মিরপুর প্রতিনিধি;ড্রাইভার, হেলপার ও মালিকানা সবই ঠিক আছে, শুধু রং লাগিয়ে অন্য নামে নামছে জাবালে নুর। বিআরটিএ সুপ্রভাত ও জাবালে নুরের সব বাস এবং মিনিবাসের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে।

নিষেধাজ্ঞার দু’দিন পরই জবালে নুর বাসে রং লাগিয়ে নাম পরিবর্তন শুরু করা হয়। এর আগে গত বছর ২৯ জুলাই রেডিসন হোটেল সংলগ্ন সড়কে দুই বাসের রেষারেষিতে দুই শিক্ষার্থী নিহত ও নয়জন আহত হওয়ার ঘটনায় আলোচনায় আসে জাবালে নুর পরিবহন।

প্রশাসনের কঠোর মনোভাব ও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ৬ মাস জাবালে নুরের বাস খুব একটা চোখে পড়েনি। পরিস্থিতি বুঝে এ বছর জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে এ পরিবহনের ৪০টি বাস রাস্তায় নামানো হয়।

গত বছর আনসার ক্যাম্প থেকে বাড্ডা ও আগারগাও থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত দুই রুটে এ পরিবহনের দেড় শতাধিক বাস চলত। সম্প্রতি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-বিইউপি’র শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী বাস চাপায় নিহত হলে পুনরায় বন্ধ হয়ে যায় জাবালে নুর।

সরেজমিন পশ্চিম আগারগাঁও ও মিরপুর ১ নম্বর টেকনিক্যাল, বেড়িবাঁধ, ইস্টার্ন হাউজিং, সাগুপতা ও মিরপুরের বিভিন্ন গ্যারেজে ঘুরে দেখা যায় জাবালে নুরের বাসে রং লাগিয়ে বিহঙ্গ, একটিভ, তেঁতুলিয়া ও আকিক পরিবহনের নাম দেয়া হচ্ছে।

আগারগাঁও পার্কিং জোনে ২৫-৩০টি বাস পার্কিং করে রাখা আছে। কয়েকজন শ্রমিক ঘষাঁমাঝা করছে। এর মধ্যে একজন শ্রমিক নিপুণ হাতে রং-তুলিতে বাস রাঙাচ্ছেন। সুকুমার রায় নামে ওই শ্রমিক জানান, সবগুলো বাসেরই নাম পরিবর্তন করা হবে।

সিরিয়ালে কাজ চলছে। প্রত্যক্ষদর্শী মালেক আফসারি বলেন, বিআরটিএ’র নিষেধাজ্ঞার পর বাসগুলোতে রং করে অন্য নাম দেয়া হচ্ছে। আগে ছিল জাবালে নুর। মিরপুর ১ নম্বর বেড়িবাঁধ লিটনের গ্যারেজে কর্মরত এক শ্রমিক জানান, এলাকাটি নির্জন ও নিরিবিলি বিধায় এ গ্যারেজে অনেক বাসের ডেন্টিং ও পেন্টিংয়ের কাজ হয়। ইতিমধ্যে জাবালে নুরের ৭-৮টি বাসে রং করা হয়েছে। অন্য নাম দেয়া হবে। তবে সেটা বলা যাবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাস মালিক বলেন, কি আর করব। অন্য কোম্পানিতে না দিলে তো উপায় নেই। মাসে তো কিস্তি টানতে হয়। বাসের চাকা না ঘুরলে কিভাবে কিস্তি দেব। আমার মতো সবাই নাম পরিবর্তন করবে।

জাবালে নুর পরিবহনের পরিচালক জুয়েল পাটোয়ারি বলেন, গত দেড় মাস আগে আমরা দুই রুটে গাড়ি চালু করেছি। কোর্টে জরিমানা দিয়েছি। ঝামেলা ছিল তাই দেরি হয়েছে। এখন আবার সমস্যা হয়েছে। দেখি কি করা যায়।

পল্লবী জোনের এসি (ট্রাফিক) সাইকা ইয়াসমিন পাশা বলেন, রুট পারমিট, লাইসেন্স ও কাগজপত্র ঠিক না থাকলে কোনো যানবাহনই রাস্তায় চলতে পারবে না। এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। তিনি বলেন, যে কোনো পরিবহনের রুটপারমিট আর কাগজপত্র ঠিক থাকলে রাস্তায় চলতে পারবে। কোনো সমস্যা থাকার কথা না। আর এ ব্যাপারে বিআরটিএ ভালো বলতে পারবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




রং লাগিয়ে অন্য নামে জাবালে নুর

আপডেট সময় : ১২:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০১৯

মিরপুর প্রতিনিধি;ড্রাইভার, হেলপার ও মালিকানা সবই ঠিক আছে, শুধু রং লাগিয়ে অন্য নামে নামছে জাবালে নুর। বিআরটিএ সুপ্রভাত ও জাবালে নুরের সব বাস এবং মিনিবাসের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে।

নিষেধাজ্ঞার দু’দিন পরই জবালে নুর বাসে রং লাগিয়ে নাম পরিবর্তন শুরু করা হয়। এর আগে গত বছর ২৯ জুলাই রেডিসন হোটেল সংলগ্ন সড়কে দুই বাসের রেষারেষিতে দুই শিক্ষার্থী নিহত ও নয়জন আহত হওয়ার ঘটনায় আলোচনায় আসে জাবালে নুর পরিবহন।

প্রশাসনের কঠোর মনোভাব ও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ৬ মাস জাবালে নুরের বাস খুব একটা চোখে পড়েনি। পরিস্থিতি বুঝে এ বছর জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে এ পরিবহনের ৪০টি বাস রাস্তায় নামানো হয়।

গত বছর আনসার ক্যাম্প থেকে বাড্ডা ও আগারগাও থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত দুই রুটে এ পরিবহনের দেড় শতাধিক বাস চলত। সম্প্রতি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-বিইউপি’র শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী বাস চাপায় নিহত হলে পুনরায় বন্ধ হয়ে যায় জাবালে নুর।

সরেজমিন পশ্চিম আগারগাঁও ও মিরপুর ১ নম্বর টেকনিক্যাল, বেড়িবাঁধ, ইস্টার্ন হাউজিং, সাগুপতা ও মিরপুরের বিভিন্ন গ্যারেজে ঘুরে দেখা যায় জাবালে নুরের বাসে রং লাগিয়ে বিহঙ্গ, একটিভ, তেঁতুলিয়া ও আকিক পরিবহনের নাম দেয়া হচ্ছে।

আগারগাঁও পার্কিং জোনে ২৫-৩০টি বাস পার্কিং করে রাখা আছে। কয়েকজন শ্রমিক ঘষাঁমাঝা করছে। এর মধ্যে একজন শ্রমিক নিপুণ হাতে রং-তুলিতে বাস রাঙাচ্ছেন। সুকুমার রায় নামে ওই শ্রমিক জানান, সবগুলো বাসেরই নাম পরিবর্তন করা হবে।

সিরিয়ালে কাজ চলছে। প্রত্যক্ষদর্শী মালেক আফসারি বলেন, বিআরটিএ’র নিষেধাজ্ঞার পর বাসগুলোতে রং করে অন্য নাম দেয়া হচ্ছে। আগে ছিল জাবালে নুর। মিরপুর ১ নম্বর বেড়িবাঁধ লিটনের গ্যারেজে কর্মরত এক শ্রমিক জানান, এলাকাটি নির্জন ও নিরিবিলি বিধায় এ গ্যারেজে অনেক বাসের ডেন্টিং ও পেন্টিংয়ের কাজ হয়। ইতিমধ্যে জাবালে নুরের ৭-৮টি বাসে রং করা হয়েছে। অন্য নাম দেয়া হবে। তবে সেটা বলা যাবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাস মালিক বলেন, কি আর করব। অন্য কোম্পানিতে না দিলে তো উপায় নেই। মাসে তো কিস্তি টানতে হয়। বাসের চাকা না ঘুরলে কিভাবে কিস্তি দেব। আমার মতো সবাই নাম পরিবর্তন করবে।

জাবালে নুর পরিবহনের পরিচালক জুয়েল পাটোয়ারি বলেন, গত দেড় মাস আগে আমরা দুই রুটে গাড়ি চালু করেছি। কোর্টে জরিমানা দিয়েছি। ঝামেলা ছিল তাই দেরি হয়েছে। এখন আবার সমস্যা হয়েছে। দেখি কি করা যায়।

পল্লবী জোনের এসি (ট্রাফিক) সাইকা ইয়াসমিন পাশা বলেন, রুট পারমিট, লাইসেন্স ও কাগজপত্র ঠিক না থাকলে কোনো যানবাহনই রাস্তায় চলতে পারবে না। এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। তিনি বলেন, যে কোনো পরিবহনের রুটপারমিট আর কাগজপত্র ঠিক থাকলে রাস্তায় চলতে পারবে। কোনো সমস্যা থাকার কথা না। আর এ ব্যাপারে বিআরটিএ ভালো বলতে পারবে।